হবিগঞ্জ ১১:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মাধবপুরে বিএনপির কর্মী সভা Logo ইউএনও’র পরিচিতি সভা বর্জন করলেন চুনারুঘাটে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ Logo শায়েস্তাগঞ্জে অর্থনৈতিক শুমারির কাজে জনপ্রতিনিধি ও আ’লীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মী! Logo চুনারুঘাটের বাল্লা স্থলবন্দর চালু নিয়ে অনিশ্চয়তা, তদন্ত কমিটি গঠন Logo মাধবপুরে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার Logo আমি সাংবাদিক ছিলাম, আমাকে সাংবাদিকতা শিখাতে হবেনা, ভোক্তা’র পরিচালক দেবানন্দ Logo চুনারুঘাটে জমি নিয়ে বিরোধ, প্রতিপক্ষের হামলায় খুন ১ Logo বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় তাঁতীলীগের সভাপতি জামাল মেম্বার গ্রেফতার Logo পূবালী ব্যাংক চুনারুঘাট শাখায় ইসলামী ব্যাংকিং কর্নারের উদ্বোধন Logo পিতাকে যাদুকরে হত্যার সন্দেহে কবিরাজকে গলা কেটে হত্যা

মাধবপুরে পোলট্রি মোরগের দোকানগুলোতে ডিজিটাল পাল্লায় চলছে ডিজিটাল চুরি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৩৪:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২
  • ১৭৭ বার পড়া হয়েছে

মাধবপুর উপজেলায় পোলট্রি মোরগের দোকানগুলোতে ডিজিটাল পাল্লায় বর্তমানে চলে মুরগী বিক্রি।সাথে ডিজিটাল চুরি করছে মানুষের সাথে।

আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে পাল্লায় পণ্য ওজনের ক্ষেত্রেও এসেছে আধুনিকতা। একটা সময় দোকানে ওজন মাপার জন্য ব্যবহার করা হতো বাটকারা কিন্তু বর্তমানে সেই বাটকারার পাল্লা নেই বললেই চলে। আধুনিকতার ছোঁয়াকে পুঁজি করে অসাধু মুরগী ব্যবসায়ীরা হরহামেশাই গ্রাহকদেরকে ঠকাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মুরগি ব্যবসায়ী জানান, বাজারের প্রায় সকল মুরগী দোকানগুলোতে পোল্ট্রি মুরগী ওজন করতে ডিজিটাল পাল্লা ব্যবহার করা হয়। আর এই ডিজিটাল পাল্লায় চলছে নিরবে ডিজিটাল কারচুপি। পোল্ট্রি মুরগী কিনতে আসা গ্রাহকদেরকে ওজনে প্রতি কেজিতে প্রায় ২০০-৩০০ গ্রাম ওজন কম দিচ্ছে।

কিভাবে কম দিচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়ে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে কারচুপির আসল কাহিনী, বাজারে প্রত্যেক্টা পোল্ট্রি মুরগী বিক্রয়ের দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রত্যেকটি ডিজিটাল পাল্লায় এক ধরনের রিমোট সিস্টেম লাগানো থাকে। সেই সিস্টেমকে দূর থেকে রিমোটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। মুরগী ওজন করার সময় সেই রিমোটে চাপ দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুরগীর ওজন কেজিতে ২০০-৩০০ গ্রাম বেড়ে যায় এবং সে অনুযায়ী গ্রাহকের কাছ থেকে দাম রাখা হয়।

আবার সেই একই মুরগীকে অন্য সঠিক একটি পাল্লায় মাপা হলে সেটাতে প্রতি কেজিতে ২০০-৩০০ গ্রাম বা তারও বেশি কম পাওয়া যায়। এই রকমভাবে ২ কেজি ওজনের বা তারও বেশি একটি মুরগি ক্রয় করার পর সেটা অন্য একটি নির্ভুল পাল্লায় মাপা হলে যাদুর মতই প্রায় ৪০০-৫০০ গ্রাম মুরগীর ওজন হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। আবার কোন কোন পাল্লায় এক প্রকার তার সংযোজন করা থাকে এবং সেই তার মাটির নিচ দিয়ে লোক চক্ষুর আড়ালে দোকান মালিকের পায়ের নিচে রাখা হয়। যখনই মুরগী পাল্লায় তোলা হয় মাপার জন্য তখন পায়ের নিচে রাখা তারের মধ্যে চাপ দিলে পাল্লায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ২০০-৩০০গ্রাম বেশি ওজন চলে আসে। গ্রাহকদের কোন কিছু বোঝার উপায় নেই।

পাল্লায় কম দেয়া নিয়ে কয়েকবার বাজারে মুরগী ব্যবসায়ী ও গ্রাকদের সাথে ঝগড়া হলেও এখন পর্যন্ত কোন সঠিক সমাধানে আসেনি মুরগী ব্যবসায়ীরা। মাধবপুর বাজার ব্যবসায়ী কমিটি এবং প্রশাসনের সঠিক নজরদারির অভাবে দিনের পর দিন মুরগী ব্যবসায়ীরা গ্রাহকদের সাথে এমন প্রতারণা করে যাচ্ছে বলে স্থানীয়রা মনে করছে। প্রশাসন বাজার মনিটরিং না করলে এই সমস্যা আরো বাড়তে পারে।

এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন বলেন, এই ব্যাপারে আমরা খুব শীগ্রই বাজারে অভিযান দিব এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। হবিগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা বলেন, এই ব্যাপারে অবগত হয়েছি কিছুদিনের মধ্যেই অভিযানে যাবো

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

মাধবপুরে বিএনপির কর্মী সভা

মাধবপুরে পোলট্রি মোরগের দোকানগুলোতে ডিজিটাল পাল্লায় চলছে ডিজিটাল চুরি

আপডেট সময় ০৮:৩৪:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২

মাধবপুর উপজেলায় পোলট্রি মোরগের দোকানগুলোতে ডিজিটাল পাল্লায় বর্তমানে চলে মুরগী বিক্রি।সাথে ডিজিটাল চুরি করছে মানুষের সাথে।

আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে পাল্লায় পণ্য ওজনের ক্ষেত্রেও এসেছে আধুনিকতা। একটা সময় দোকানে ওজন মাপার জন্য ব্যবহার করা হতো বাটকারা কিন্তু বর্তমানে সেই বাটকারার পাল্লা নেই বললেই চলে। আধুনিকতার ছোঁয়াকে পুঁজি করে অসাধু মুরগী ব্যবসায়ীরা হরহামেশাই গ্রাহকদেরকে ঠকাচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মুরগি ব্যবসায়ী জানান, বাজারের প্রায় সকল মুরগী দোকানগুলোতে পোল্ট্রি মুরগী ওজন করতে ডিজিটাল পাল্লা ব্যবহার করা হয়। আর এই ডিজিটাল পাল্লায় চলছে নিরবে ডিজিটাল কারচুপি। পোল্ট্রি মুরগী কিনতে আসা গ্রাহকদেরকে ওজনে প্রতি কেজিতে প্রায় ২০০-৩০০ গ্রাম ওজন কম দিচ্ছে।

কিভাবে কম দিচ্ছে এমন প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়ে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে কারচুপির আসল কাহিনী, বাজারে প্রত্যেক্টা পোল্ট্রি মুরগী বিক্রয়ের দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রত্যেকটি ডিজিটাল পাল্লায় এক ধরনের রিমোট সিস্টেম লাগানো থাকে। সেই সিস্টেমকে দূর থেকে রিমোটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। মুরগী ওজন করার সময় সেই রিমোটে চাপ দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুরগীর ওজন কেজিতে ২০০-৩০০ গ্রাম বেড়ে যায় এবং সে অনুযায়ী গ্রাহকের কাছ থেকে দাম রাখা হয়।

আবার সেই একই মুরগীকে অন্য সঠিক একটি পাল্লায় মাপা হলে সেটাতে প্রতি কেজিতে ২০০-৩০০ গ্রাম বা তারও বেশি কম পাওয়া যায়। এই রকমভাবে ২ কেজি ওজনের বা তারও বেশি একটি মুরগি ক্রয় করার পর সেটা অন্য একটি নির্ভুল পাল্লায় মাপা হলে যাদুর মতই প্রায় ৪০০-৫০০ গ্রাম মুরগীর ওজন হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। আবার কোন কোন পাল্লায় এক প্রকার তার সংযোজন করা থাকে এবং সেই তার মাটির নিচ দিয়ে লোক চক্ষুর আড়ালে দোকান মালিকের পায়ের নিচে রাখা হয়। যখনই মুরগী পাল্লায় তোলা হয় মাপার জন্য তখন পায়ের নিচে রাখা তারের মধ্যে চাপ দিলে পাল্লায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ২০০-৩০০গ্রাম বেশি ওজন চলে আসে। গ্রাহকদের কোন কিছু বোঝার উপায় নেই।

পাল্লায় কম দেয়া নিয়ে কয়েকবার বাজারে মুরগী ব্যবসায়ী ও গ্রাকদের সাথে ঝগড়া হলেও এখন পর্যন্ত কোন সঠিক সমাধানে আসেনি মুরগী ব্যবসায়ীরা। মাধবপুর বাজার ব্যবসায়ী কমিটি এবং প্রশাসনের সঠিক নজরদারির অভাবে দিনের পর দিন মুরগী ব্যবসায়ীরা গ্রাহকদের সাথে এমন প্রতারণা করে যাচ্ছে বলে স্থানীয়রা মনে করছে। প্রশাসন বাজার মনিটরিং না করলে এই সমস্যা আরো বাড়তে পারে।

এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন বলেন, এই ব্যাপারে আমরা খুব শীগ্রই বাজারে অভিযান দিব এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। হবিগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা বলেন, এই ব্যাপারে অবগত হয়েছি কিছুদিনের মধ্যেই অভিযানে যাবো