হবিগঞ্জ ১১:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo লাইফ সাপোর্টে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন তালুকদার, দোয়া প্রার্থনা Logo চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের নতুন ১৬ সদস্যদের বরণ Logo কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউছের বিরুদ্ধে অপ্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল Logo চুনারুঘাটে কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে যুবকের অর্থদণ্ড Logo চুনারুঘাটে ন্যাশনাল ট্রাভেলস্ ও আশরাফ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরসের উদ্যোগে পবিত্র হজ্ব সেমিনার Logo চুনারুঘাটে ৮ম শ্রেণির ছাত্রকে মারপিট করে বাইসাইকেল ছিনতাই করে একদল কিশোর গ্যাংক Logo সৃষ্টি নাকি ধ্বংস : শিক্ষাঙ্গন যাচ্ছে কোন পথে?  Logo হবিগঞ্জে ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি সারাদেশ ও হবিগঞ্জে খেলার মাঠ দখলমুক্ত-সুরক্ষার দাবি ক্রিকেটারদের Logo মাধবপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাশকতা মামলায় আসামী হলেন ৬ সাংবাদিক! Logo দৈনিক আমাদের দেশ পাঠক ফোরামের পক্ষে নির্বাসিত সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান কে সংবর্ধনা

বাহুবল হাসপাতালের বাবুর্চির বিরুদ্ধে রান্নাঘরের দর্জা বন্ধ করে নিরীহ এক ব্যক্তিকে মারধোরের অভিযোগ

বাহুবল হাসপাতালের বাবুর্চি মোঃ আবু লেইছের বিরুদ্ধে রান্নাঘরের দর্জা বন্ধ করে স্থানীয় নিরীহ বজলু মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে মারধোরের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রবিবার রাত প্রায় ৭ টার দিকে হাসপাতালের রান্নাঘরে।

হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত বাহুবল হাসপাতালে বাবুর্চির কাজ করে আসছেন আবু লেইছ নামে এক ব্যক্তি।তিনি প্রায় সময়ই হাসপাতালে রোগীদের জন্য রান্নার কাজ বিভিন্ন লোক দিয়ে করে থাকেন।

প্রতিদিনের মতো গতকালও রান্নার কাজ করানোর কথা বলে বরইউড়ি গ্রামের মৃত কাছন মিয়ার ছেলে বজলু মিয়া(৩০)কে খবর দিয়ে নিয়ে আসেন।কাজ শেষ হওয়ার পর বজলু মিয়া বকেয়া টাকা চাইতে গেলে তার সাথে কথা-কাটাকাটি শুরু করে আবু লেইছ।

এক পর্যায়ে বজলু মিয়াকে আবু লেইছ মিয়া ও তার ছেলে আবু সাঈদ হাসপাতালের রান্নাঘরের দর্জা বন্ধ করে মারধোর শুরু করেন।এসময় বজলু মিয়ার শোর-চিৎকার শুনে হাসপাতালের স্টাফ ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আহত অবস্থায় বজলু মিয়াকে বাবুর্চি আবু লেইছ ও তার ছেলে আবু সাঈদের বন্দিদশা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়।

এব্যাপারে ভুক্তভোগী বজলু মিয়ার ভাই ফজলু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বাবুর্চি আবু লেইছ সম্পর্কে আমাদের বোন জামাইহয়,সে গতকাল বিকেলে আমার বড় ভাই বজলু মিয়াকে হাসপাতালের রান্নার কথা বলে খবর দিয়ে নিয়ে আসে।

আমার ভাই কাজ শেষ হওয়ার পর বকেয়া টাকা সহ দৈনিক মজুরির টাকা চাইতে গেলে তাকে আবু লেইছ ও তার ছেলে আবু সাঈদ মিলে হাসপাতালের রান্নাঘরের দর্জা বন্ধ করে হত্যার উদ্দেশ্য মারধোর করে। সে বাঁচার জন্য শোর-চিৎকার শুরু করলে বিভিন্ন তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা করান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার মোঃ মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাটি শুনেছি আহত বজলু মিয়াকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

লাইফ সাপোর্টে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন তালুকদার, দোয়া প্রার্থনা

বাহুবল হাসপাতালের বাবুর্চির বিরুদ্ধে রান্নাঘরের দর্জা বন্ধ করে নিরীহ এক ব্যক্তিকে মারধোরের অভিযোগ

আপডেট সময় ১২:৩৭:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বাহুবল হাসপাতালের বাবুর্চি মোঃ আবু লেইছের বিরুদ্ধে রান্নাঘরের দর্জা বন্ধ করে স্থানীয় নিরীহ বজলু মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে মারধোরের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রবিবার রাত প্রায় ৭ টার দিকে হাসপাতালের রান্নাঘরে।

হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত বাহুবল হাসপাতালে বাবুর্চির কাজ করে আসছেন আবু লেইছ নামে এক ব্যক্তি।তিনি প্রায় সময়ই হাসপাতালে রোগীদের জন্য রান্নার কাজ বিভিন্ন লোক দিয়ে করে থাকেন।

প্রতিদিনের মতো গতকালও রান্নার কাজ করানোর কথা বলে বরইউড়ি গ্রামের মৃত কাছন মিয়ার ছেলে বজলু মিয়া(৩০)কে খবর দিয়ে নিয়ে আসেন।কাজ শেষ হওয়ার পর বজলু মিয়া বকেয়া টাকা চাইতে গেলে তার সাথে কথা-কাটাকাটি শুরু করে আবু লেইছ।

এক পর্যায়ে বজলু মিয়াকে আবু লেইছ মিয়া ও তার ছেলে আবু সাঈদ হাসপাতালের রান্নাঘরের দর্জা বন্ধ করে মারধোর শুরু করেন।এসময় বজলু মিয়ার শোর-চিৎকার শুনে হাসপাতালের স্টাফ ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আহত অবস্থায় বজলু মিয়াকে বাবুর্চি আবু লেইছ ও তার ছেলে আবু সাঈদের বন্দিদশা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়।

এব্যাপারে ভুক্তভোগী বজলু মিয়ার ভাই ফজলু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বাবুর্চি আবু লেইছ সম্পর্কে আমাদের বোন জামাইহয়,সে গতকাল বিকেলে আমার বড় ভাই বজলু মিয়াকে হাসপাতালের রান্নার কথা বলে খবর দিয়ে নিয়ে আসে।

আমার ভাই কাজ শেষ হওয়ার পর বকেয়া টাকা সহ দৈনিক মজুরির টাকা চাইতে গেলে তাকে আবু লেইছ ও তার ছেলে আবু সাঈদ মিলে হাসপাতালের রান্নাঘরের দর্জা বন্ধ করে হত্যার উদ্দেশ্য মারধোর করে। সে বাঁচার জন্য শোর-চিৎকার শুরু করলে বিভিন্ন তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা করান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার মোঃ মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাটি শুনেছি আহত বজলু মিয়াকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।