হবিগঞ্জ ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মশিউর রহমান খান জুমেলের পৃষ্ঠপোষকতায় চা-বাগানের সবুজের বুকে ‘বিউটিফুল চুনারুঘাট’ এর নামফলকের উদ্বোধন Logo চুনারুঘাটের এ.জেট.টি মডেল একাডেমির জমজ দুই বোনের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন Logo প্রাথমিকের স্কুলে পবিত্র আল-কোরআনের ভাস্কর্য Logo সুনামগঞ্জ-১ আসনে কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের নেতা আসাদ মুরাদ তালুকদার প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় Logo আজমিরীগঞ্জে ইঁদুরের বিষ খেয়ে যুবকের আত্মহত্যা Logo চুনারুঘাটে বিএনপির দুই প্রয়াত নেতা রাজন ও জলিলের করব জিয়ারত করলেন অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম Logo মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিএনপি’র পতাকা তলে থেকেই মানুষের জন্য কাজ করতে চাই-সৈয়দ মোঃ ফয়সল Logo সিলেট রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ কোর্ট ইন্সপেক্টর হলেন হবিগঞ্জের শেখ নাজমুল হক Logo চুনারুঘাটে পিতা নিখোঁজ: জীবিত উদ্ধারের দাবিতে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন Logo সিলেট রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান আশিক

বান্দরবানের ফাইনাল খেলায় ফুটবল টুর্নামেন্টের বক্তব্য দিতে গিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ট্রফি ভেঙেছেন ইউএনও

বান্দরবানের আলীকদমে ফাইনাল খেলা শেষে ফুটবল টুর্নামেন্টের বক্তব্য দিতে গিয়ে ট্রফি (কাপ) ভেঙেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলাম । এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ভাইরাল হয়েছে। গত শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, আবাসিক স্বাধীন যুব সমাজের উদ্যোগে আবাসিক জুনিয়র একাদশ বনাম রেপার পাড়া বাজার একাদশের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনও মেহরুবা ইসলাম। সমাপনী বক্তব্যের সময় হঠাৎ দর্শকদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ফাইনাল খেলার ট্রফি ভেঙে ফেলেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৩৫ মিনিট করে ৭০ মিনিট খেলার পর কোনো দলের গোলা না হওয়ায় টাইব্রেকারের সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। খেলায় চার টাইব্রেকারে আবাসিক জুনিয়র দলের তিন গোল হয় এবং টাইব্রেকার রেপার পাড়া একাদশের এক গোল হয়। এতে আবাসিক জুনিয়র একাদশ চ্যাম্পিয়ন এবং রেপার পাড়া একাদশ রানার্সআপ হয়।

এ নিয়ে সমাপনী বক্তব্যে ইউএনও উপস্থিত দর্শকদের বলেন, খেলার হার জিত থাকবে। এতে কারও মন খারাপের কারণ নেই। তিনি দর্শকদের কাছে খেলার ফলাফলে সন্তুষ্ট কি-না জানতে চান। এ সময় কয়েকজন খেলার ফলাফল মানি না বলাতে ইউএনও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। টেবিলে থাকা চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ ট্রফি ভেঙে ফেলেন।

আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম বলেন, ‘খেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইউএনও মেহরুবা ইসলাম। সমাপনী বক্তব্যের সময় হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে ফাইনাল খেলার ট্রফি ভেঙে ফেলেন তিনি। একজন সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ খুবই দুঃখজনক।

বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও মেহরুবা ইসলামের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়। খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জাগো নিউজকে বলেন, একজন ইউএনও এ ধরনের কাজ করতে পারেন না। ঘটনাটি দুঃখজনক। তিনি ট্রফি না ভেঙে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারতেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

মশিউর রহমান খান জুমেলের পৃষ্ঠপোষকতায় চা-বাগানের সবুজের বুকে ‘বিউটিফুল চুনারুঘাট’ এর নামফলকের উদ্বোধন

বান্দরবানের ফাইনাল খেলায় ফুটবল টুর্নামেন্টের বক্তব্য দিতে গিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ট্রফি ভেঙেছেন ইউএনও

আপডেট সময় ১০:৩৮:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

বান্দরবানের আলীকদমে ফাইনাল খেলা শেষে ফুটবল টুর্নামেন্টের বক্তব্য দিতে গিয়ে ট্রফি (কাপ) ভেঙেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলাম । এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ভাইরাল হয়েছে। গত শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, আবাসিক স্বাধীন যুব সমাজের উদ্যোগে আবাসিক জুনিয়র একাদশ বনাম রেপার পাড়া বাজার একাদশের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনও মেহরুবা ইসলাম। সমাপনী বক্তব্যের সময় হঠাৎ দর্শকদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ফাইনাল খেলার ট্রফি ভেঙে ফেলেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৩৫ মিনিট করে ৭০ মিনিট খেলার পর কোনো দলের গোলা না হওয়ায় টাইব্রেকারের সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। খেলায় চার টাইব্রেকারে আবাসিক জুনিয়র দলের তিন গোল হয় এবং টাইব্রেকার রেপার পাড়া একাদশের এক গোল হয়। এতে আবাসিক জুনিয়র একাদশ চ্যাম্পিয়ন এবং রেপার পাড়া একাদশ রানার্সআপ হয়।

এ নিয়ে সমাপনী বক্তব্যে ইউএনও উপস্থিত দর্শকদের বলেন, খেলার হার জিত থাকবে। এতে কারও মন খারাপের কারণ নেই। তিনি দর্শকদের কাছে খেলার ফলাফলে সন্তুষ্ট কি-না জানতে চান। এ সময় কয়েকজন খেলার ফলাফল মানি না বলাতে ইউএনও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। টেবিলে থাকা চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ ট্রফি ভেঙে ফেলেন।

আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম বলেন, ‘খেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইউএনও মেহরুবা ইসলাম। সমাপনী বক্তব্যের সময় হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে ফাইনাল খেলার ট্রফি ভেঙে ফেলেন তিনি। একজন সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ খুবই দুঃখজনক।

বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও মেহরুবা ইসলামের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়। খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জাগো নিউজকে বলেন, একজন ইউএনও এ ধরনের কাজ করতে পারেন না। ঘটনাটি দুঃখজনক। তিনি ট্রফি না ভেঙে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারতেন।