এর পুর্বে গত রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আহত হন সাংবাদিক রাজীব নূর, বানিয়াচং প্রেসক্লাব সভাপতি মোশাহিদ মিয়া, হবিগঞ্জ সমাচার’র স্টাফ রিপোর্টার তৌহিদ মিয়া ও দেশসেবার বানিয়াচং প্রতিনিধি আলমগীর রেজা। পরে এ ঘটনায় রোববার রাতেই সাংবাদিক তৌহিদ মিয়া বাদি হয়ে দখলধার আব্দুল ওয়াহেদ, তার ছেলে ওয়ায়েছ, ওয়ালিদ ও ওয়াসিফের বিরুদ্ধে বানিয়াচং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সাংবাদিক রাজীব নূর বলেন, ‘ভূ-পর্যটক রামনাথ বিশ্বাস একজন খ্যাতিনামা পর্যটক। তিনি বাইসাইকেল দিয়ে বিশ্ব ভ্রমণ করেছেন। এছাড়া তিনি ভ্রমণ নিয়ে অনেক লেখাও লিখেছেন। তার বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার বিদ্যাভুষণ পাড়ায়। আব্দুল ওয়াহেদ বাড়িটি দখল করে রেখেছেন। রোববার বিকেলে আমি স্থানীয় তিনজন সাংবাদিককে নিয়ে বাড়িতে গেলে দখলদার ওয়াহিদ মিয়া ও তার ছেলেরা লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেন। এ সময় আমার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।’
বানিয়াচং প্রেসক্লাবের সভাপতি মোশাহিদ মিয়া বলেন, ‘আমরা বাড়িতে যাওয়া মাত্রই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে লাঠিসোটা নিয়ে ওয়াহিদ ও তার ছেলেরা হামলা চালায়। এ সময় একটি বড় ইট নিয়ে আমার সহকর্মী আলমগীরের মাথায় আগাত করতে গেলে কোন রকমে আমি তাকে সেইভ করি। না হলে সেখানে বড় ধরণের অঘটন ঘটতে পারত।’ গত ৬ সেপ্টেম্বর ওই বাড়িতে গিয়ে হামলার শিকার হন ‘এখন টিভি’ ও ‘নিউজবাংলা’র হবিগঞ্জ প্রতিনিধি কাজল সরকার এবং ‘দেশটিভি’র প্রতিনিধি আমীর হামজাসহ ৪ সাংবাদিক।
বানিয়াচং থানার (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব জানান, সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় ওয়ালিদ নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। সে বর্তমানে থানা হেফাজতে রয়েছে।