হবিগঞ্জ ০১:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের দামী সেগুন গাছ চুরি Logo চুনারুঘাটে দোকানের কর্মচারীকে মারধর ও লুটপাট: মামলা Logo ইসলামী আন্দোলনের মিরাশী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড শাখার সম্মেলন ও ঈদ পুনর্মিলনী Logo যুবলীগ নেতা ভূমিখেকো নাসিরের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ Logo চুনারুঘাট উপজেলা ছাত্র জমিয়তের কর্মী সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন Logo ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ, ভিড় বাস-ট্রেন-লঞ্চে Logo শেকড় সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে ৩শ’ রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ বিতরণ Logo হবিগঞ্জে বিআরটিএ অভিযানে ৬ যানবাহন চালকে জরিমানা Logo ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মিরাশী ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে ঈদ পূণর্মিলনী Logo ঈদযাত্রায় মহাসড়কে পুলিশের টহল জোরদার, সিলেটবাসীর নির্বিঘ্ন ঘরে ফেরা

জুরি উপজেলার লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনের দিলকুশ ও শুকনাছড়া বনে আগুনে পুড়ে ছাই

মৌলভীবাজারের লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনের দিলকুশ ও শুকনাছড়া এলাকায় এক কিলোমিটার জোরে বনে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে পুড়ে যাওয়া বনের বিষয়টি জানে না বন বিভাগ। এটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবাদীরা।

জানা যায়, জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনটি ৫৬৩১.৪০ হেক্টর এলাকা নিয়ে বিস্তৃত। বনের এ অংশে হতে যাচ্ছে দেশের তৃতীয় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক। কিন্তু প্রতি বছর এ বনের বিভিন্ন অংশে আগুন লাগলেও কর্তৃপক্ষ উদাসীন।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের প্রধান ফটক, জড়িছড়া রাস্তার প্রবেশ পথ ও শুকনাছড়ার এক কিলোমিটারের বেশি এলাকা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে পুড়ে সরীসৃপ প্রজাতির প্রাণী, বিরল প্রজাতির কীটপতঙ্গ এবং বেশ কিছু প্রজাতির বৃক্ষের ক্ষতি হয়েছে।

এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী রিকশাচালক আহ্সান উল্লাল বলেন, ‘গত বুধ ও বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ করে আমরা বনে আগুন দেখতে পাই। আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় বনের অনেক জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি বন বিভাগকে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। যার ফলে এখানকার বিভিন্ন বিরল প্রজাতির প্রাণীসহ পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।’

স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রস্তাবিত সাফারি পার্ক এলাকায় বারবার পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানো হচ্ছে। আগুন দেখার পর আমরা স্থানীয়রা নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিট কর্মকর্তাকে দেখিনি।’

এ বিষয়ে লাঠিটিলা বিট কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।

বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আমি বনে আগুন লাগার  বিষয়টি এখনও জানি না‌। এটি সিলেট বনবিভাগের আওতাধীন। এ বিষয়ে খোঁজ নেয়া হবে।’

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের দামী সেগুন গাছ চুরি

জুরি উপজেলার লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনের দিলকুশ ও শুকনাছড়া বনে আগুনে পুড়ে ছাই

আপডেট সময় ০৩:১৬:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২

মৌলভীবাজারের লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনের দিলকুশ ও শুকনাছড়া এলাকায় এক কিলোমিটার জোরে বনে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে পুড়ে যাওয়া বনের বিষয়টি জানে না বন বিভাগ। এটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবাদীরা।

জানা যায়, জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনটি ৫৬৩১.৪০ হেক্টর এলাকা নিয়ে বিস্তৃত। বনের এ অংশে হতে যাচ্ছে দেশের তৃতীয় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক। কিন্তু প্রতি বছর এ বনের বিভিন্ন অংশে আগুন লাগলেও কর্তৃপক্ষ উদাসীন।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের প্রধান ফটক, জড়িছড়া রাস্তার প্রবেশ পথ ও শুকনাছড়ার এক কিলোমিটারের বেশি এলাকা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে পুড়ে সরীসৃপ প্রজাতির প্রাণী, বিরল প্রজাতির কীটপতঙ্গ এবং বেশ কিছু প্রজাতির বৃক্ষের ক্ষতি হয়েছে।

এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী রিকশাচালক আহ্সান উল্লাল বলেন, ‘গত বুধ ও বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ করে আমরা বনে আগুন দেখতে পাই। আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় বনের অনেক জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি বন বিভাগকে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। যার ফলে এখানকার বিভিন্ন বিরল প্রজাতির প্রাণীসহ পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।’

স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রস্তাবিত সাফারি পার্ক এলাকায় বারবার পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানো হচ্ছে। আগুন দেখার পর আমরা স্থানীয়রা নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিট কর্মকর্তাকে দেখিনি।’

এ বিষয়ে লাঠিটিলা বিট কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।

বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আমি বনে আগুন লাগার  বিষয়টি এখনও জানি না‌। এটি সিলেট বনবিভাগের আওতাধীন। এ বিষয়ে খোঁজ নেয়া হবে।’