হবিগঞ্জ ০৬:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের দামী সেগুন গাছ চুরি Logo চুনারুঘাটে দোকানের কর্মচারীকে মারধর ও লুটপাট: মামলা Logo ইসলামী আন্দোলনের মিরাশী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড শাখার সম্মেলন ও ঈদ পুনর্মিলনী Logo যুবলীগ নেতা ভূমিখেকো নাসিরের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ Logo চুনারুঘাট উপজেলা ছাত্র জমিয়তের কর্মী সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন Logo ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ, ভিড় বাস-ট্রেন-লঞ্চে Logo শেকড় সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে ৩শ’ রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ বিতরণ Logo হবিগঞ্জে বিআরটিএ অভিযানে ৬ যানবাহন চালকে জরিমানা Logo ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মিরাশী ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে ঈদ পূণর্মিলনী Logo ঈদযাত্রায় মহাসড়কে পুলিশের টহল জোরদার, সিলেটবাসীর নির্বিঘ্ন ঘরে ফেরা

অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স এখন সারাবিশ্বের মাথা ব্যথা

  • আলোকিত ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় ০৩:৪৬:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৮৮ বার পড়া হয়েছে

অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স এখন সারাবিশ্বের মাথা ব্যথা’। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেছেন, অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেসিস্ট্যান্স সারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছ।

এটাকে প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের দাবি হলো ওয়ান হেলথ ওয়ান হার্ট। আজ শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বালুরমাঠ এলাকায় ব্লু পিয়ার মিলনায়তনে সোসাইটি অফ সার্জন অফ বাংলাদেশের (এস ও এস বি) নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের সাইন্টিফিক সেমিনারে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অ্যান্টিবোয়োটিক যে শুধু সার্জনরা বা ফিজিশিয়ানরা ব্যবহার করছে তা না। এই অ্যান্টিবায়োটিক এখন কৃষিতে ব্যবহার করা হচ্ছে, পোল্ট্রি শিল্পে ব্যবহার করা হচ্ছে, এমনকি মশার লার্ভা মারতেও কিছু ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হচ্ছে।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্টের ফলে আগামী বিশ বছরে ক্যান্সারের চেয়েও বেশি রোগী মারা যাবে। এর জন্য বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আগ্রাসী বাজারজাতকরণ ও যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি প্রধানভাবে দায়ী।

অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার যে বিপদে ফেলতে পারে মানুষকে তিনি আরও বলেন, সেফালোস্পোরিনের পরে অ্যান্টিবায়োটিকের মৌলিক কোনো উপাদান আবিষ্কার হয়নি। এই সেফালোস্পোরিন এর গঠন পরিবর্তন করে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য বাজারে ছাড়ছে।

তাদের আগ্রাসী বাজারজাতকরণ অভ্যাসের কারণে আমার সাধারণ জনগণ ও চিকিৎসকরা (সার্জন) এগুলো ব্যবহার করছি। ব্যবহার করছি জেনে না জেনে এবং প্রয়োজনে এবং অপ্রোয়জনে।

খোলা বাজারে যেভাবে এই অ্যান্টিবায়োটিকগুলো বিক্রি হচ্ছে তা প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকার ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স আইন করার উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু এই বহুজাতিক প্রতিষ্ঠনগুলোর জন্য সেই আইন বাস্তবায়ন করা যায়নি।

সোসাইটি অফ সার্জন অফ বাংলাদেশের সাইন্টিফিক সেমিনারে ডা. এসএম ইফতেখার উদ্দীন সাগরের সঞ্চালনায় ও ডা. একেএম শরিফুল আলম ফেরেদৌসের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এফএম মুশিউর রহমান, ৩০০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল বাশার, বিএমএ নারায়ণগঞ্জের সভাপতি ডা. চৌধুরী মো. ইকবাল বাহার সাধারণ সম্পাদক ডা. দেবাশীষ সাহা, এস ও এস বি নারায়ণগঞ্জের সহ-সভাপতি অধ্যাপক সাদের উদ্দিন নাঈম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. নূর হোসেন ভূঁইয়া প্রমূখ।

আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের দামী সেগুন গাছ চুরি

অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স এখন সারাবিশ্বের মাথা ব্যথা

আপডেট সময় ০৩:৪৬:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩

অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স এখন সারাবিশ্বের মাথা ব্যথা’। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেছেন, অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেসিস্ট্যান্স সারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছ।

এটাকে প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের দাবি হলো ওয়ান হেলথ ওয়ান হার্ট। আজ শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বালুরমাঠ এলাকায় ব্লু পিয়ার মিলনায়তনে সোসাইটি অফ সার্জন অফ বাংলাদেশের (এস ও এস বি) নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের সাইন্টিফিক সেমিনারে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অ্যান্টিবোয়োটিক যে শুধু সার্জনরা বা ফিজিশিয়ানরা ব্যবহার করছে তা না। এই অ্যান্টিবায়োটিক এখন কৃষিতে ব্যবহার করা হচ্ছে, পোল্ট্রি শিল্পে ব্যবহার করা হচ্ছে, এমনকি মশার লার্ভা মারতেও কিছু ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হচ্ছে।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্টের ফলে আগামী বিশ বছরে ক্যান্সারের চেয়েও বেশি রোগী মারা যাবে। এর জন্য বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আগ্রাসী বাজারজাতকরণ ও যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি প্রধানভাবে দায়ী।

অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার যে বিপদে ফেলতে পারে মানুষকে তিনি আরও বলেন, সেফালোস্পোরিনের পরে অ্যান্টিবায়োটিকের মৌলিক কোনো উপাদান আবিষ্কার হয়নি। এই সেফালোস্পোরিন এর গঠন পরিবর্তন করে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য বাজারে ছাড়ছে।

তাদের আগ্রাসী বাজারজাতকরণ অভ্যাসের কারণে আমার সাধারণ জনগণ ও চিকিৎসকরা (সার্জন) এগুলো ব্যবহার করছি। ব্যবহার করছি জেনে না জেনে এবং প্রয়োজনে এবং অপ্রোয়জনে।

খোলা বাজারে যেভাবে এই অ্যান্টিবায়োটিকগুলো বিক্রি হচ্ছে তা প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকার ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স আইন করার উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু এই বহুজাতিক প্রতিষ্ঠনগুলোর জন্য সেই আইন বাস্তবায়ন করা যায়নি।

সোসাইটি অফ সার্জন অফ বাংলাদেশের সাইন্টিফিক সেমিনারে ডা. এসএম ইফতেখার উদ্দীন সাগরের সঞ্চালনায় ও ডা. একেএম শরিফুল আলম ফেরেদৌসের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এফএম মুশিউর রহমান, ৩০০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল বাশার, বিএমএ নারায়ণগঞ্জের সভাপতি ডা. চৌধুরী মো. ইকবাল বাহার সাধারণ সম্পাদক ডা. দেবাশীষ সাহা, এস ও এস বি নারায়ণগঞ্জের সহ-সভাপতি অধ্যাপক সাদের উদ্দিন নাঈম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. নূর হোসেন ভূঁইয়া প্রমূখ।