হবিগঞ্জ ০১:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ২২ দিন অন্ধকারে থাকার পর ব্যারিস্টার সুমনের সহযোগিতায় বিদ্যুৎ সংযোগ পেল ৩৪ টি পরিবার Logo মাধবপুরে আগুনে পুড়ে ছাই হলো মিলনের বেঁচে থাকার অবলম্বন Logo চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাচনে ১৭ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র দাখিল Logo সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন Logo বিদ্যুৎপৃষ্ঠে নিহতের পরিবারের পাশে ব্যারিস্টার সুমন-এমপি Logo টেকনাফের ব্যাবসায়ী ৫শ’ পিছ ইয়াবাসহ চুনারুঘাটে গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে তীব্র দাবদাহে সুপেয় পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ Logo শেখ হাসিনার আধুনিক চিন্তা ধারায় বদলে গেল কৃষিখাত, ব্যারিস্টার সুমন Logo কথায় কথায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক তাদের কাম কি? মানুষের টাকা মেরে দেয়া, ব্যারিস্টার সুমন Logo বাহুবলে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন, জরিমানা ৫০ হাজার টাকা

হবিগঞ্জে ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে চরম দুর্দিন যাচ্ছে

বাজারের ক্রমবর্ধমান পতনের কারণে বিনিয়োগকারীরা উৎসাহ হারাচ্ছেন। হবিগঞ্জে চরম দুর্দিন যাচ্ছে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর। যারা লেনদেন করেছেন তারাও লোকসানে পড়ে লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছেন। ব্রোকারেজ হাউজে যাওয়াও ছেড়ে দিয়েছেন। অনেক বিনিয়োগকারীর পুঁজি এখন অর্ধেকে নেমে গেছে। এ অবস্থায় নতুন বিনিয়োগকারীরাও আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। ফলে ব্রোকারেজ হাউজগুলোকেও লোকসান টানতে হচ্ছে। এতে হবিগঞ্জে অবস্থিত ব্রোকারেজ হাউজগুলোর শাখা টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে।

সরেজমিন জানা যায়, জেলা শহরে বর্তমানে তিনটি ব্রোকারেজ হাউজ চলমান। একটি অনেক আগেই তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। চালুর অপেক্ষায় আরও একটি। চলমান ব্রোকারেজ হাউজগুলো হচ্ছে উইফাং সিকিউরিটিজ লিমিটেড, আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও ফার্স্ট ক্যাপিটেল সিকিউরিটিজ লিমিটেড। এর মধ্যে প্রথম দুটি ব্যবসা করছে প্রায় ১৫ বছর ধরে। আর ফার্স্ট ক্যাপিটেল ব্যবসা শুরু করে গত বছরের মাঝামাঝি থেকে।

ক্রয়-বিক্রয় না হওয়ার কারণে ব্রোকারেজ হাউজগুলো রীতিমতো খরচ তুলতেই হিমশিম খাচ্ছে। বাজারের এমন অবস্থার জন্য বিনিয়োগকারীরা দায়ী করছেন ফ্লোর প্রাইসকে। তারা বলছেন, ফ্লোর প্রাইস দিয়েছে। পরে আবার তা তুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে শেয়ারের দাম টানা পতন হয়। যখন টাকা অর্ধেক হয়ে গেছে তখন আবারও ফ্লোর প্রাইস দেওয়া হয়েছে। এটি ঠিক হয়নি।

ফ্লোর প্রাইস যদি দিতে হয় তবে যেখানে ছিল সেখানেই ফ্লোর প্রাইস দিলে হয়তো কিছু টাকা থাকতো। এখন তো রীতিমতো পুঁজিই শেষ হয়ে গেছে। এটি করে বিনিয়োগকারীদের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী মাহবুবুল আলম চৌধুরী শিবলী জানান, তার পুঁজি ছিল ৫-৬ লাখ টাকা। কিন্তু বর্তমানে আছে ২ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার কারণে এটি হয় বলে তিনি দাবি করেন।

এক সময় একেকটি হাউজে দৈনিক যেখানে প্রায় কোটি টাকা লেনদেন হতো, সেখানে এখন দৈনিক কয়েক লাখ টাকাও লেনদেন হয় না। বিনিয়োগকারীর পদচারণায় যে হাউজগুলো দিনভর মেতে থাকতো, সেখানে এখন সারাদিনে একজন বিনিয়োগকারীও যান না। চেয়ারগুলোও ফাঁকা পড়ে থাকে। কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীই এখন সেগুলো মাতিয়ে রাখেন। সম্প্রতি শেয়ারবাজারের টানা দরপতনের ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিনিয়োগকারীরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। অনেকের পুঁজি আবার নেমেছে অর্ধেকে। তাই কেউই শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কেউ এখন শেয়ার বিক্রি করেন না। বাজার কোন পথে যায় সে ভয়ে কেনেনও না।

