হবিগঞ্জ ১১:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo লাইফ সাপোর্টে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন তালুকদার, দোয়া প্রার্থনা Logo চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের নতুন ১৬ সদস্যদের বরণ Logo কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউছের বিরুদ্ধে অপ্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল Logo চুনারুঘাটে কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে যুবকের অর্থদণ্ড Logo চুনারুঘাটে ন্যাশনাল ট্রাভেলস্ ও আশরাফ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরসের উদ্যোগে পবিত্র হজ্ব সেমিনার Logo চুনারুঘাটে ৮ম শ্রেণির ছাত্রকে মারপিট করে বাইসাইকেল ছিনতাই করে একদল কিশোর গ্যাংক Logo সৃষ্টি নাকি ধ্বংস : শিক্ষাঙ্গন যাচ্ছে কোন পথে?  Logo হবিগঞ্জে ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি সারাদেশ ও হবিগঞ্জে খেলার মাঠ দখলমুক্ত-সুরক্ষার দাবি ক্রিকেটারদের Logo মাধবপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাশকতা মামলায় আসামী হলেন ৬ সাংবাদিক! Logo দৈনিক আমাদের দেশ পাঠক ফোরামের পক্ষে নির্বাসিত সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান কে সংবর্ধনা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম বার্ষিকীতে ঘোড়া দৌড় আয়োজন করেছে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন

হবিগঞ্জে প্রাচীন বাংলার বিনোদন ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা
এক সময় শীত মৌসুমে ঘোড়া দৌড় বেশ জন প্রিয় ছিল। বর্তমানে কালের বিবর্তনে হারি যেতে বসেছে ঘোড়া দৌড়। প্রাচীন বাংলার গ্রামীণ জনপদের অন্যতম বিনোদন ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড়। তবে মাঝেমধ্যে এখনও গ্রামীণ জনপদে এই প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হলেও শহর এলাকাগুলো এই প্রতিযোগীতা নেই বললেই চলে। ১৭ই মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উপলক্ষে এক ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে হবিগঞ্জ আধুনিক স্টেডিয়ামে এ ঘোড় দৌড় প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। আর এই ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড়ের খবর শোনে স্টেডিয়াম পাড়ায় জড়ো হয় হাজারো নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী। এ বারের ব্যতিক্রমধর্মী এই ঘোড় দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশ নেয় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ১৫টি বিভিন্ন নামের ঘোড়া। হবিগঞ্জ আধুনিক স্টেডিয়ামে ৫ রাউন্ড খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন হয় জেলার নবীগঞ্জ থেকে আসা ‘শাহ জালালের দোয়া’ নামে ঘোড়াটি। যার মালিক আলাল মিয়া। আর ২য় স্থান অধিকার করে একই এলাকার দিলকাছ মিয়ার ঘোড়া ‘মায়ের আদেশ’। ৩য় স্থান অধিকার করে মাধবপুর উপজেলার বাবুল মিয়ার ঘোড়া ‘রঞ্জিত’। প্রতিযোগীতা শেষে বিজয়ীদের হাতে ক্রেষ্ট ও প্রাইজমানি তুলে দেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানসহ জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা’র নেতৃবৃন্দ।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে, জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রুহুউল্ল্যাহ, হবিগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি ও হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ ফখরুজ্জামান, হবিগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম, হবিগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।
এর পুর্বে ফিতা কেটে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগীতার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান। এসময় এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ঘোড় দৌড় প্রতিযোগীতা গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষের একটা প্রাণের খেলা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উপলক্ষে সাধারণ মানুষদের বিনোদন দিতেই ব্যতিক্রমী এ খেলার আয়োজন করা হয়েছে। আশা করি আগামী আরো বড় পরিসরে এ খেলার আয়োজন করতে পারব।
ঘোড় দৌড় প্রতিযোগীতা দেখতে আসা দর্শনার্থীরা জানান, ঘোড় দৌড় প্রতিযোগীতা এখন আর হয়না। আধুনিকতার কারণে এ খেলাটি প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে শহরে এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন করা হবে আমরা কখনো ভাবতে পারিনি। আমরা ঘোড় প্রতিযোগীতা উপভোগ করিছি। তবে তারা প্রতি বছরই যেন এ খেলার আয়োজন করা হয় সে জন্য প্রশাসনের কাছে দাবী জানান।
চ্যাম্পিয়ন ঘোড়ার মালিক আলাল মিয়া জানান, এখনও ঘোড় দৌড়ের খবর শুণলে মাঠে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়। এটা আমাদের বাঙালী ঐতিহ্যের একটি অংশ। তাই খেলাটির প্রচলন আমাদেরকেই ধরে রাখতে হবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

