হবিগঞ্জ ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চুনারুঘাটে ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী পর্যটকের মৃত্যু Logo অসুস্থ সাবেক কৃতি ফুটবলার আকছিরের পাশে চুনারুঘাট উপজেলা ফুটবল একাডেমি  Logo আহম্মদাবাদ ইউনিয়নে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন Logo শহীদ মিনারে আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের শ্রদ্ধা নিবেদন Logo সীমান্তের ত্রাস গণধর্ষণ মামলার আসামী আবুল গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে  স্ত্রীর যৌতুক মামলায় বিয়ে পাগল স্বামী গ্রেপ্তার Logo নবাগত ইউএনওর সাথে চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের পরিচিত সভা ও মতবিনিময় Logo মাধবপুরে বিএনপির কর্মী সভা Logo ইউএনও’র পরিচিতি সভা বর্জন করলেন চুনারুঘাটে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ Logo শায়েস্তাগঞ্জে অর্থনৈতিক শুমারির কাজে জনপ্রতিনিধি ও আ’লীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মী!

বানিয়াচংয়ে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে জাতীয় ফল কাঁঠাল

বানিয়াচংয়ে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে জাতীয় ফল কাঁঠাল। গ্রীষ্মকালীন মৌসুমের অন্যতম ও জনপ্রিয় ফল হলো কাঁঠাল। উপজেলা সদরের স্হানীয় বাজারগুলোতে এখন পর্যন্ত কাঁঠাল না দেখা গেলে ও আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে বাজারে কাঁঠালের কেনা-বেচার ধুম পড়বে বলে জানিয়েছেন স্হানীয় ফল ব্যবসায়ীরা।চিকিৎসকদের মতে, কাঁঠালে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-ই, ক্যালসিয়াম, ফলিক এসিড রয়েছে। টাটকা ফল পটাশিয়াম, ম্যাগনোশিয়াম এবং আয়রনের একটি ভাল উৎস। পাঁকা কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণ আঁশ রয়েছে। ফলে পাঁকা কাঁঠাল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। সকল বয়সী মানুষই কমবেশি কাঁঠাল খেতে পছন্দ করে। কাঁঠালের বিচি (বীজ) প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং পুষ্টিকর। এর বিচি মাংস ও সবজির সঙ্গে রান্না করে খাওয়া যায়।কাঁঠাল মিষ্টি রসালো ও স্বাদে অতুলনীয় হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা অনেক।সামনে পহেলা বৈশাখ ও রমজান কে সামনে রেখে বেশ চাহিদা ও রয়েছে এই মৌসুমি ফল কাঁঠালের। সরেজমিনে বানিয়াচং উপজেলা সদরের আমিরখানী,চানপাড়া,কুতুবখানী,শেখেরমহল্লাসহ উপজেলার অধিকাংশ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বাড়ির আঙ্গিনায় এবং বাণিজ্যিক উদ্দ্যেশ্যে পরিকল্পিতভাবে সৃজন করা হয়েছে জাতীয় ফল কাঁঠাল বাগান। এক একটি গাছে ৩০-১০০টির মতো কাঁঠাল রয়েছে। কাঁঠাল গাছগুলো যেনো এক প্রকার প্রকৃতির রুপ দিয়ে সাজানো হয়েছে।বৃষ্টির কারণে ফল বড় হতে না পারলেও এখন পর্যন্ত গাছে কাঁঠালের যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে তাতে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে ফলন ভাল হবে বলে মনে করছেন বাগান মালিকরা।যদিও এখনও পাঁকা কাঁঠাল বাজারে আসতে শুরু করেনি তারপরও এক মাস পরেই লোভনীয় কাঁঠাল ফলের গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠবে স্থানীয় হাট-বাজার গুলো।এ ব্যাপারে স্হানীয় কাঁঠাল ব্যবসায়ী জুয়েল মিয়া জানান,বৃষ্টির অনুপস্থিতিতে বিগত বছরের তুলনায় গাছে কাঁঠাল কম ধরেছে।প্রতিটি গাছে গড়ে ৩০-৯০ টি কাঁঠাল ধরেছে।কাঁঠালগুলো পাকতে আরো মাসেক-দেড়েক লাগবে।প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কাঁঠালগুলো বেশ ভালো দামেই বিক্রি করতে পারব বলে জানিয়েছেন তিনি।এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন,জাতীয় ফল কাঁঠাল উৎপাদনে খরচ খুবই কম। নির্ধারিত সময় গাছের পরিচর্চা যেমন-আগাছা পরিস্কার,গাছের নিচে উর্বর মাটি দেওয়া,এবং ফল আসার পর একটু দেখাশুনা করলেই চলে।তাছাড়া উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদেরকে সার্বিকভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

