হবিগঞ্জ ০১:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সাংবাদিকতায় যদি সফলতা চান, তাহলে দিন শেষে ভাবেন-সিনিয়র সাংবাদিক আলমগীর হোসেন Logo গণবিপ্লবের মাধ্যমে আমরা মুক্ত হয়েছি- নির্বাসিত সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান Logo সহকারি শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার মাধবপুর উপজেলা শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচিত Logo ডাক্তারের ছেলে শ্রেণির ছাত্র জিয়াদ নিখোঁজ Logo একটি অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ও হবিগঞ্জ-৪ এর রাজনৈতিক ঐতিহ্য Logo চুনারুঘাটে সাংবাদিক নোমান কে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি Logo চুনারুঘাটে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি ও হত্যা মামলার আসামি আব্দুল হক কুটি র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার Logo ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার সময়ে প্রতিটি খুন-গুমের বিচার বাংলার মাটিতে হবে-মামুনুল হক Logo দেশকে অস্থির করার জন্য স্বৈরাচারের দোসরা নানামুখী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, সৈয়দ মোঃ শাহজাহান Logo চুনারুঘাটে টিসিবির পন্য বিক্রি না করে মজুদ: ২ ডিলারের মালিক আটক

মাধবপুরে মাদকের ছড়াছড়ি, হাত বাড়ালেই মিলছে ইয়াবা

মাধবপুরে হাত বাড়ালেই মিলছে মরণ নেশা মাদক। ইয়াবা, ফেনসিডিল কিংবা গাঁজা সেবনের জন্য খুব বেশি খুঁজতে হয়না মাদকসেবিদের। সবাই জানে কোথায় পাওয়া যায় কোন মাদক।

অনুসন্ধানে মিলেছে এমন বেশ কয়েকটি মাদকের খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রের। এসব স্পটে অনেকটা প্রকাশ্যেই মাদকের বেচাকেনা ও সেবনের ব্যবস্থা আছে। প্রতিটি স্পটের নিরাপত্তার জন্য আছে স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু লোক ও দালাল।

দালাল’রা চেহারা দেখেই বুঝতে পারে কে মাদকসেবী। এসব স্পটের বেশির ভাগ ক্রেতাই পরিচিত।অপরিচিত কেউ যেতে চাইলে পরিচিত কোন মাদকসেবিকে সাথে নিয়ে যেতে হয়।

তাই মাদকসেবি ছাড়া অন্য কেউ এসব স্পটে প্রবেশের সুযোগ পায় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন থেকে শুরু করে এসব দেখার দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেই চলছে মাদকের সবগুলো খুচরা বিক্রয়কেন্দ্র।

এসব খুচরা বিক্রয়কেন্দ্র বেশিরভাগই সীমান্তবর্তী এলাকায়। সরেজমিনে উপজেলার মাধবপুর পৌরসভা, বাঘাসুরা, শাহজাহানপুর, চৌমুহনী ও ধর্মঘর ইউনিয়নে ঘুরে দেখা যায়, মাধবপুর পৌরসভার সেমকো সিএনজি পাম্পের নিকট মাদক সম্রাট আলী আকবর এর বাড়িতে ইয়াবা ট্যাবলেট ও ফেনসিডিল বিক্রয় হয়।

আলী আকবর এর রয়েছে মাদক বিক্রির বিশাল নেটওয়ার্ক। বাঘাসুরা ইউনিয়নের শাহ্ সুলেমান ফতেহ গাজী মাজারের আশপাশে কয়েকটি স্পটে গাঁজা বিক্রি হয়। এখানে রঘুনন্দন পাহাড়ের উপরে নিয়মিত বসে গাঁজার আসর।

তেলিয়াপাড়া চা বাগানে স্মৃতিসৌধের কাছে চন্দ্র পান তাঁতির বাড়িতে অনেকটা প্রকাশ্যে ফেনসিডিল ও ইয়াবা বিক্রি হচ্ছে। তার বাড়িতে বসেই মাদকসেবিরা সেবন করে এসব মাদক।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন বাগানে প্রবেশের সাথে সাথেই খবর পৌঁছে যায় তার কাছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ কেউ তার নিকট থেকে নিয়মিত মাসোহারা নেয় বলে স্থানীয় লোকজন জানায়।

বিনিময়ে অভিযানের আগেই খবর পৌঁছে যায় তার কাছে। এখানে প্রতিদিন ১৫০/২০০ বোতল ফেনসিডিল বিক্রি হয় বলে জানা যায়।

তেলিয়াপাড়া চা বাগানে এছাড়াও আরও দুটি মাদকের খুচরা বিক্রয়কেন্দ্র আছে। ধর্মঘর ইউনিয়নের আলী শাহ মাজারের কাছে রুবেল মিয়া ও জেবু মিয়ার বাড়িতে এবং সস্তামুরা গ্রামের আলাউদ্দীন এর বাড়িতে ফেনসিডিল ও ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয় হয়।

