হবিগঞ্জ ০১:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মাধবপুরে আগুনে পুড়ে ছাই হলো মিলনের বেঁচে থাকার অবলম্বন Logo চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাচনে ১৭ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র দাখিল Logo সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন Logo বিদ্যুৎপৃষ্ঠে নিহতের পরিবারের পাশে ব্যারিস্টার সুমন-এমপি Logo টেকনাফের ব্যাবসায়ী ৫শ’ পিছ ইয়াবাসহ চুনারুঘাটে গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে তীব্র দাবদাহে সুপেয় পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ Logo শেখ হাসিনার আধুনিক চিন্তা ধারায় বদলে গেল কৃষিখাত, ব্যারিস্টার সুমন Logo কথায় কথায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক তাদের কাম কি? মানুষের টাকা মেরে দেয়া, ব্যারিস্টার সুমন Logo বাহুবলে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন, জরিমানা ৫০ হাজার টাকা Logo বাহুবলে রাতের আধারে প্রবাসীর ১৮ টি ফসলি গাছ কর্তন, লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি

আজমিরীগঞ্জ হাসাপাতালের এক্সরে মেশিন ২১ বছর ধরে বন্ধ!

প্রায় ২১ বছর যাবৎ আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিনটি বন্ধ রয়েছে। এর ফলে উপজেলা সহ হাওরাঞ্চলের লোকজন প্রতিদিনই সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

জানাযায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ২০০০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সিমেন্স কোম্পানির ৩০০ এমএম ক্ষমতাসম্পন্ন একটি এক্স-রে মেশিন দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি)। কিন্তু এর মাত্র বছর দেড়েক পরই মেশিনটির মাদারবোর্ড বিকল হয়ে যায়।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে বিষয়টি একাধিকবার ওপরের মহলে জানালেও ২১ বছর ধরে সেটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের ১১২ নম্বর কক্ষে এক্স-রে মেশিনটি পড়ে আছে।

সরঞ্জাম খোলা ও সেগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা। পড়ে থাকা যন্ত্রপাতির অধিকাংশেই মরিচা ধরেছে।

এদিকে মেশিনটি অকেজো থাকায় হাসপাতালে আসা সেবাপ্রার্থীরা বাইরে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে এক্স-রে করাচ্ছেন। এতে রোগী ও তাদের স্বজনদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। অস্বচ্ছল রোগীরা টাকার জন্যেও বিপাকে পড়ছেন।

হাসপাতালে আসা কৌশিক হাসান বলেন, কিছুদিন আগে আমার সঙ্গে থাকা একজন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পেয়েছিলেন। তাকে হাসপাতালে আনা হলে এক্স-রে করার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু হাসপাতালের মেশিনটি অকেজো থাকায় এক কিলোমিটার দূরে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে এক্স-রে করাতে হয়েছে। রিকশায় সেখানে যেতে রোগীর অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে।

ওয়াহিদুল মিয়া জানান, তিনি একাধিকবার আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে এক্স-রে করাতে না পেরে বিড়ম্বনায় পড়েছেন। তিনি শিগগির মেশিনটে মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইকবাল হোসেন বলেন, হাসপাতালের ৫০ শয্যা ভবনের কাজ শেষ হলে আমরা নতুন আরেকটি মেশিনের জন্য চাহিদাপত্র পাঠাব। এরপর রোগীদের দুর্ভোগ দূর হবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

মাধবপুরে আগুনে পুড়ে ছাই হলো মিলনের বেঁচে থাকার অবলম্বন

আজমিরীগঞ্জ হাসাপাতালের এক্সরে মেশিন ২১ বছর ধরে বন্ধ!

আপডেট সময় ১২:২২:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ এপ্রিল ২০২২

প্রায় ২১ বছর যাবৎ আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিনটি বন্ধ রয়েছে। এর ফলে উপজেলা সহ হাওরাঞ্চলের লোকজন প্রতিদিনই সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

জানাযায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ২০০০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সিমেন্স কোম্পানির ৩০০ এমএম ক্ষমতাসম্পন্ন একটি এক্স-রে মেশিন দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি)। কিন্তু এর মাত্র বছর দেড়েক পরই মেশিনটির মাদারবোর্ড বিকল হয়ে যায়।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে বিষয়টি একাধিকবার ওপরের মহলে জানালেও ২১ বছর ধরে সেটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের ১১২ নম্বর কক্ষে এক্স-রে মেশিনটি পড়ে আছে।

সরঞ্জাম খোলা ও সেগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা। পড়ে থাকা যন্ত্রপাতির অধিকাংশেই মরিচা ধরেছে।

এদিকে মেশিনটি অকেজো থাকায় হাসপাতালে আসা সেবাপ্রার্থীরা বাইরে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে এক্স-রে করাচ্ছেন। এতে রোগী ও তাদের স্বজনদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। অস্বচ্ছল রোগীরা টাকার জন্যেও বিপাকে পড়ছেন।

হাসপাতালে আসা কৌশিক হাসান বলেন, কিছুদিন আগে আমার সঙ্গে থাকা একজন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পেয়েছিলেন। তাকে হাসপাতালে আনা হলে এক্স-রে করার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু হাসপাতালের মেশিনটি অকেজো থাকায় এক কিলোমিটার দূরে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে এক্স-রে করাতে হয়েছে। রিকশায় সেখানে যেতে রোগীর অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে।

ওয়াহিদুল মিয়া জানান, তিনি একাধিকবার আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে এক্স-রে করাতে না পেরে বিড়ম্বনায় পড়েছেন। তিনি শিগগির মেশিনটে মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইকবাল হোসেন বলেন, হাসপাতালের ৫০ শয্যা ভবনের কাজ শেষ হলে আমরা নতুন আরেকটি মেশিনের জন্য চাহিদাপত্র পাঠাব। এরপর রোগীদের দুর্ভোগ দূর হবে।