হবিগঞ্জ ০৪:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মাধবপুরে আগুনে পুড়ে ছাই হলো মিলনের বেঁচে থাকার অবলম্বন Logo চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাচনে ১৭ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র দাখিল Logo সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন Logo বিদ্যুৎপৃষ্ঠে নিহতের পরিবারের পাশে ব্যারিস্টার সুমন-এমপি Logo টেকনাফের ব্যাবসায়ী ৫শ’ পিছ ইয়াবাসহ চুনারুঘাটে গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে তীব্র দাবদাহে সুপেয় পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ Logo শেখ হাসিনার আধুনিক চিন্তা ধারায় বদলে গেল কৃষিখাত, ব্যারিস্টার সুমন Logo কথায় কথায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক তাদের কাম কি? মানুষের টাকা মেরে দেয়া, ব্যারিস্টার সুমন Logo বাহুবলে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন, জরিমানা ৫০ হাজার টাকা Logo বাহুবলে রাতের আধারে প্রবাসীর ১৮ টি ফসলি গাছ কর্তন, লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি

ফরিদপুরে ইউএনওর ওপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুর করেছে এলাকাবাসী

ফরিদপুরে ইউএনওর ওপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুর করেছে এলাকাবাসী। তিনি জেলার মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিকুর রহমান চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।আজ বৃহস্পতিবার (৪ মে) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে এলাকাবাসী ইউএনওর ওপর হামলা করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিশ্চিন্তপুর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করার জন্য একটি জায়গা দেখা হয়। জায়গাটি বর্তমানে বিএস রেকর্ডে সরকারি খাস জমি হলেও আরএস রেকর্ডে ব্যক্তি মালিকানাধীন। এ নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে এলাকার কয়েকজন নারী ওই জমির মালিকানা দাবি করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন। খবর পেয়ে ইউএনও আশিকুর রহমান চৌধুরী আনসার সদস্যদের নিয়ে সেখানে যান।

এতে ইউএনওসহ সাতজন আহত হয়েছেন। আহত ইউএনও আশিকুর রহমান চৌধুরীকে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়ার পর বিকেল ৪টার দিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আনসার সদস্যরা নারীদের কাছ থেকে মানববন্ধনের ব্যানার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় নারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। আনসার সদস্যরা রাইফেলের বাট দিয়ে কয়েকজন নারীকে আঘাত করেন। একপর্যায়ে এক নারী আহত হন। পরে নারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে গাছের ডাল ভেঙে আনসার সদস্যদের ওপর হামলা চালান। এ সময় স্থানীয় মসজিদের মাইকে বিষয়টি জানানো হয়।

পরে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে ছুটে এসে ইউএনও ও আনসার সদস্যদের ওপর হামলা করে। ওই সময় আনসার সদস্যরা শর্টগানের তিন-চারটি গুলি ছোড়েন। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ইউএনওর গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে মধুখালী থানা পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ডুমাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান জানান, তিনি একটি সালিসে ছিলেন।

তিনি জানতেন না ইউএনও ওই এলাকায় এসেছেন। পরে ইউএনওর ফোন পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে আসেন। ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর জানান, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টহল দল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থলে আসেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ইউএনওর বাম চোখে আঘাত লেগেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেলাই দিয়ে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে। পুলিশ সুপার মো. শাজাহান ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। ইউএনও আশিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমার ওপর হামলা হয়েছে। আমি এখন হাসপাতালে আছি। পরে কথা বলছি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

মাধবপুরে আগুনে পুড়ে ছাই হলো মিলনের বেঁচে থাকার অবলম্বন

ফরিদপুরে ইউএনওর ওপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুর করেছে এলাকাবাসী

আপডেট সময় ১০:২১:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০২৩

ফরিদপুরে ইউএনওর ওপর হামলা ও গাড়ি ভাংচুর করেছে এলাকাবাসী। তিনি জেলার মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিকুর রহমান চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।আজ বৃহস্পতিবার (৪ মে) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে এলাকাবাসী ইউএনওর ওপর হামলা করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিশ্চিন্তপুর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করার জন্য একটি জায়গা দেখা হয়। জায়গাটি বর্তমানে বিএস রেকর্ডে সরকারি খাস জমি হলেও আরএস রেকর্ডে ব্যক্তি মালিকানাধীন। এ নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে এলাকার কয়েকজন নারী ওই জমির মালিকানা দাবি করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন। খবর পেয়ে ইউএনও আশিকুর রহমান চৌধুরী আনসার সদস্যদের নিয়ে সেখানে যান।

এতে ইউএনওসহ সাতজন আহত হয়েছেন। আহত ইউএনও আশিকুর রহমান চৌধুরীকে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়ার পর বিকেল ৪টার দিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আনসার সদস্যরা নারীদের কাছ থেকে মানববন্ধনের ব্যানার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় নারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। আনসার সদস্যরা রাইফেলের বাট দিয়ে কয়েকজন নারীকে আঘাত করেন। একপর্যায়ে এক নারী আহত হন। পরে নারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে গাছের ডাল ভেঙে আনসার সদস্যদের ওপর হামলা চালান। এ সময় স্থানীয় মসজিদের মাইকে বিষয়টি জানানো হয়।

পরে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে ছুটে এসে ইউএনও ও আনসার সদস্যদের ওপর হামলা করে। ওই সময় আনসার সদস্যরা শর্টগানের তিন-চারটি গুলি ছোড়েন। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ইউএনওর গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে মধুখালী থানা পুলিশ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ডুমাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান জানান, তিনি একটি সালিসে ছিলেন।

তিনি জানতেন না ইউএনও ওই এলাকায় এসেছেন। পরে ইউএনওর ফোন পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে আসেন। ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর জানান, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টহল দল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থলে আসেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ইউএনওর বাম চোখে আঘাত লেগেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেলাই দিয়ে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে। পুলিশ সুপার মো. শাজাহান ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। ইউএনও আশিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমার ওপর হামলা হয়েছে। আমি এখন হাসপাতালে আছি। পরে কথা বলছি।