চৌমুহনী ইউনিয়নের আরিচপুর গ্রামের মানিক মিয়ার বাড়িতে ফেনসিডিল ও ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয় হয়। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক কাজী হাবিবুর রহমান বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।

আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সায়েদুল হাসান পরে কথা বলবো বলে ফোন কেটে দেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিকতায় যদি সফলতা চান, তাহলে দিন শেষে ভাবেন-সিনিয়র সাংবাদিক আলমগীর হোসেন

মাধবপুরে মাদকের ছড়াছড়ি, হাত বাড়ালেই মিলছে ইয়াবা

আপডেট সময় ১১:১৭:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪

মাধবপুরে হাত বাড়ালেই মিলছে মরণ নেশা মাদক। ইয়াবা, ফেনসিডিল কিংবা গাঁজা সেবনের জন্য খুব বেশি খুঁজতে হয়না মাদকসেবিদের। সবাই জানে কোথায় পাওয়া যায় কোন মাদক।

অনুসন্ধানে মিলেছে এমন বেশ কয়েকটি মাদকের খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রের। এসব স্পটে অনেকটা প্রকাশ্যেই মাদকের বেচাকেনা ও সেবনের ব্যবস্থা আছে। প্রতিটি স্পটের নিরাপত্তার জন্য আছে স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু লোক ও দালাল।

দালাল’রা চেহারা দেখেই বুঝতে পারে কে মাদকসেবী। এসব স্পটের বেশির ভাগ ক্রেতাই পরিচিত।অপরিচিত কেউ যেতে চাইলে পরিচিত কোন মাদকসেবিকে সাথে নিয়ে যেতে হয়।

তাই মাদকসেবি ছাড়া অন্য কেউ এসব স্পটে প্রবেশের সুযোগ পায় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন থেকে শুরু করে এসব দেখার দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেই চলছে মাদকের সবগুলো খুচরা বিক্রয়কেন্দ্র।

এসব খুচরা বিক্রয়কেন্দ্র বেশিরভাগই সীমান্তবর্তী এলাকায়। সরেজমিনে উপজেলার মাধবপুর পৌরসভা, বাঘাসুরা, শাহজাহানপুর, চৌমুহনী ও ধর্মঘর ইউনিয়নে ঘুরে দেখা যায়, মাধবপুর পৌরসভার সেমকো সিএনজি পাম্পের নিকট মাদক সম্রাট আলী আকবর এর বাড়িতে ইয়াবা ট্যাবলেট ও ফেনসিডিল বিক্রয় হয়।

আলী আকবর এর রয়েছে মাদক বিক্রির বিশাল নেটওয়ার্ক। বাঘাসুরা ইউনিয়নের শাহ্ সুলেমান ফতেহ গাজী মাজারের আশপাশে কয়েকটি স্পটে গাঁজা বিক্রি হয়। এখানে রঘুনন্দন পাহাড়ের উপরে নিয়মিত বসে গাঁজার আসর।

তেলিয়াপাড়া চা বাগানে স্মৃতিসৌধের কাছে চন্দ্র পান তাঁতির বাড়িতে অনেকটা প্রকাশ্যে ফেনসিডিল ও ইয়াবা বিক্রি হচ্ছে। তার বাড়িতে বসেই মাদকসেবিরা সেবন করে এসব মাদক।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন বাগানে প্রবেশের সাথে সাথেই খবর পৌঁছে যায় তার কাছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ কেউ তার নিকট থেকে নিয়মিত মাসোহারা নেয় বলে স্থানীয় লোকজন জানায়।

বিনিময়ে অভিযানের আগেই খবর পৌঁছে যায় তার কাছে। এখানে প্রতিদিন ১৫০/২০০ বোতল ফেনসিডিল বিক্রি হয় বলে জানা যায়।

তেলিয়াপাড়া চা বাগানে এছাড়াও আরও দুটি মাদকের খুচরা বিক্রয়কেন্দ্র আছে। ধর্মঘর ইউনিয়নের আলী শাহ মাজারের কাছে রুবেল মিয়া ও জেবু মিয়ার বাড়িতে এবং সস্তামুরা গ্রামের আলাউদ্দীন এর বাড়িতে ফেনসিডিল ও ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয় হয়।

চৌমুহনী ইউনিয়নের আরিচপুর গ্রামের মানিক মিয়ার বাড়িতে ফেনসিডিল ও ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয় হয়। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক কাজী হাবিবুর রহমান বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।

আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সায়েদুল হাসান পরে কথা বলবো বলে ফোন কেটে দেন।