হবিগঞ্জ ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চুনারুঘাটে সাংবাদিক নোমান কে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি Logo চুনারুঘাটে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি ও হত্যা মামলার আসামি আব্দুল হক কুটি র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার Logo ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার সময়ে প্রতিটি খুন-গুমের বিচার বাংলার মাটিতে হবে-মামুনুল হক Logo দেশকে অস্থির করার জন্য স্বৈরাচারের দোসরা নানামুখী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, সৈয়দ মোঃ শাহজাহান Logo চুনারুঘাটে টিসিবির পন্য বিক্রি না করে মজুদ: ২ ডিলারের মালিক আটক Logo মাধবপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত Logo চুনারুঘাটে পৃথক স্থান থেকে নারী সহ ৩ মরদেহ উদ্ধার Logo ফ্যাসিবাদ আজ পালিয়ে বেড়াচ্ছে! মোহাম্মদ সুমন Logo চুনারুঘাটে বেপরোয়া মোটরসাইকেলের চালকের ধাক্কায় অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট গুরুত : আহত ঢাকায় সিএমএইচে ভর্তি Logo চুনারুঘাটে ৭ বছর পর প্রশসানের সহযোগিতায় সরকারি রাস্তা দখলমুক্ত
সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা

আমার বিরুদ্ধে মামলা করায় ফেসবুকে আরও ভিউ বাড়বে-প্রিন্সপাল মখলিছুর রহমান

দেশের আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে গাড়ি উপহার দিয়ে আলোচনায় আসা চুনারুঘাটের প্রিন্সপাল এম মখলিছুর রহমানের বিরুদ্ধে সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়েছে। গত সোমবার (২২ মে) হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বনগাঁও গ্রামের তরাবত উল্লার ছেলে মো. মোস্তাফিজুর রহমান মর্তুজ এম মখলিছুর রহমানসহ ছয়জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) দায়িত্ব দিয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, বাদী মো. মোস্তাফিজুর রহমান মর্তুজের মেসার্স মুন্সি ব্রিকস নামে একটি ইটভাটা রয়েছে। এর অর্ধেক মালিকানা বিক্রি করার জন্য শাজাহান মুন্সির সঙ্গে এফিডেভিটের মাধ্যমে একটি অঙ্গীকারনামা করা হয়। পরবর্তীতে মূল্য পরিশোধে ব্যর্থ হলে শাজাহান মুন্সির ছোটভাই শাহ জামাল মুন্সি নিজে দায়ভার গ্রহণ করে আরেকটি চুক্তি করেন এবং দুটি চেক প্রদান করেন। পরে টাকা পরিশোধ না করে তালবাহানা করতে থাকেন।

একপর্যায়ে টাকা পরিশোধ করা হবে না বুঝতে পেরে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। গত ১০ মে (বুধবার) আসামিদের প্ররোচনায় ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট দেন এম মখলিছুর রহমান। যা অন্যান্য আসামিদের সহযোগিতায় ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। এতে মামলার বাদী ও তার পরিবারকে বিরক্ত, অপমান ও হেয় প্রতিপন্ন করা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বনগাঁও গ্রামের আব্দুল কাদির মুন্সির ছেলে শাজাহান মুন্সি (৪৬), মৃত আব্দুস শহিদের ছেলে মো. সাহাব উদ্দিন মুন্সি, মো. সাহাব উদ্দিন মুন্সির ছেলে সাজু চৌধুরী, মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে শাহানুর মুন্সি ও মৃত আব্দুল কাদির মুন্সির ছেলে শাহ জামাল মুন্সি।

এ ব্যাপারে মামলার বাদী মো. মোস্তাফিজুর রহমান মর্তুজ বলেন, শাজাহান মুন্সি ও তার ভাইয়ের কাছে আমি টাকা পাই। যার প্রমাণাদি রয়েছে। কিন্তু টাকা পরিশোধ না করার জন্য এম মখলিছুর রহমানকে ভাড়া করে এনে তাকে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মানহানিকর ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে।

