হবিগঞ্জ ০২:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নবাগত ইউএনওর সাথে চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের পরিচিত সভা ও মতবিনিময় Logo মাধবপুরে বিএনপির কর্মী সভা Logo ইউএনও’র পরিচিতি সভা বর্জন করলেন চুনারুঘাটে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ Logo শায়েস্তাগঞ্জে অর্থনৈতিক শুমারির কাজে জনপ্রতিনিধি ও আ’লীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মী! Logo চুনারুঘাটের বাল্লা স্থলবন্দর চালু নিয়ে অনিশ্চয়তা, তদন্ত কমিটি গঠন Logo মাধবপুরে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার Logo আমি সাংবাদিক ছিলাম, আমাকে সাংবাদিকতা শিখাতে হবেনা, ভোক্তা’র পরিচালক দেবানন্দ Logo চুনারুঘাটে জমি নিয়ে বিরোধ, প্রতিপক্ষের হামলায় খুন ১ Logo বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় তাঁতীলীগের সভাপতি জামাল মেম্বার গ্রেফতার Logo পূবালী ব্যাংক চুনারুঘাট শাখায় ইসলামী ব্যাংকিং কর্নারের উদ্বোধন

আজ ৭ মার্চ উপলক্ষে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০১:২৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ মার্চ ২০২২
  • ১৯৮ বার পড়া হয়েছে

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে জাতির জনকের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ। ওই দিন বিকেল ২টা ৪৫ মিনিটে শুরু করে বিকেল ৩টা ৩ মিনিটে ভাষণ শেষ করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ঐতিহাসিক এ ভাষণে জাতির জনক তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ৭ কোটি বাঙালিকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।

‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কণ্ঠের এই ভাষণ বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করেছিল। প্রস্তুত করেছিল মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্যে। প্রতিটি বাঙালি হৃদয়কে আন্দোলিত করে এ ভাষণ।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাঙালি জাতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা একটি অবিস্মরণীয় দিন। এই দিনে তৎকালীন ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক উত্তাল জনসমুদ্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দেন। বঙ্গবন্ধু তার বজ্রনির্ঘোষ কণ্ঠে বলেন, ‘‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”।

এরই ধারাবাহিকতায়, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি জানানো হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে ৭ মার্চ ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে হবিগঞ্জের সকল সরকারি,আধা সরকারি,স্বায়িত্বশাসিত এবং বেসরকারি ভবনে পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ৯ টায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করবে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন।

আজ সকাল ১০ ঘটিকায় হবিগঞ্জ জেলা মুক্তিযুদ্ধা সংসদ চত্বর, হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল প্রাঙ্গন ও জেলা মুক্তিযুদ্ধা চত্বর পরিষ্কার-পরিচন্নতা অভিযান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে, পরবর্তীতে বেলা ১০.৩০ মিনিটে নিমতলা কালেক্টর প্রাঙ্গনে শতকন্ঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দেয়া হবে।

পরবর্তীতে সকাল ১১ ঘটিকায় নিমতলা কালেক্টর প্রাঙ্গনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে, ১২ ঘটিকায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে ১২.৩০ ঘটিকায় পুরুষ্কার বিতরণ করা হবে বলে জানা যায়।

এ দিকে ৭ মর্চের কর্মসূচির এই

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় সুবিধামতে সময়ে হবিগঞ্জ জেলার সকল মসজিদ/ মন্দির / গির্জা / প্যাগোডাতে বিশেষ মুনাজাত ও প্রার্থনার করতে হবে এবং নির্ধারিত সময়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি বড় পর্দায় সম্প্রচার কারা হবে বলে জানা যায়।

এ বিজ্ঞপ্তিতে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অনন্য তাৎপর্যমণ্ডিত দিন। এই দিনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে বাঙালি জাতির স্বাধীনতার বীজ বপন করেন।

গৌরবোজ্জ্বল এই দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদা এবং ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদযাপনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন হবিগঞ্জ কতৃক দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

নবাগত ইউএনওর সাথে চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের পরিচিত সভা ও মতবিনিময়

আজ ৭ মার্চ উপলক্ষে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা

আপডেট সময় ০১:২৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ মার্চ ২০২২

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে জাতির জনকের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ। ওই দিন বিকেল ২টা ৪৫ মিনিটে শুরু করে বিকেল ৩টা ৩ মিনিটে ভাষণ শেষ করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ঐতিহাসিক এ ভাষণে জাতির জনক তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ৭ কোটি বাঙালিকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।

‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কণ্ঠের এই ভাষণ বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করেছিল। প্রস্তুত করেছিল মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্যে। প্রতিটি বাঙালি হৃদয়কে আন্দোলিত করে এ ভাষণ।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাঙালি জাতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা একটি অবিস্মরণীয় দিন। এই দিনে তৎকালীন ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক উত্তাল জনসমুদ্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দেন। বঙ্গবন্ধু তার বজ্রনির্ঘোষ কণ্ঠে বলেন, ‘‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”।

এরই ধারাবাহিকতায়, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি জানানো হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে ৭ মার্চ ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে হবিগঞ্জের সকল সরকারি,আধা সরকারি,স্বায়িত্বশাসিত এবং বেসরকারি ভবনে পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ৯ টায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করবে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন।

আজ সকাল ১০ ঘটিকায় হবিগঞ্জ জেলা মুক্তিযুদ্ধা সংসদ চত্বর, হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল প্রাঙ্গন ও জেলা মুক্তিযুদ্ধা চত্বর পরিষ্কার-পরিচন্নতা অভিযান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে, পরবর্তীতে বেলা ১০.৩০ মিনিটে নিমতলা কালেক্টর প্রাঙ্গনে শতকন্ঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দেয়া হবে।

পরবর্তীতে সকাল ১১ ঘটিকায় নিমতলা কালেক্টর প্রাঙ্গনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে, ১২ ঘটিকায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে ১২.৩০ ঘটিকায় পুরুষ্কার বিতরণ করা হবে বলে জানা যায়।

এ দিকে ৭ মর্চের কর্মসূচির এই

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় সুবিধামতে সময়ে হবিগঞ্জ জেলার সকল মসজিদ/ মন্দির / গির্জা / প্যাগোডাতে বিশেষ মুনাজাত ও প্রার্থনার করতে হবে এবং নির্ধারিত সময়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি বড় পর্দায় সম্প্রচার কারা হবে বলে জানা যায়।

এ বিজ্ঞপ্তিতে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অনন্য তাৎপর্যমণ্ডিত দিন। এই দিনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক ঐতিহাসিক ভাষণের মাধ্যমে বাঙালি জাতির স্বাধীনতার বীজ বপন করেন।

গৌরবোজ্জ্বল এই দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদা এবং ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদযাপনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন হবিগঞ্জ কতৃক দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।