চুনারুঘাটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের পাশে বসবাস করেন ত্রিপুরা পল্লীর মানুষজন। পাহাড় ঘেঁষা এ পল্লীর লোকজন দীর্ঘ দিন ধরেই টিলা ধসের আতঙ্কে রয়েছেন।
এর মধ্যে টানা বর্ষণ আর পহাড়ি ঢলে ভেঙে গেছে তাদের চলাচলের একমাত্র সেতুটিও।
জানা যায, ইতোমধ্যে টিলা ধসের কারণে সর্বস্ব হারিয়েছে ত্রিপুরা পল্লীর পাঁচটি পরিবার। তাদের আবাসস্থল দ্রুত নিরাপদ না করলে ঘরবাড়ি বিলীন হওয়ার শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা।
ত্রিপুরা পল্লীর বাসিন্দারা জানান, বর্তমানে তাদের ২৪টি পরিবার সেখানে বাস করছে। নানা প্রতিকূলতার মধ্যে তারা নিজের আবাসস্থল আকড়ে ধরে আছেন। কারণ তাদের জন্ম এই টিলায়। এই টিলাকে তারা তাদের প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসেন। জীবনের শেষ নিঃশ্বাস তারা এখানেই ত্যাগ করতে চান।
ত্রিপুরা পল্লীর হেডম্যান চিত্ত দেববর্মা বলেন, এবারের অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ছড়াগুলোতে ভাঙন দেখা দেয়। পানির তোড়ে উদ্যান সংলগ্ন ত্রিপুরা পল্লীর মানুষদের চলাচলের একমাত্র সড়কটি ভেঙে যায়। গাইডওয়াল না থাকায় পাহাড়ি ঢলে টিলা ধসে কয়েকটি ঘর ভেঙে ছড়ায় বিলীন হয়ে গেছে। এ অবস্থায় চরম কষ্টে দিন পার করছেন পল্লীর বাসিন্দারা। শিক্ষার্থীরা যেতে পারছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। একটি গাইডওয়াল ও সেতুর অভাবে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে ত্রিপুরা পল্লীর বাসিন্দারা। বিষয়টি সমাধানে সরকারি দপ্তরসহ নানা জায়গায় ঘুরেও কোনো লাভ হয়নি।
তিনি আরও বলেন, টিলার পাশের ছড়া থেকে মাত্রাতিরিক্ত বালু উত্তোলন করায় টিলাগুলো ধসে যাচ্ছে। এতে আমাদের বসবাসও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। বার বার দাবি জানালেও এটি সংস্কারে তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, সংকট সমাধানে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হবে। ত্রিপুরা পল্লীর মানুষরা চাইলে সমতল ভূমিতে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।