মানবসৃষ্ট কর্মকান্ডের বৈশ্বিক প্রভাবে জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক ছোট্র দেশটি এই প্রভাবের শিকার। যার দরুণ ষড়ঋতুর দেশে তিন ঋতুর প্রভাব লক্ষণীয়। গরমের সময় অত্যাধিক গরম, অসময়ে অনাবৃষ্টি, শীতের তীব্রতা কমে যাওয়া। এই প্রভাব চলতে থাকলে একটি সময় শীত,বর্ষা, গ্রীষ্ম ছাড়া আর কোনো ঋতু পরবর্তী প্রজন্মরা চিনবে না।
বড় বড় উৎপাদন মূখী রাষ্ট্রের শিল্প-কারখানার কার্বন নিঃসরণের পাশাপাশি বাংলাদেশের মানবসৃষ্ট কর্মকান্ড প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য দায়ী। এর মাঝে রয়েছে নদী শাসন, পাহাড় ও বনভূমি ধ্বংস করা, অবাধে গাছ কর্তন। বিগত কয়েক বছর পূর্বেও বর্ষা মৌসুমে অত্যাধিক বৃষ্টি হলেও বন্যার তেমন আশঙ্কা দেখা যেতো না। কিন্তু এ যাবৎকালে অল্প বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চলগুলো দ্রুত প্লাবিত হয়ে যায়। এর জন্য অবশ্য আমরাই দায়ী।
নদীগুলোর স্বাভাবিক চলাচল বিঘ্নত। অবাধে বালু উত্তোলন করে পানির গতিপথ পরিবর্তন, বালু পরিবহনে নদীর বাঁধ দূর্বল করা, পলিথিনসহ সকল বর্জ্য নদীতে নিক্ষেপণ। বনখেঁকো দ্বারা পাহাড়ি গাছ, মাটি, ছড়া থেকে বালু উত্তোলনে পরিবেশ ধ্বংসের বিপর্যয় ডেকে আনছে।
বিগত দিনে থেকে পরিবেশেবাদীরা সচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিলেও দিনে দিনে পরিবেশ বিধ্বংসীরা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই কারণেই পরিবেশ ও বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা তরুণরা বিভিন্ন সভা-সেমিনারে দাবি তুলছেন পরিবেশ আন্দোলনকে রাজপথের আন্দোলনে রূপান্তর করতে। তরুণরা মনে করেন রাজপথের আন্দোলনেই সম্ভব পরিবেশ বিধ্বংসীদের রুখে দিতে। তারা আরো প্রত্যাশা করেন; দেশ ও মানুষের জীবন বাঁচাতে এই আন্দোলনে প্রজন্মদের বিশেষ অংশগ্রহণ থাকবে।