হবিগঞ্জ ১২:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সৎ প্রশাসকদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা কোথায়? Logo চুনারুঘাটে ৩৯ বছরের বর্ণাঢ্য শিক্ষকতা পেশার অরবিন্দ দত্তের সমাপ্তি Logo ব্যারিস্টার সুমন এমপিকে সংবর্ধনা দিল চুনারুঘাট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি Logo চুনারুঘাটে ১৭ কেজি গাঁজা সহ কারবারি গ্রেপ্তার Logo ৪র্থ বারের মতো জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন চুনারুঘাট থানার এসআই লিটন রায় Logo ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার পরিকল্পনাকারী সোহাগ গ্রেফতার Logo ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় হত্যা মামলার আসামি জালাল গ্রেপ্তার Logo ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার পরিকল্পনার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন Logo চুনারুঘাটে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হলেন তৌফিক মিয়া তালুকদার Logo ব্যারিস্টার সুমনের হত্যার পরিকল্পনারকারীদের গ্রেফতারে দাবীতে চুনারুঘাটে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ 

বানিয়াচংয়ে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে জাতীয় ফল কাঁঠাল

বানিয়াচংয়ে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে জাতীয় ফল কাঁঠাল। গ্রীষ্মকালীন মৌসুমের অন্যতম ও জনপ্রিয় ফল হলো কাঁঠাল। উপজেলা সদরের স্হানীয় বাজারগুলোতে এখন পর্যন্ত কাঁঠাল না দেখা গেলে ও আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে বাজারে কাঁঠালের কেনা-বেচার ধুম পড়বে বলে জানিয়েছেন স্হানীয় ফল ব্যবসায়ীরা।চিকিৎসকদের মতে, কাঁঠালে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-ই, ক্যালসিয়াম, ফলিক এসিড রয়েছে। টাটকা ফল পটাশিয়াম, ম্যাগনোশিয়াম এবং আয়রনের একটি ভাল উৎস। পাঁকা কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণ আঁশ রয়েছে। ফলে পাঁকা কাঁঠাল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। সকল বয়সী মানুষই কমবেশি কাঁঠাল খেতে পছন্দ করে। কাঁঠালের বিচি (বীজ) প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং পুষ্টিকর। এর বিচি মাংস ও সবজির সঙ্গে রান্না করে খাওয়া যায়।কাঁঠাল মিষ্টি রসালো ও স্বাদে অতুলনীয় হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা অনেক।সামনে পহেলা বৈশাখ ও রমজান কে সামনে রেখে বেশ চাহিদা ও রয়েছে এই মৌসুমি ফল কাঁঠালের। সরেজমিনে বানিয়াচং উপজেলা সদরের আমিরখানী,চানপাড়া,কুতুবখানী,শেখেরমহল্লাসহ উপজেলার অধিকাংশ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বাড়ির আঙ্গিনায় এবং বাণিজ্যিক উদ্দ্যেশ্যে পরিকল্পিতভাবে সৃজন করা হয়েছে জাতীয় ফল কাঁঠাল বাগান। এক একটি গাছে ৩০-১০০টির মতো কাঁঠাল রয়েছে। কাঁঠাল গাছগুলো যেনো এক প্রকার প্রকৃতির রুপ দিয়ে সাজানো হয়েছে।বৃষ্টির কারণে ফল বড় হতে না পারলেও এখন পর্যন্ত গাছে কাঁঠালের যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে তাতে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে ফলন ভাল হবে বলে মনে করছেন বাগান মালিকরা।যদিও এখনও পাঁকা কাঁঠাল বাজারে আসতে শুরু করেনি তারপরও এক মাস পরেই লোভনীয় কাঁঠাল ফলের গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠবে স্থানীয় হাট-বাজার গুলো।এ ব্যাপারে স্হানীয় কাঁঠাল ব্যবসায়ী জুয়েল মিয়া জানান,বৃষ্টির অনুপস্থিতিতে বিগত বছরের তুলনায় গাছে কাঁঠাল কম ধরেছে।প্রতিটি গাছে গড়ে ৩০-৯০ টি কাঁঠাল ধরেছে।কাঁঠালগুলো পাকতে আরো মাসেক-দেড়েক লাগবে।প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কাঁঠালগুলো বেশ ভালো দামেই বিক্রি করতে পারব বলে জানিয়েছেন তিনি।এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন,জাতীয় ফল কাঁঠাল উৎপাদনে খরচ খুবই কম। নির্ধারিত সময় গাছের পরিচর্চা যেমন-আগাছা পরিস্কার,গাছের নিচে উর্বর মাটি দেওয়া,এবং ফল আসার পর একটু দেখাশুনা করলেই চলে।তাছাড়া উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদেরকে সার্বিকভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সৎ প্রশাসকদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা কোথায়?

