‘ক্ষমতার লোভে রেজা কিবরিয়া বাবার হত্যাকারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন’- মাহবুবউল আলম হানিফ
হবিগঞ্জের কৃতীসন্তান শাহ এএমএস কিবরিয়াকে মন্ত্রী-এমপি বানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে বিএনপি-জামায়াত জোট। আর আজ ক্ষমতার লোভে তার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া বাবার হত্যাকারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
মঙ্গলবার হবিগঞ্জ জালাল স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে আহসান উল্লাহ মাস্টার, শাহ এএমএস কিবরিয়া, মমতাজ উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মঞ্জুর ইমামকে হত্যা করা হয়েছিল। কোথায় ছিল তখন আইনের শাসন, কোথায় ছিল গণতন্ত্র। বিএনপি নামক দলটি যখন পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করে তখন আমার দুঃখ লাগে না। দুঃখ লাগে যখন শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে তার বাবার হত্যাকারীদের সঙ্গে ক্ষমতার জন্য হাত মিলান।
হানিফ বলেন, লন্ডনে তারেক রহমান দুর্নীতি করে পাচার করা টাকায় এখন বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন। মাসে ৫০ লাখ টাকা খরচ করেন। এত টাকা পান কোথায়। কোনো আয় নাই, রোজগার নাই।
বিএনপির সমালোচনা করে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুকম্পায় খালেদা জিয়া আজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অথচ বিএনপি নেতারা বলছেন চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠাতে হবে। কিন্তু দেশের চিকিৎসকরা দেখিয়েছেন দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে। তিনি সুস্থ হয়ে এখন বাসায় আছেন। এটি সম্ভব হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের কারণেই। কিন্তু বিএনপি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায় কারণ তারা পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়। পাকিস্তান বাংলাদেশের উন্নয়ন চায় না, বিএনপিও চায় না।
প্রতিনিধি সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির।
সাধারণ অ্যাডভোকেট মো. আলমগীর চৌধুরীর পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সদস্য আজিজুস সামাদ আজাদ ডন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খান এমপি ও গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ এমপি। সভায় প্রতিটি উপজেলার একটি ইউনিয়ন থেকে একজন এবং প্রতিটি উপজেলার পক্ষ থেকে আরও একজন করে তৃণমূল নেতা বক্তব্য রাখেন।