মুছে যাক সব গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে দেহে প্রাণে শুচি হোক ধরা। রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি, আনো, আনো, আনো তব প্রলয়ের শাঁখ মায়ার কুজঝটি-জাল যাক দূরে যাক।’ বৈশাখকে এভাবেই ধরাতলে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। চৈত্রের মেঘে ও রুদ্র দিনের পরিসমাপ্তি শেষে শুক্রবার বাংলার ঘরে ঘরে এসেছে পহেলা বৈশাখ। বাঙালির জীবনের সবচেয়ে আনন্দের এবং মহিমান্বিত ক্ষণ। হাজারও বছরের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আজ বাঙালি হারিয়ে যাবে বাঁধভাঙা উল্লাসে। উৎসব আর উচ্ছ্বাসে ভরে যাবে বাংলার মাঠ-ঘাট-প্রান্তর। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে পুরনো সব জরা মুছে ফেলে কণ্ঠে কণ্ঠে বেজে উঠেছে নতুন দিনের গান। ১৪২৯-এর আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্নার হিসাব চুকিয়ে শুরু হয়েছে নতুন পথচলা। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সার্বজনীন উৎসবে নববর্ষ উদযাপনে আজ একসঙ্গে সবাই গাইবে ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’।
গ্রাম থেকে শহর, নগর থেকে বন্দর, আঁকাবাঁকা মেঠোপথ থেকে অফুরান প্রকৃতি সবখানেই আজ দোল দেবে বৈশাখী উন্মাদনা। মুড়ি-মুড়কি, মিঠাইয়ের সঙ্গে সঙ্গে নাচে-গানে, ঢাকেঢোলে, শোভাযাত্রায় পুরো জাতি বরণ করবে নতুন বছরকে। খোলা হবে বছরের নুতন হিসাব নিয়ে হালখাতা। চলবে মিষ্টিমুখের আসর। তারও আগে সকালটা কারও কারও শুরু হয়েছে নগর সংস্কৃতির দান পান্তা-ইলিশ উৎসবে মেতে উঠে। পহেলা বৈশাখ বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই রাজধানীসহ সারাদেশে শুরু হবে বৈশাখী উৎসব। এ লক্ষে চলছে বৈশাখী কেনাকাটা। গতকাল বৃহস্পতিবার পহেলা বৈশাখ। এ উপলক্ষে সরকারি ছুটির দিন। নববর্ষ উদযাপন নির্বিঘ্নে করতে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাজস্ব আদায়ের সুবিধার জন্য মোগল সম্রাট আকবরের আমলে বৈশাখ থেকে প্রবর্তন হয়েছিল বাংলাসালের। বর্ষ শুরু সেই দিনটিই এখন বাংলাদেশীদের প্রাণের উৎসব। বাদশাহ আকবরের নবরত সভার আমির ফতেহ উল্লাহ সিরাজি বাদশাহি খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য ফসলি সালের শুরু করেছিলেন হিজরি চন্দ্রবর্ষকে বাংলা সালের সঙ্গে সমন্বয় করেন। তিনি পয়লা বৈশাখ থেকে বাংলা নববর্ষ গণনা শুরু করেছিলেন। আর বৈশাখ নামটি নেয়া হয়েছিল নক্ষত্র ‘বিশাখার নাম থেকে। নববর্ষ বরণে বর্ণাঢ্য আয়োজন চলছে দেশ ব্যাপী। সারা দেশের ন্যায় হবিগঞ্জে পহেলা বৈশাখ শুভ নববর্ষ উদযাপনে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সরকারিভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে বর্ণাঢ্য র্যালি, শহরের নিমতলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী গ্রামীণ মেলা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও হবিগঞ্জ জেলার প্রতিটি উপজেলা সদর সহ গ্রামাঞ্চালে গ্রামীন মেলা বসবে। এ ছাড়া রয়েছে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজ, হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ ও হবিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নববর্ষ বরণ করতে দিনব্যাপী মেলা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে চুনারুঘাটে পীরের বাজার নামক স্থানে আজ জমে উঠবে চুনারুঘাটের ঐতিহ্যবাহী বান্নী। ওই বান্নীকে নির্বিগ্ন করতে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
গ্রাম থেকে শহর, নগর থেকে বন্দর, আঁকাবাঁকা মেঠোপথ থেকে অফুরান প্রকৃতি সবখানেই আজ দোল দেবে বৈশাখী উন্মাদনা। মুড়ি-মুড়কি, মিঠাইয়ের সঙ্গে সঙ্গে নাচে-গানে, ঢাকেঢোলে, শোভাযাত্রায় পুরো জাতি বরণ করবে নতুন বছরকে। খোলা হবে বছরের নুতন হিসাব নিয়ে হালখাতা। চলবে মিষ্টিমুখের আসর। তারও আগে সকালটা কারও কারও শুরু হয়েছে নগর সংস্কৃতির দান পান্তা-ইলিশ উৎসবে মেতে উঠে। পহেলা বৈশাখ বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই রাজধানীসহ সারাদেশে শুরু হবে বৈশাখী উৎসব। এ লক্ষে চলছে বৈশাখী কেনাকাটা। গতকাল বৃহস্পতিবার পহেলা বৈশাখ। এ উপলক্ষে সরকারি ছুটির দিন। নববর্ষ উদযাপন নির্বিঘ্নে করতে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাজস্ব আদায়ের সুবিধার জন্য মোগল সম্রাট আকবরের আমলে বৈশাখ থেকে প্রবর্তন হয়েছিল বাংলাসালের। বর্ষ শুরু সেই দিনটিই এখন বাংলাদেশীদের প্রাণের উৎসব। বাদশাহ আকবরের নবরত সভার আমির ফতেহ উল্লাহ সিরাজি বাদশাহি খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য ফসলি সালের শুরু করেছিলেন হিজরি চন্দ্রবর্ষকে বাংলা সালের সঙ্গে সমন্বয় করেন। তিনি পয়লা বৈশাখ থেকে বাংলা নববর্ষ গণনা শুরু করেছিলেন। আর বৈশাখ নামটি নেয়া হয়েছিল নক্ষত্র ‘বিশাখার নাম থেকে। নববর্ষ বরণে বর্ণাঢ্য আয়োজন চলছে দেশ ব্যাপী। সারা দেশের ন্যায় হবিগঞ্জে পহেলা বৈশাখ শুভ নববর্ষ উদযাপনে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সরকারিভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে বর্ণাঢ্য র্যালি, শহরের নিমতলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী গ্রামীণ মেলা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও হবিগঞ্জ জেলার প্রতিটি উপজেলা সদর সহ গ্রামাঞ্চালে গ্রামীন মেলা বসবে। এ ছাড়া রয়েছে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজ, হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ ও হবিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নববর্ষ বরণ করতে দিনব্যাপী মেলা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে চুনারুঘাটে পীরের বাজার নামক স্থানে আজ জমে উঠবে চুনারুঘাটের ঐতিহ্যবাহী বান্নী। ওই বান্নীকে নির্বিগ্ন করতে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।