লাইফ সাপোর্টে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন তালুকদার, দোয়া প্রার্থনা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম বার্ষিকীতে ঘোড়া দৌড় আয়োজন করেছে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন

আপডেট সময় ১১:১০:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ মার্চ ২০২২

হবিগঞ্জে প্রাচীন বাংলার বিনোদন ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা
এক সময় শীত মৌসুমে ঘোড়া দৌড় বেশ জন প্রিয় ছিল। বর্তমানে কালের বিবর্তনে হারি যেতে বসেছে ঘোড়া দৌড়। প্রাচীন বাংলার গ্রামীণ জনপদের অন্যতম বিনোদন ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড়। তবে মাঝেমধ্যে এখনও গ্রামীণ জনপদে এই প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হলেও শহর এলাকাগুলো এই প্রতিযোগীতা নেই বললেই চলে। ১৭ই মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উপলক্ষে এক ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে হবিগঞ্জ আধুনিক স্টেডিয়ামে এ ঘোড় দৌড় প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। আর এই ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড়ের খবর শোনে স্টেডিয়াম পাড়ায় জড়ো হয় হাজারো নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী। এ বারের ব্যতিক্রমধর্মী এই ঘোড় দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশ নেয় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ১৫টি বিভিন্ন নামের ঘোড়া। হবিগঞ্জ আধুনিক স্টেডিয়ামে ৫ রাউন্ড খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন হয় জেলার নবীগঞ্জ থেকে আসা ‘শাহ জালালের দোয়া’ নামে ঘোড়াটি। যার মালিক আলাল মিয়া। আর ২য় স্থান অধিকার করে একই এলাকার দিলকাছ মিয়ার ঘোড়া ‘মায়ের আদেশ’। ৩য় স্থান অধিকার করে মাধবপুর উপজেলার বাবুল মিয়ার ঘোড়া ‘রঞ্জিত’। প্রতিযোগীতা শেষে বিজয়ীদের হাতে ক্রেষ্ট ও প্রাইজমানি তুলে দেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানসহ জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা’র নেতৃবৃন্দ।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে, জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রুহুউল্ল্যাহ, হবিগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি ও হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ ফখরুজ্জামান, হবিগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম, হবিগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।
এর পুর্বে ফিতা কেটে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগীতার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান। এসময় এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ঘোড় দৌড় প্রতিযোগীতা গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষের একটা প্রাণের খেলা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উপলক্ষে সাধারণ মানুষদের বিনোদন দিতেই ব্যতিক্রমী এ খেলার আয়োজন করা হয়েছে। আশা করি আগামী আরো বড় পরিসরে এ খেলার আয়োজন করতে পারব।
ঘোড় দৌড় প্রতিযোগীতা দেখতে আসা দর্শনার্থীরা জানান, ঘোড় দৌড় প্রতিযোগীতা এখন আর হয়না। আধুনিকতার কারণে এ খেলাটি প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে শহরে এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন করা হবে আমরা কখনো ভাবতে পারিনি। আমরা ঘোড় প্রতিযোগীতা উপভোগ করিছি। তবে তারা প্রতি বছরই যেন এ খেলার আয়োজন করা হয় সে জন্য প্রশাসনের কাছে দাবী জানান।
চ্যাম্পিয়ন ঘোড়ার মালিক আলাল মিয়া জানান, এখনও ঘোড় দৌড়ের খবর শুণলে মাঠে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়। এটা আমাদের বাঙালী ঐতিহ্যের একটি অংশ। তাই খেলাটির প্রচলন আমাদেরকেই ধরে রাখতে হবে।