মামলা দায়েরের বিষয়টি শুনেছেন জানিয়ে এম মখলিছুর রহমান বলেন, আমি মামলায় ভীত নয়। আমাকে আসামি করায় আমার ফেসবুকের ভিউ আরও বাড়বে।এম মখলিছুর রহমানের ফেসবুকে দেওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যায়, শাজাহান মুন্সি গায়ে কাফনের কাপড় জড়িয়ে মোস্তাফিজুর রহমান মর্তুজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করছেন। সেই সঙ্গে তিনি স্থানীয় এমপির বাসায় কাফনের কাপড় নিয়ে মরতে যাবেন বলে মন্তব্য করেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

চুনারুঘাটে সাংবাদিক নোমান কে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি

সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা

আমার বিরুদ্ধে মামলা করায় ফেসবুকে আরও ভিউ বাড়বে-প্রিন্সপাল মখলিছুর রহমান

আপডেট সময় ০৭:৫৯:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩

দেশের আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে গাড়ি উপহার দিয়ে আলোচনায় আসা চুনারুঘাটের প্রিন্সপাল এম মখলিছুর রহমানের বিরুদ্ধে সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়েছে। গত সোমবার (২২ মে) হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বনগাঁও গ্রামের তরাবত উল্লার ছেলে মো. মোস্তাফিজুর রহমান মর্তুজ এম মখলিছুর রহমানসহ ছয়জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) দায়িত্ব দিয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, বাদী মো. মোস্তাফিজুর রহমান মর্তুজের মেসার্স মুন্সি ব্রিকস নামে একটি ইটভাটা রয়েছে। এর অর্ধেক মালিকানা বিক্রি করার জন্য শাজাহান মুন্সির সঙ্গে এফিডেভিটের মাধ্যমে একটি অঙ্গীকারনামা করা হয়। পরবর্তীতে মূল্য পরিশোধে ব্যর্থ হলে শাজাহান মুন্সির ছোটভাই শাহ জামাল মুন্সি নিজে দায়ভার গ্রহণ করে আরেকটি চুক্তি করেন এবং দুটি চেক প্রদান করেন। পরে টাকা পরিশোধ না করে তালবাহানা করতে থাকেন।

একপর্যায়ে টাকা পরিশোধ করা হবে না বুঝতে পেরে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। গত ১০ মে (বুধবার) আসামিদের প্ররোচনায় ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট দেন এম মখলিছুর রহমান। যা অন্যান্য আসামিদের সহযোগিতায় ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। এতে মামলার বাদী ও তার পরিবারকে বিরক্ত, অপমান ও হেয় প্রতিপন্ন করা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বনগাঁও গ্রামের আব্দুল কাদির মুন্সির ছেলে শাজাহান মুন্সি (৪৬), মৃত আব্দুস শহিদের ছেলে মো. সাহাব উদ্দিন মুন্সি, মো. সাহাব উদ্দিন মুন্সির ছেলে সাজু চৌধুরী, মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে শাহানুর মুন্সি ও মৃত আব্দুল কাদির মুন্সির ছেলে শাহ জামাল মুন্সি।

এ ব্যাপারে মামলার বাদী মো. মোস্তাফিজুর রহমান মর্তুজ বলেন, শাজাহান মুন্সি ও তার ভাইয়ের কাছে আমি টাকা পাই। যার প্রমাণাদি রয়েছে। কিন্তু টাকা পরিশোধ না করার জন্য এম মখলিছুর রহমানকে ভাড়া করে এনে তাকে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মানহানিকর ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে।

মামলা দায়েরের বিষয়টি শুনেছেন জানিয়ে এম মখলিছুর রহমান বলেন, আমি মামলায় ভীত নয়। আমাকে আসামি করায় আমার ফেসবুকের ভিউ আরও বাড়বে।এম মখলিছুর রহমানের ফেসবুকে দেওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যায়, শাজাহান মুন্সি গায়ে কাফনের কাপড় জড়িয়ে মোস্তাফিজুর রহমান মর্তুজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করছেন। সেই সঙ্গে তিনি স্থানীয় এমপির বাসায় কাফনের কাপড় নিয়ে মরতে যাবেন বলে মন্তব্য করেন।