শায়েস্তাগঞ্জ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শাহাব উদ্দিনকে মানহানীর এক মামলায় এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকার অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (২১ মার্চ) দুপুরে হবিগঞ্জের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিচার-২ এর বিচারক রাহেলা পারভিন এ রায় দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মাওলানা শাহাবউদ্দিন বাহুবল উপজেলার দ্বিমুড়া ফাজিল মাদসায় উপাধ্যক্ষ থাকাকালিন সময়ে ‘আর্থ সামাজিক শিক্ষক উন্নয়ন সংস্থা’র কোষাধ্যক্ষ থাকা অবস্থায় সংস্থার ২১ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৭ সালের ২২ মে শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন সংস্থার চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল জলিল। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাওলানা শাহাবউদ্দিনকে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ আটক করে থানা নিয়ে আসে। পরবর্তীতে আত্মসাতকৃত টাকা ফেরত দেওয়ার শর্তে মুছলেকা দিয়ে থানা থেকে মুক্তি পান শাহাবউদ্দিন। মামলার বাদী মাওলানা আব্দুল জলিল জানান- শাহাবউদ্দিনের আটক ও মুছলেকার বিষয়ে স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় ‘আত্মসাতের টাকা ফেরত দেওয়ার শর্তে শাহাব উদ্দিনের মুক্তি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদ প্রকাশের পর আমি মাওলানা আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে স্থানীয় একটি পত্রিকায় অশালীন ও মানহানীকর শব্দ ব্যবহার করে প্রতিবাদ দেন শাহাবউদ্দিন। এতে আমি ক্ষুব্ধ হয়ে একই বছরের ২৩ জুলাই মানহানীর অভিযোগ তুলে শাহাবউদ্দিনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে সি.আর ৪১৪/১৭ (হবি) মামলা দায়ের করি। বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট ফজলুল হক বলেন, বিজ্ঞ আদালত বাদীর মামলাটি আমলে নিয়ে দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামী শাহাবউদ্দিনকে ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। বিবাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট নুরুল আমীন শোয়েব বলেন, রায়ের পর বিবাদী শাহাবউদ্দিনের পক্ষে আমি তার নিয়োজিত আইনজীবী হিসেবে জামিন প্রার্থনা করলে আপিলের শর্তে আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত এক মাসের জন্য বিজ্ঞ আদালত জামিন মঞ্জুর করেছেন।