তিনি বলেন, আমার কিছু শেয়ার কেনা ছিল ৫০-৫১ টাকা করে। ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার কারণে সেগুলো নেমে যায় ৩৭-৩৮ টাকায়। এখন আবার ফ্লোর দেওয়া হয়েছে। দেশে এখন সব কিছুরই দাম বাড়ছে। চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ছে। শুধু কমছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের পুঁজি। অথচ আমরা এখান থেকেই ট্যাক্স দিচ্ছি। এ টাকা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

২২ দিন অন্ধকারে থাকার পর ব্যারিস্টার সুমনের সহযোগিতায় বিদ্যুৎ সংযোগ পেল ৩৪ টি পরিবার

হবিগঞ্জে ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে চরম দুর্দিন যাচ্ছে

আপডেট সময় ০২:৪৯:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩

বাজারের ক্রমবর্ধমান পতনের কারণে বিনিয়োগকারীরা উৎসাহ হারাচ্ছেন। হবিগঞ্জে চরম দুর্দিন যাচ্ছে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর। যারা লেনদেন করেছেন তারাও লোকসানে পড়ে লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছেন। ব্রোকারেজ হাউজে যাওয়াও ছেড়ে দিয়েছেন। অনেক বিনিয়োগকারীর পুঁজি এখন অর্ধেকে নেমে গেছে। এ অবস্থায় নতুন বিনিয়োগকারীরাও আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। ফলে ব্রোকারেজ হাউজগুলোকেও লোকসান টানতে হচ্ছে। এতে হবিগঞ্জে অবস্থিত ব্রোকারেজ হাউজগুলোর শাখা টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে।

সরেজমিন জানা যায়, জেলা শহরে বর্তমানে তিনটি ব্রোকারেজ হাউজ চলমান। একটি অনেক আগেই তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। চালুর অপেক্ষায় আরও একটি। চলমান ব্রোকারেজ হাউজগুলো হচ্ছে উইফাং সিকিউরিটিজ লিমিটেড, আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও ফার্স্ট ক্যাপিটেল সিকিউরিটিজ লিমিটেড। এর মধ্যে প্রথম দুটি ব্যবসা করছে প্রায় ১৫ বছর ধরে। আর ফার্স্ট ক্যাপিটেল ব্যবসা শুরু করে গত বছরের মাঝামাঝি থেকে।

ক্রয়-বিক্রয় না হওয়ার কারণে ব্রোকারেজ হাউজগুলো রীতিমতো খরচ তুলতেই হিমশিম খাচ্ছে। বাজারের এমন অবস্থার জন্য বিনিয়োগকারীরা দায়ী করছেন ফ্লোর প্রাইসকে। তারা বলছেন, ফ্লোর প্রাইস দিয়েছে। পরে আবার তা তুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে শেয়ারের দাম টানা পতন হয়। যখন টাকা অর্ধেক হয়ে গেছে তখন আবারও ফ্লোর প্রাইস দেওয়া হয়েছে। এটি ঠিক হয়নি।

ফ্লোর প্রাইস যদি দিতে হয় তবে যেখানে ছিল সেখানেই ফ্লোর প্রাইস দিলে হয়তো কিছু টাকা থাকতো। এখন তো রীতিমতো পুঁজিই শেষ হয়ে গেছে। এটি করে বিনিয়োগকারীদের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী মাহবুবুল আলম চৌধুরী শিবলী জানান, তার পুঁজি ছিল ৫-৬ লাখ টাকা। কিন্তু বর্তমানে আছে ২ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার কারণে এটি হয় বলে তিনি দাবি করেন।

এক সময় একেকটি হাউজে দৈনিক যেখানে প্রায় কোটি টাকা লেনদেন হতো, সেখানে এখন দৈনিক কয়েক লাখ টাকাও লেনদেন হয় না। বিনিয়োগকারীর পদচারণায় যে হাউজগুলো দিনভর মেতে থাকতো, সেখানে এখন সারাদিনে একজন বিনিয়োগকারীও যান না। চেয়ারগুলোও ফাঁকা পড়ে থাকে। কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীই এখন সেগুলো মাতিয়ে রাখেন। সম্প্রতি শেয়ারবাজারের টানা দরপতনের ফলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিনিয়োগকারীরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। অনেকের পুঁজি আবার নেমেছে অর্ধেকে। তাই কেউই শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কেউ এখন শেয়ার বিক্রি করেন না। বাজার কোন পথে যায় সে ভয়ে কেনেনও না।

তিনি বলেন, আমার কিছু শেয়ার কেনা ছিল ৫০-৫১ টাকা করে। ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার কারণে সেগুলো নেমে যায় ৩৭-৩৮ টাকায়। এখন আবার ফ্লোর দেওয়া হয়েছে। দেশে এখন সব কিছুরই দাম বাড়ছে। চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ছে। শুধু কমছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের পুঁজি। অথচ আমরা এখান থেকেই ট্যাক্স দিচ্ছি। এ টাকা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে