হবিগঞ্জ ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মুড়ারবন্দ তাজদারে মাদীনা সুন্নী যুব সংঘের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত Logo জুলাই শহীদ স্মৃতি গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে চুনারুঘাট ফুটবল একাদশের জার্সি উন্মোচন Logo ‘বিউটিফুল চুনারুঘাট’ এর ব্যতিক্রমি উদ্যোগ সৌন্দর্য বর্ধনে একহাজার বৃক্ষরোপণের পরিকল্পনা Logo মাধবপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার, দুই কারবারি গ্রেফতার Logo চুনারুঘাটে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান Logo আইএফআইসি ব্যাংক এবং শক্তি ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে “হার পাওয়ার” শীর্ষক স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মশালা Logo চুনারুঘাটে দিনে-দুপুরে সাদাবালু চুরির সময় জনতার হাতে আটক-১ Logo বাহুবল নবীগঞ্জের পর এবার চুনারুঘাটে বিএনপির ঝাড়ু মিছিল Logo নির্মাণ শেষের আগেই ২ বার ধসে পড়লো মডেল মসজিদের ছাদ Logo চুনারুঘাটে চুরি হওয়া কাঠ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ

মাধবপুরে পোলট্রি মোরগের দোকানগুলোতে ডিজিটাল পাল্লায় চলছে ডিজিটাল চুরি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৩৪:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২
  • ২৩৭ বার পড়া হয়েছে

মাধবপুর উপজেলায় পোলট্রি মোরগের দোকানগুলোতে ডিজিটাল পাল্লায় বর্তমানে চলে মুরগী বিক্রি।সাথে ডিজিটাল চুরি করছে মানুষের সাথে।

আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে পাল্লায় পণ্য ওজনের ক্ষেত্রেও এসেছে আধুনিকতা। একটা সময় দোকানে ওজন মাপার জন্য ব্যবহার করা হতো বাটকারা কিন্তু বর্তমানে সেই বাটকারার পাল্লা নেই বললেই চলে। আধুনিকতার ছোঁয়াকে পুঁজি করে অসাধু মুরগী ব্যবসায়ীরা হরহামেশাই গ্রাহকদেরকে ঠকাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মুরগি ব্যবসায়ী জানান, বাজারের প্রায় সকল মুরগী দোকানগুলোতে পোল্ট্রি মুরগী ওজন করতে ডিজিটাল পাল্লা ব্যবহার করা হয়। আর এই ডিজিটাল পাল্লায় চলছে নিরবে ডিজিটাল কারচুপি। পোল্ট্রি মুরগী কিনতে আসা গ্রাহকদেরকে ওজনে প্রতি কেজিতে প্রায় ২০০-৩০০ গ্রাম ওজন কম দিচ্ছে।

কিভাবে কম দিচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়ে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে কারচুপির আসল কাহিনী, বাজারে প্রত্যেক্টা পোল্ট্রি মুরগী বিক্রয়ের দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রত্যেকটি ডিজিটাল পাল্লায় এক ধরনের রিমোট সিস্টেম লাগানো থাকে। সেই সিস্টেমকে দূর থেকে রিমোটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। মুরগী ওজন করার সময় সেই রিমোটে চাপ দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুরগীর ওজন কেজিতে ২০০-৩০০ গ্রাম বেড়ে যায় এবং সে অনুযায়ী গ্রাহকের কাছ থেকে দাম রাখা হয়।

আবার সেই একই মুরগীকে অন্য সঠিক একটি পাল্লায় মাপা হলে সেটাতে প্রতি কেজিতে ২০০-৩০০ গ্রাম বা তারও বেশি কম পাওয়া যায়। এই রকমভাবে ২ কেজি ওজনের বা তারও বেশি একটি মুরগি ক্রয় করার পর সেটা অন্য একটি নির্ভুল পাল্লায় মাপা হলে যাদুর মতই প্রায় ৪০০-৫০০ গ্রাম মুরগীর ওজন হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। আবার কোন কোন পাল্লায় এক প্রকার তার সংযোজন করা থাকে এবং সেই তার মাটির নিচ দিয়ে লোক চক্ষুর আড়ালে দোকান মালিকের পায়ের নিচে রাখা হয়। যখনই মুরগী পাল্লায় তোলা হয় মাপার জন্য তখন পায়ের নিচে রাখা তারের মধ্যে চাপ দিলে পাল্লায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ২০০-৩০০গ্রাম বেশি ওজন চলে আসে। গ্রাহকদের কোন কিছু বোঝার উপায় নেই।

পাল্লায় কম দেয়া নিয়ে কয়েকবার বাজারে মুরগী ব্যবসায়ী ও গ্রাকদের সাথে ঝগড়া হলেও এখন পর্যন্ত কোন সঠিক সমাধানে আসেনি মুরগী ব্যবসায়ীরা। মাধবপুর বাজার ব্যবসায়ী কমিটি এবং প্রশাসনের সঠিক নজরদারির অভাবে দিনের পর দিন মুরগী ব্যবসায়ীরা গ্রাহকদের সাথে এমন প্রতারণা করে যাচ্ছে বলে স্থানীয়রা মনে করছে। প্রশাসন বাজার মনিটরিং না করলে এই সমস্যা আরো বাড়তে পারে।

এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন বলেন, এই ব্যাপারে আমরা খুব শীগ্রই বাজারে অভিযান দিব এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। হবিগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা বলেন, এই ব্যাপারে অবগত হয়েছি কিছুদিনের মধ্যেই অভিযানে যাবো

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

মুড়ারবন্দ তাজদারে মাদীনা সুন্নী যুব সংঘের উদ্যোগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত

মাধবপুরে পোলট্রি মোরগের দোকানগুলোতে ডিজিটাল পাল্লায় চলছে ডিজিটাল চুরি

আপডেট সময় ০৮:৩৪:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২

মাধবপুর উপজেলায় পোলট্রি মোরগের দোকানগুলোতে ডিজিটাল পাল্লায় বর্তমানে চলে মুরগী বিক্রি।সাথে ডিজিটাল চুরি করছে মানুষের সাথে।

আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে পাল্লায় পণ্য ওজনের ক্ষেত্রেও এসেছে আধুনিকতা। একটা সময় দোকানে ওজন মাপার জন্য ব্যবহার করা হতো বাটকারা কিন্তু বর্তমানে সেই বাটকারার পাল্লা নেই বললেই চলে। আধুনিকতার ছোঁয়াকে পুঁজি করে অসাধু মুরগী ব্যবসায়ীরা হরহামেশাই গ্রাহকদেরকে ঠকাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মুরগি ব্যবসায়ী জানান, বাজারের প্রায় সকল মুরগী দোকানগুলোতে পোল্ট্রি মুরগী ওজন করতে ডিজিটাল পাল্লা ব্যবহার করা হয়। আর এই ডিজিটাল পাল্লায় চলছে নিরবে ডিজিটাল কারচুপি। পোল্ট্রি মুরগী কিনতে আসা গ্রাহকদেরকে ওজনে প্রতি কেজিতে প্রায় ২০০-৩০০ গ্রাম ওজন কম দিচ্ছে।

কিভাবে কম দিচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়ে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে কারচুপির আসল কাহিনী, বাজারে প্রত্যেক্টা পোল্ট্রি মুরগী বিক্রয়ের দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রত্যেকটি ডিজিটাল পাল্লায় এক ধরনের রিমোট সিস্টেম লাগানো থাকে। সেই সিস্টেমকে দূর থেকে রিমোটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। মুরগী ওজন করার সময় সেই রিমোটে চাপ দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুরগীর ওজন কেজিতে ২০০-৩০০ গ্রাম বেড়ে যায় এবং সে অনুযায়ী গ্রাহকের কাছ থেকে দাম রাখা হয়।

আবার সেই একই মুরগীকে অন্য সঠিক একটি পাল্লায় মাপা হলে সেটাতে প্রতি কেজিতে ২০০-৩০০ গ্রাম বা তারও বেশি কম পাওয়া যায়। এই রকমভাবে ২ কেজি ওজনের বা তারও বেশি একটি মুরগি ক্রয় করার পর সেটা অন্য একটি নির্ভুল পাল্লায় মাপা হলে যাদুর মতই প্রায় ৪০০-৫০০ গ্রাম মুরগীর ওজন হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। আবার কোন কোন পাল্লায় এক প্রকার তার সংযোজন করা থাকে এবং সেই তার মাটির নিচ দিয়ে লোক চক্ষুর আড়ালে দোকান মালিকের পায়ের নিচে রাখা হয়। যখনই মুরগী পাল্লায় তোলা হয় মাপার জন্য তখন পায়ের নিচে রাখা তারের মধ্যে চাপ দিলে পাল্লায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ২০০-৩০০গ্রাম বেশি ওজন চলে আসে। গ্রাহকদের কোন কিছু বোঝার উপায় নেই।

পাল্লায় কম দেয়া নিয়ে কয়েকবার বাজারে মুরগী ব্যবসায়ী ও গ্রাকদের সাথে ঝগড়া হলেও এখন পর্যন্ত কোন সঠিক সমাধানে আসেনি মুরগী ব্যবসায়ীরা। মাধবপুর বাজার ব্যবসায়ী কমিটি এবং প্রশাসনের সঠিক নজরদারির অভাবে দিনের পর দিন মুরগী ব্যবসায়ীরা গ্রাহকদের সাথে এমন প্রতারণা করে যাচ্ছে বলে স্থানীয়রা মনে করছে। প্রশাসন বাজার মনিটরিং না করলে এই সমস্যা আরো বাড়তে পারে।

এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন বলেন, এই ব্যাপারে আমরা খুব শীগ্রই বাজারে অভিযান দিব এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। হবিগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা বলেন, এই ব্যাপারে অবগত হয়েছি কিছুদিনের মধ্যেই অভিযানে যাবো