হবিগঞ্জ ১১:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সৎ প্রশাসকদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা কোথায়? Logo চুনারুঘাটে ৩৯ বছরের বর্ণাঢ্য শিক্ষকতা পেশার অরবিন্দ দত্তের সমাপ্তি Logo ব্যারিস্টার সুমন এমপিকে সংবর্ধনা দিল চুনারুঘাট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি Logo চুনারুঘাটে ১৭ কেজি গাঁজা সহ কারবারি গ্রেপ্তার Logo ৪র্থ বারের মতো জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন চুনারুঘাট থানার এসআই লিটন রায় Logo ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার পরিকল্পনাকারী সোহাগ গ্রেফতার Logo ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় হত্যা মামলার আসামি জালাল গ্রেপ্তার Logo ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার পরিকল্পনার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন Logo চুনারুঘাটে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হলেন তৌফিক মিয়া তালুকদার Logo ব্যারিস্টার সুমনের হত্যার পরিকল্পনারকারীদের গ্রেফতারে দাবীতে চুনারুঘাটে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ 

চুনারুঘাটে ৬ মাসের গর্ভবতী গৃহবধূকে মারপিট ও যৌতুকের মামলায় স্বামী সুলতান গ্রেফতার

চুনারুঘাটে যৌতুকের দাবীতে ৬ মাসের গর্ভবতী গৃহবধূকে মারপিট মামলায় স্বামী সুলতান হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার গভীর রাতে চুনারুঘাট থানার এসআই ছদরুল আমিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের ডেওয়াতলী গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

গতকাল শুক্রবার চুনারুঘাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন এবং যৌতুক মামলা দায়ের করেন গৃহবধূ রিমা আক্তার। আজ শনিবার দুপুরে সুলতান হোসেন কে পুলিশ আদালতে প্রেরণ করে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, চুনারুঘাট উপজেলার দ্বি-মাগুরুন্ডা গ্রামের মোঃ আলফু মিয়ার মেয়ে রিমা আক্তারের সাথে একই উপেজেলা শানখলা ইউনিয়নের ডেওয়াতলী গ্রামের নবির হোসেন সানুর ছেলে সুলতান হোসেনের সাথে পারিবারিকভাবে দুজনের বিয়ে হয়।

বিয়ের মাস তিন এক যেতে না যেতেই রিমার উপর শুরু হয় যৌতুক লোভী স্বামী ও তার পরিবারের নির্যাতন। এছাড়াও রিমা স্বামী সুলতানসহ শ্বশুর-শাশুড়ি নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিয়ের ৪ মাস পর সুলতান ফের বিয়ে করে বাড়িতে বউ নিয়ে আসে।

সে দ্বিতীয় বিয়ে করার পর নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন আরে বাড়তে থাকে। এতো দিন শুধু সুলতানসহ তার বাবা-মা যৌতুকের জন্য নির্যাতন করত। কিন্তু সে দ্বিতীয় বিয়ে করার পর তার বউকে নিয়ে রিমার উপর নির্যাতন চালাত।

সর্বশেষ গত ৩ এপ্রিল বাড়ির একটি রুমে বন্ধ রেখে নির্যাতন করে স্বামী সুলতান ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী। শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে প্রাণে বাচার জন্য রিমা ৯৯৯ সংক্রান্ত কল করে চুনারুঘাট থানায়।

পরে থানার এসআই ছদরুল আমিন ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় রিমাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। পরে ওই গৃহবধূ তার চাচার জিম্মায় দেয়া হয়। পরবর্তীতে রিমা অবস্থা অবনতি হওয়ায় পরিবারের লোকজন চুনারুঘাট হাসপাতালে ভর্তি করেন।

চুনারুঘাট থানার এসআই ছদরুল আমিন গ্রেফতারের বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন যৌতুকের মামলায় আসামী সুলতা কে গ্রেফতার করে আদালতে প্ররণ করেছি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সৎ প্রশাসকদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা কোথায়?

চুনারুঘাটে ৬ মাসের গর্ভবতী গৃহবধূকে মারপিট ও যৌতুকের মামলায় স্বামী সুলতান গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৯:৪৮:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

চুনারুঘাটে যৌতুকের দাবীতে ৬ মাসের গর্ভবতী গৃহবধূকে মারপিট মামলায় স্বামী সুলতান হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার গভীর রাতে চুনারুঘাট থানার এসআই ছদরুল আমিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের ডেওয়াতলী গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

গতকাল শুক্রবার চুনারুঘাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন এবং যৌতুক মামলা দায়ের করেন গৃহবধূ রিমা আক্তার। আজ শনিবার দুপুরে সুলতান হোসেন কে পুলিশ আদালতে প্রেরণ করে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, চুনারুঘাট উপজেলার দ্বি-মাগুরুন্ডা গ্রামের মোঃ আলফু মিয়ার মেয়ে রিমা আক্তারের সাথে একই উপেজেলা শানখলা ইউনিয়নের ডেওয়াতলী গ্রামের নবির হোসেন সানুর ছেলে সুলতান হোসেনের সাথে পারিবারিকভাবে দুজনের বিয়ে হয়।

বিয়ের মাস তিন এক যেতে না যেতেই রিমার উপর শুরু হয় যৌতুক লোভী স্বামী ও তার পরিবারের নির্যাতন। এছাড়াও রিমা স্বামী সুলতানসহ শ্বশুর-শাশুড়ি নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিয়ের ৪ মাস পর সুলতান ফের বিয়ে করে বাড়িতে বউ নিয়ে আসে।

সে দ্বিতীয় বিয়ে করার পর নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন আরে বাড়তে থাকে। এতো দিন শুধু সুলতানসহ তার বাবা-মা যৌতুকের জন্য নির্যাতন করত। কিন্তু সে দ্বিতীয় বিয়ে করার পর তার বউকে নিয়ে রিমার উপর নির্যাতন চালাত।

সর্বশেষ গত ৩ এপ্রিল বাড়ির একটি রুমে বন্ধ রেখে নির্যাতন করে স্বামী সুলতান ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী। শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে প্রাণে বাচার জন্য রিমা ৯৯৯ সংক্রান্ত কল করে চুনারুঘাট থানায়।

পরে থানার এসআই ছদরুল আমিন ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় রিমাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। পরে ওই গৃহবধূ তার চাচার জিম্মায় দেয়া হয়। পরবর্তীতে রিমা অবস্থা অবনতি হওয়ায় পরিবারের লোকজন চুনারুঘাট হাসপাতালে ভর্তি করেন।

চুনারুঘাট থানার এসআই ছদরুল আমিন গ্রেফতারের বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন যৌতুকের মামলায় আসামী সুলতা কে গ্রেফতার করে আদালতে প্ররণ করেছি।