চুনারুঘাটে ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী পর্যটকের মৃত্যু

বানিয়াচংয়ে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে জাতীয় ফল কাঁঠাল

আপডেট সময় ০৭:৩৪:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ মার্চ ২০২২

বানিয়াচংয়ে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে জাতীয় ফল কাঁঠাল। গ্রীষ্মকালীন মৌসুমের অন্যতম ও জনপ্রিয় ফল হলো কাঁঠাল। উপজেলা সদরের স্হানীয় বাজারগুলোতে এখন পর্যন্ত কাঁঠাল না দেখা গেলে ও আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে বাজারে কাঁঠালের কেনা-বেচার ধুম পড়বে বলে জানিয়েছেন স্হানীয় ফল ব্যবসায়ীরা।চিকিৎসকদের মতে, কাঁঠালে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-ই, ক্যালসিয়াম, ফলিক এসিড রয়েছে। টাটকা ফল পটাশিয়াম, ম্যাগনোশিয়াম এবং আয়রনের একটি ভাল উৎস। পাঁকা কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণ আঁশ রয়েছে। ফলে পাঁকা কাঁঠাল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। সকল বয়সী মানুষই কমবেশি কাঁঠাল খেতে পছন্দ করে। কাঁঠালের বিচি (বীজ) প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং পুষ্টিকর। এর বিচি মাংস ও সবজির সঙ্গে রান্না করে খাওয়া যায়।কাঁঠাল মিষ্টি রসালো ও স্বাদে অতুলনীয় হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা অনেক।সামনে পহেলা বৈশাখ ও রমজান কে সামনে রেখে বেশ চাহিদা ও রয়েছে এই মৌসুমি ফল কাঁঠালের। সরেজমিনে বানিয়াচং উপজেলা সদরের আমিরখানী,চানপাড়া,কুতুবখানী,শেখেরমহল্লাসহ উপজেলার অধিকাংশ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বাড়ির আঙ্গিনায় এবং বাণিজ্যিক উদ্দ্যেশ্যে পরিকল্পিতভাবে সৃজন করা হয়েছে জাতীয় ফল কাঁঠাল বাগান। এক একটি গাছে ৩০-১০০টির মতো কাঁঠাল রয়েছে। কাঁঠাল গাছগুলো যেনো এক প্রকার প্রকৃতির রুপ দিয়ে সাজানো হয়েছে।বৃষ্টির কারণে ফল বড় হতে না পারলেও এখন পর্যন্ত গাছে কাঁঠালের যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে তাতে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে ফলন ভাল হবে বলে মনে করছেন বাগান মালিকরা।যদিও এখনও পাঁকা কাঁঠাল বাজারে আসতে শুরু করেনি তারপরও এক মাস পরেই লোভনীয় কাঁঠাল ফলের গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠবে স্থানীয় হাট-বাজার গুলো।এ ব্যাপারে স্হানীয় কাঁঠাল ব্যবসায়ী জুয়েল মিয়া জানান,বৃষ্টির অনুপস্থিতিতে বিগত বছরের তুলনায় গাছে কাঁঠাল কম ধরেছে।প্রতিটি গাছে গড়ে ৩০-৯০ টি কাঁঠাল ধরেছে।কাঁঠালগুলো পাকতে আরো মাসেক-দেড়েক লাগবে।প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কাঁঠালগুলো বেশ ভালো দামেই বিক্রি করতে পারব বলে জানিয়েছেন তিনি।এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন,জাতীয় ফল কাঁঠাল উৎপাদনে খরচ খুবই কম। নির্ধারিত সময় গাছের পরিচর্চা যেমন-আগাছা পরিস্কার,গাছের নিচে উর্বর মাটি দেওয়া,এবং ফল আসার পর একটু দেখাশুনা করলেই চলে।তাছাড়া উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদেরকে সার্বিকভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।