হবিগঞ্জ ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ জুলাই ২০২৪, ৫ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সৎ প্রশাসকদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা কোথায়? Logo চুনারুঘাটে ৩৯ বছরের বর্ণাঢ্য শিক্ষকতা পেশার অরবিন্দ দত্তের সমাপ্তি Logo ব্যারিস্টার সুমন এমপিকে সংবর্ধনা দিল চুনারুঘাট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি Logo চুনারুঘাটে ১৭ কেজি গাঁজা সহ কারবারি গ্রেপ্তার Logo ৪র্থ বারের মতো জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন চুনারুঘাট থানার এসআই লিটন রায় Logo ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার পরিকল্পনাকারী সোহাগ গ্রেফতার Logo ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় হত্যা মামলার আসামি জালাল গ্রেপ্তার Logo ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার পরিকল্পনার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন Logo চুনারুঘাটে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হলেন তৌফিক মিয়া তালুকদার Logo ব্যারিস্টার সুমনের হত্যার পরিকল্পনারকারীদের গ্রেফতারে দাবীতে চুনারুঘাটে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ 

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বানিয়াচংয়ের ঐতিহাসিক রাজবাড়ী

বিশ্বের বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচং। এই গ্রামে দেখার কিছুর অভাব নেই। জমিতে কৃষকের লাঙ্গল নিয়ে খেলা, ধানের ক্ষেতের সবুজ রঙের ঘাস নিড়িয়ে দেয়া। এখানে রয়েছে বন জঙ্গল, খাল-বিল, পুকুর-জলাশয় আর প্রবাহমান নদী।

বইয়ের পাতায় কবিতা আর গল্পের মধ্যে ও মিশে যায় গভীর মুগ্ধতায়। শরতের মেঘমুক্ত আকাশে ভ্রমনপিপাসুদের ইচ্ছে করে দূরের সাদা পেজা তুলোর মতো মেঘদের সাথে উড়ে উড়ে চলে যাওয়া দিগন্ত ছাড়িয়ে।

বাংলার মাঠ ঘাট যেন শুধু ডাক দিয়ে যায় ওদের সাথে সাথে দূর অজানায় চলে যাওয়ার।ইতিহাস ও ঐতিহ্যে বিদ্যমান বিশ্বের বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচং। তবে আসুন তাহলে সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক বানিয়াচংয়ের ঐতিহাসিক রাজবাড়ি সম্পর্কে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বানিয়াচং রাজবাড়ি। আর এই সৌন্দর্য উপলব্ধি করার জন্য দেশের বিভিন্ন স্হান থেকে ঘুরতে চলে আসেন দর্শনার্থীরা। রাজবাড়ীর মাঠের সবুজ ঘাসে হৃদয় ছুঁয়ে যায় ঘুরতে আসা ভ্রমণপিপাসুদের।বানিয়াচং রাজবাড়ি হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার বানিয়াচং গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক রাজবাড়ি।বানিয়াচং সদরের ১নং উত্তর-পূর্ব ইউনিয়নের বড়বাজার সংলগ্ন এই রাজবাড়ির অবস্হান।বানিয়াচং রাজবাড়ির স্বত্বাধিকারী হাবিব খা(গোবিন্দ সিংহ)। প্রাচীন এই রাজবাড়িটি জমিদার ঈসা খাঁর বাড়ির আদলে নির্মিত করা হয়েছিলো। তখনকার সময়ে বাড়ির চারদিকে ফুলের বাগান ও তিনটি প্রবেশদ্বার ছিলো।মহান মুক্তিযুদ্বের সময় ঐতিহাসিক এই রাজবাড়িটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিলো। বর্তমানে এই রাজবাড়িতে স্নানাগার দুটি মসজিদ ও একটি পুরাতন ভবনের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। গাড়ি পার্কিং করার জন্য রয়েছে সুবিশাল মাঠ।ছুটির দিনে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে সকল প্রকার পেশাজীবিরা ছুটে চলেন রাজবাড়ির এই সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে।ভ্রমণ স্মৃতি হিসেবে রেখে দিতে সুন্দর ভাবে করেন ফটোসেশান। প্রাচীন এই রাজবাড়িতে ঘুরতে আসা স্হানীয় তরুণী খাদিজা আক্তার জোনাকি জানান,প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ইতিহাসে সমৃদ্ধ আমাদের এই প্রিয় বানিয়াচং।

বানিয়াচংয়ের ঐতিহাসিক স্হাপনা ও নিদর্শনগুলো ভ্রমণ করলে জ্ঞান বিকশিত হয় এবং প্রিয় গ্রাম সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।আমি সুযোগ পেলেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে ঐতিহাসিক রাজবাড়িতে চলে আসি।বর্তমানে উক্ত ঐতিহাসিক রাজবাড়ির উত্তরসূরি হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন আহমদ জুলকার নাঈন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সৎ প্রশাসকদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা কোথায়?