বানিয়াচংয়ে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে জাতীয় ফল কাঁঠাল

আপডেট সময় ০৭:৩৪:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ মার্চ ২০২২

বানিয়াচংয়ে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে জাতীয় ফল কাঁঠাল। গ্রীষ্মকালীন মৌসুমের অন্যতম ও জনপ্রিয় ফল হলো কাঁঠাল। উপজেলা সদরের স্হানীয় বাজারগুলোতে এখন পর্যন্ত কাঁঠাল না দেখা গেলে ও আগামী এক-দেড় মাসের মধ্যে বাজারে কাঁঠালের কেনা-বেচার ধুম পড়বে বলে জানিয়েছেন স্হানীয় ফল ব্যবসায়ীরা।চিকিৎসকদের মতে, কাঁঠালে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-ই, ক্যালসিয়াম, ফলিক এসিড রয়েছে। টাটকা ফল পটাশিয়াম, ম্যাগনোশিয়াম এবং আয়রনের একটি ভাল উৎস। পাঁকা কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণ আঁশ রয়েছে। ফলে পাঁকা কাঁঠাল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। সকল বয়সী মানুষই কমবেশি কাঁঠাল খেতে পছন্দ করে। কাঁঠালের বিচি (বীজ) প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং পুষ্টিকর। এর বিচি মাংস ও সবজির সঙ্গে রান্না করে খাওয়া যায়।কাঁঠাল মিষ্টি রসালো ও স্বাদে অতুলনীয় হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা অনেক।সামনে পহেলা বৈশাখ ও রমজান কে সামনে রেখে বেশ চাহিদা ও রয়েছে এই মৌসুমি ফল কাঁঠালের। সরেজমিনে বানিয়াচং উপজেলা সদরের আমিরখানী,চানপাড়া,কুতুবখানী,শেখেরমহল্লাসহ উপজেলার অধিকাংশ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বাড়ির আঙ্গিনায় এবং বাণিজ্যিক উদ্দ্যেশ্যে পরিকল্পিতভাবে সৃজন করা হয়েছে জাতীয় ফল কাঁঠাল বাগান। এক একটি গাছে ৩০-১০০টির মতো কাঁঠাল রয়েছে। কাঁঠাল গাছগুলো যেনো এক প্রকার প্রকৃতির রুপ দিয়ে সাজানো হয়েছে।বৃষ্টির কারণে ফল বড় হতে না পারলেও এখন পর্যন্ত গাছে কাঁঠালের যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে তাতে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে ফলন ভাল হবে বলে মনে করছেন বাগান মালিকরা।যদিও এখনও পাঁকা কাঁঠাল বাজারে আসতে শুরু করেনি তারপরও এক মাস পরেই লোভনীয় কাঁঠাল ফলের গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠবে স্থানীয় হাট-বাজার গুলো।এ ব্যাপারে স্হানীয় কাঁঠাল ব্যবসায়ী জুয়েল মিয়া জানান,বৃষ্টির অনুপস্থিতিতে বিগত বছরের তুলনায় গাছে কাঁঠাল কম ধরেছে।প্রতিটি গাছে গড়ে ৩০-৯০ টি কাঁঠাল ধরেছে।কাঁঠালগুলো পাকতে আরো মাসেক-দেড়েক লাগবে।প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কাঁঠালগুলো বেশ ভালো দামেই বিক্রি করতে পারব বলে জানিয়েছেন তিনি।এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন,জাতীয় ফল কাঁঠাল উৎপাদনে খরচ খুবই কম। নির্ধারিত সময় গাছের পরিচর্চা যেমন-আগাছা পরিস্কার,গাছের নিচে উর্বর মাটি দেওয়া,এবং ফল আসার পর একটু দেখাশুনা করলেই চলে।তাছাড়া উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদেরকে সার্বিকভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।