হবিগঞ্জ ০৬:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ২২ দিন অন্ধকারে থাকার পর ব্যারিস্টার সুমনের সহযোগিতায় বিদ্যুৎ সংযোগ পেল ৩৪ টি পরিবার Logo মাধবপুরে আগুনে পুড়ে ছাই হলো মিলনের বেঁচে থাকার অবলম্বন Logo চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাচনে ১৭ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র দাখিল Logo সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন Logo বিদ্যুৎপৃষ্ঠে নিহতের পরিবারের পাশে ব্যারিস্টার সুমন-এমপি Logo টেকনাফের ব্যাবসায়ী ৫শ’ পিছ ইয়াবাসহ চুনারুঘাটে গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে তীব্র দাবদাহে সুপেয় পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ Logo শেখ হাসিনার আধুনিক চিন্তা ধারায় বদলে গেল কৃষিখাত, ব্যারিস্টার সুমন Logo কথায় কথায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক তাদের কাম কি? মানুষের টাকা মেরে দেয়া, ব্যারিস্টার সুমন Logo বাহুবলে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন, জরিমানা ৫০ হাজার টাকা

এবার ঈদুল ফিতরে সাতছড়িতে ২ লাখ টাকার রাজস্ব আদায়

করোনা কাটিয়ে এই প্রথম সাতছড়িতে পর্যটকের উপচে পড়া ভীড় ছিল.. 

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ঈদের দিন থেকে পর্যটকদের ঢল নামে। সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে পর্যটকরা গিয়েছেন উদ্যানে ঘুরতে। পাশাপাশি রেমা কালেঙ্গা অভয়ারণ্য ও উপজেলার চা বাগানগুলোতে পর্যটকদের ভীড় ছিলে চোখে পড়ার মতো। বৃষ্টি বাধাঁ হয়েও ঠেকাতে পারেনি ভ্রমনপিপাশুদের ঢল। তিন দিনে দুই লক্ষাধিক টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে সাতছড়িতে।

বিপুল সংখ্যক পর্যটক বৃষ্টি উপেক্ষা করেই পর্যটন কেন্দ্র সমূহে সমবেত হয়েছেন। ইদের দিন দুপুরের পর বৃষ্টি থামলে পর্যটকদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে উদ্যান কর্তৃপক্ষের। পর্যটকরা ওয়াচ টাওয়ার ও বাটার ফ্লাই গার্টেন ঘুরেছেন উৎসবের আনন্দে। অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে ঘূরে বেড়িয়েছেন উদ্যানে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উদ্যানের পাশাপাশি চা বাগানের টিলার আঁকাবাঁকা পিচ্ছিল রাস্তায় পর্যটকেরা ঘোরাফেরা করছেন। কেউ কেউ দল বেঁধে এক টিলা থেকে অন্য টিলায় গিয়ে ফটোসেশন করছেন। জাতীয় উদ্যানে প্রজাপতি বাগানে সবেচেয়ে বেশি তরুন তরুনীদের ফটোসেশন দেখা গেছে।

জাতীয় উদ্যানের দায়িত্বে থাকা সাতছড়ি বিট কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চৌধূরী জানান, ইদের দিন বৃষ্টি উপেক্ষা করেই হাজার হাজার পর্যটক এসেছেন। বৃষ্টি না হলে পর্যটকদের সংকুলান হতো না। তিনি জানান, ইদের দিন থেকে গত ৩ দিনে টিকেট থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২ লাখ টাকারও বেশি। আজ শুক্রবারও পর্যটকে ভীড় থাকবে পার্কে।

জাতীয় উদ্যানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ জানান, বৃষ্টি উপেক্ষা করে পর্যটকদের ঢল নেমেছিল উদ্যানে। বিশেষ করে বিকেলে অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছিলেন।

এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য চুনারুঘাট থানা পুলিশের পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা কমিটির ভলান্টিয়ার বাহিনী এবং সিপিজি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছে।

উদ্যানে ঘুরতে আসা অনেকেই অভিযোগ করেন, কিশোর গ্যাং সদস্যদের ছোট ছোট পিকআপ ও ট্রাকে করে অতিমাত্রায় নাচানাচি ও সাউন্ডবক্স এর ব্যবহার। মানুষের পাশাপাশি বনের পশুপাখির জন্য তা ছিল অত্যেন্ত ক্ষতিকর। এছাড়া তরুনদের বাইক রাইড ও উশৃঙ্খল আচরণও পর্যটকদের বিরক্তির কারণ।

চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আলী আশরাফ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় উদ্যানে সার্বক্ষনিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করেছে। পাশাপাশি টহল বাহিনীও ছিল তৎপর।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

২২ দিন অন্ধকারে থাকার পর ব্যারিস্টার সুমনের সহযোগিতায় বিদ্যুৎ সংযোগ পেল ৩৪ টি পরিবার

এবার ঈদুল ফিতরে সাতছড়িতে ২ লাখ টাকার রাজস্ব আদায়

আপডেট সময় ০১:১৮:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ মে ২০২২

করোনা কাটিয়ে এই প্রথম সাতছড়িতে পর্যটকের উপচে পড়া ভীড় ছিল.. 

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ঈদের দিন থেকে পর্যটকদের ঢল নামে। সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে পর্যটকরা গিয়েছেন উদ্যানে ঘুরতে। পাশাপাশি রেমা কালেঙ্গা অভয়ারণ্য ও উপজেলার চা বাগানগুলোতে পর্যটকদের ভীড় ছিলে চোখে পড়ার মতো। বৃষ্টি বাধাঁ হয়েও ঠেকাতে পারেনি ভ্রমনপিপাশুদের ঢল। তিন দিনে দুই লক্ষাধিক টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে সাতছড়িতে।

বিপুল সংখ্যক পর্যটক বৃষ্টি উপেক্ষা করেই পর্যটন কেন্দ্র সমূহে সমবেত হয়েছেন। ইদের দিন দুপুরের পর বৃষ্টি থামলে পর্যটকদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে উদ্যান কর্তৃপক্ষের। পর্যটকরা ওয়াচ টাওয়ার ও বাটার ফ্লাই গার্টেন ঘুরেছেন উৎসবের আনন্দে। অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে ঘূরে বেড়িয়েছেন উদ্যানে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উদ্যানের পাশাপাশি চা বাগানের টিলার আঁকাবাঁকা পিচ্ছিল রাস্তায় পর্যটকেরা ঘোরাফেরা করছেন। কেউ কেউ দল বেঁধে এক টিলা থেকে অন্য টিলায় গিয়ে ফটোসেশন করছেন। জাতীয় উদ্যানে প্রজাপতি বাগানে সবেচেয়ে বেশি তরুন তরুনীদের ফটোসেশন দেখা গেছে।

জাতীয় উদ্যানের দায়িত্বে থাকা সাতছড়ি বিট কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চৌধূরী জানান, ইদের দিন বৃষ্টি উপেক্ষা করেই হাজার হাজার পর্যটক এসেছেন। বৃষ্টি না হলে পর্যটকদের সংকুলান হতো না। তিনি জানান, ইদের দিন থেকে গত ৩ দিনে টিকেট থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২ লাখ টাকারও বেশি। আজ শুক্রবারও পর্যটকে ভীড় থাকবে পার্কে।

জাতীয় উদ্যানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ জানান, বৃষ্টি উপেক্ষা করে পর্যটকদের ঢল নেমেছিল উদ্যানে। বিশেষ করে বিকেলে অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসেছিলেন।

এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য চুনারুঘাট থানা পুলিশের পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা কমিটির ভলান্টিয়ার বাহিনী এবং সিপিজি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছে।

উদ্যানে ঘুরতে আসা অনেকেই অভিযোগ করেন, কিশোর গ্যাং সদস্যদের ছোট ছোট পিকআপ ও ট্রাকে করে অতিমাত্রায় নাচানাচি ও সাউন্ডবক্স এর ব্যবহার। মানুষের পাশাপাশি বনের পশুপাখির জন্য তা ছিল অত্যেন্ত ক্ষতিকর। এছাড়া তরুনদের বাইক রাইড ও উশৃঙ্খল আচরণও পর্যটকদের বিরক্তির কারণ।

চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আলী আশরাফ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় উদ্যানে সার্বক্ষনিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করেছে। পাশাপাশি টহল বাহিনীও ছিল তৎপর।