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বানিয়াচংয়ের ঐতিহাসিক রাজবাড়ী

আপডেট সময় ০৫:০৫:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ মার্চ ২০২২

বিশ্বের বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচং। এই গ্রামে দেখার কিছুর অভাব নেই। জমিতে কৃষকের লাঙ্গল নিয়ে খেলা, ধানের ক্ষেতের সবুজ রঙের ঘাস নিড়িয়ে দেয়া। এখানে রয়েছে বন জঙ্গল, খাল-বিল, পুকুর-জলাশয় আর প্রবাহমান নদী।

বইয়ের পাতায় কবিতা আর গল্পের মধ্যে ও মিশে যায় গভীর মুগ্ধতায়। শরতের মেঘমুক্ত আকাশে ভ্রমনপিপাসুদের ইচ্ছে করে দূরের সাদা পেজা তুলোর মতো মেঘদের সাথে উড়ে উড়ে চলে যাওয়া দিগন্ত ছাড়িয়ে।

বাংলার মাঠ ঘাট যেন শুধু ডাক দিয়ে যায় ওদের সাথে সাথে দূর অজানায় চলে যাওয়ার।ইতিহাস ও ঐতিহ্যে বিদ্যমান বিশ্বের বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচং। তবে আসুন তাহলে সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক বানিয়াচংয়ের ঐতিহাসিক রাজবাড়ি সম্পর্কে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বানিয়াচং রাজবাড়ি। আর এই সৌন্দর্য উপলব্ধি করার জন্য দেশের বিভিন্ন স্হান থেকে ঘুরতে চলে আসেন দর্শনার্থীরা। রাজবাড়ীর মাঠের সবুজ ঘাসে হৃদয় ছুঁয়ে যায় ঘুরতে আসা ভ্রমণপিপাসুদের।বানিয়াচং রাজবাড়ি হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার বানিয়াচং গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক রাজবাড়ি।বানিয়াচং সদরের ১নং উত্তর-পূর্ব ইউনিয়নের বড়বাজার সংলগ্ন এই রাজবাড়ির অবস্হান।বানিয়াচং রাজবাড়ির স্বত্বাধিকারী হাবিব খা(গোবিন্দ সিংহ)। প্রাচীন এই রাজবাড়িটি জমিদার ঈসা খাঁর বাড়ির আদলে নির্মিত করা হয়েছিলো। তখনকার সময়ে বাড়ির চারদিকে ফুলের বাগান ও তিনটি প্রবেশদ্বার ছিলো।মহান মুক্তিযুদ্বের সময় ঐতিহাসিক এই রাজবাড়িটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিলো। বর্তমানে এই রাজবাড়িতে স্নানাগার দুটি মসজিদ ও একটি পুরাতন ভবনের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। গাড়ি পার্কিং করার জন্য রয়েছে সুবিশাল মাঠ।ছুটির দিনে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে সকল প্রকার পেশাজীবিরা ছুটে চলেন রাজবাড়ির এই সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে।ভ্রমণ স্মৃতি হিসেবে রেখে দিতে সুন্দর ভাবে করেন ফটোসেশান। প্রাচীন এই রাজবাড়িতে ঘুরতে আসা স্হানীয় তরুণী খাদিজা আক্তার জোনাকি জানান,প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ইতিহাসে সমৃদ্ধ আমাদের এই প্রিয় বানিয়াচং।

বানিয়াচংয়ের ঐতিহাসিক স্হাপনা ও নিদর্শনগুলো ভ্রমণ করলে জ্ঞান বিকশিত হয় এবং প্রিয় গ্রাম সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।আমি সুযোগ পেলেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে ঐতিহাসিক রাজবাড়িতে চলে আসি।বর্তমানে উক্ত ঐতিহাসিক রাজবাড়ির উত্তরসূরি হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন আহমদ জুলকার নাঈন।