হবিগঞ্জ ০৩:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মিরাশী ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে ঈদ পূণর্মিলনী Logo ঈদযাত্রায় মহাসড়কে পুলিশের টহল জোরদার, সিলেটবাসীর নির্বিঘ্ন ঘরে ফেরা Logo ঈদে অর্ধশতাধিক এতিমদের মুখে হাসি ফোটালেন ছাত্রদল নেতা আল সাইমুম আহাদ Logo চুনারুঘাটে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালন Logo মাধবপুরে ‎হাত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে Logo মাধবপুরে বেড়েছে, মাদক ও ছিনতাইয়ের সন্ত্রাসে জনজীবন অতিষ্ঠ Logo টানা বৃষ্টিপাতে মাধবপুরে মহাসড়কসহ বিভিন্ন জায়গা প্লাবিত Logo চুনারুঘাটে পানিতে ডুবে ভাইবোনের এক সাথে মৃত্যু Logo চুনারুঘাটে তহশিলদার মইনুল ইসলামে সততার ঈর্ষান্বিত হয়ে সংবাদ প্রকাশ Logo চুনারুঘাটে ফের ২২ বাংলাদেশীকে পুশইন করেছে বিএসএফ

দীর্ঘ ২ বছরেও একাধিক মামলার সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টের আসামী মানিক গ্রেফতার হয়নি!

দীর্ঘ ২ বছর পাড় হলেও চুনারুঘাট থানা পুলিশ একাধিক মামলার সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টের আসামী ফল ব্যবসায়ী মানিক মিয়াকে গ্রেফতার করতে পারেনি। গত ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে দায়রা- ৮৯৪/২০১৯ চেক ডিজঅনার মামলায় চুনারুঘাট পৌর শহরের মধ্যবাজারস্থ নাদিয়া ফল ভান্ডারের সত্ত্বাধিকারী মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে ১ বছরের কারাদন্ড, ৫ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড ও বিনাশ্রমে আরো ৩ মাসের কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন হবিগঞ্জের বিজ্ঞ যুগ্ম দায়রা জজ ১ম আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ শহীদুল আমিন।

এছাড়াও মানিকের বিরুদ্ধে আরো ৩টি মামলায় ওয়ারেন্ট ও সাজা পরোয়ানা রয়েছে। মামলার বিবরণে জানা যায়, চুনারুঘাট মধ্য বাজারের নাদিয়া ফল ভান্ডারের মালিক ও আড়ৎদার চুনারুঘাট পৌরসভার আমকান্দি গ্রামের মৃত আঃ নুরের পুত্র এবং চুনারুঘাট মধ্য বাজারের ফল ব্যবসায়ী যুবদল নেতা আব্দুল্লা’র ছোট ভাই মানিক মিয়া (৩৬) ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর তার ব্যবসায়িক প্রয়োজনে উপজেলার রানীগাঁও গ্রামের ফারুক মাহমুদের নিকট হতে ৬ মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকারে ৫ লক্ষ টাকা কর্জ নেন এবং নিরাপত্তা জামানত হিসেবে তার নামীয় পূবালী ব্যাংক লিঃ চুনারুঘাট শাখার একটি চেক প্রদান করেন।

কিন্তু ৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও ফল ব্যবসায়ী মানিক মিয়া কর্জকৃত টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেন। ফল ব্যবসায়ী মানিক মিয়ার দেওয়া চেকখানা নগদায়নের জন্য ব্যাংকে দাখিল করলে অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে চেকটি ডিজঅনার হয়।

পরবর্তীতে ফারুক মাহমুদ বিজ্ঞ আইনজীবির মাধ্যমে বিগত ০৪/০২/২০১৯ ইং তারিখে তাহার পাওনা ৫ লক্ষ টাকা পরিশোধের জন্য প্রাপ্তি স্বীকার পত্র সহ রেজিঃ ডাকযোগে মানিক মিয়ার স্থায়ী ঠিকানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানায় দুইখানা লিগ্যাল নোটিশ প্রেরন করেন। কিন্তু বার বার চেষ্টা করার পরও প্রাপককে না পাওয়ায় প্রেরকের নিকট ফেরত উল্লেখ করে ১২/০২/২০১৯ ইং তারিখে উক্ত লিগ্যাল নোটিশ দুইখানা ফেরত আসে।

লিগ্যাল নোটিশ ফেরত আসার ৩০ দিন অতিবাহিত হওয়া স্বত্ত্বেও ফল ব্যবসায়ী মানিক মিয়া কর্জকৃত টাকা পরিশোধ না করায় ফারুক মাহমুদ বাদী হয়ে বিবাদী মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে ১৪/০৩/২০১৯ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালতে একটি চেক ডিজঅনার মামলা দায়ের করেন। যার নং- দায়রা ৮৯৪/১৯ (চুনাঃ)।

এদিকে ফল ব্যবসায়ী মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ সহ আরো ৩/৪টি মামলার ওয়ারেন্ট ও সাজা পরোয়ানা রয়েছে। প্রতারক মানিক মিয়ার ফাঁদে পড়ে এখন প্রতারণার শিকার হয়ে নিঃস্ব হতে যাচ্ছেন ফারুক সহ ভুক্তভোগীরা।

আসামী মানিক মিয়া তার ভাই আব্দুল্লার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে বর্তমানে হবিগঞ্জের রিচি গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপনে আছেন বলে একটি সূত্রে জানা যায়।

এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি রাশেদুল হক বলেন, চুনারুঘাট পৌরসভার বাসিন্দা আসামী মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা সহ একাধিক ওয়ারেন্ট রয়েছে। সে পলাতক আছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য থানা পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মিরাশী ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে ঈদ পূণর্মিলনী

দীর্ঘ ২ বছরেও একাধিক মামলার সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টের আসামী মানিক গ্রেফতার হয়নি!

আপডেট সময় ১২:৩৪:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩

দীর্ঘ ২ বছর পাড় হলেও চুনারুঘাট থানা পুলিশ একাধিক মামলার সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টের আসামী ফল ব্যবসায়ী মানিক মিয়াকে গ্রেফতার করতে পারেনি। গত ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে দায়রা- ৮৯৪/২০১৯ চেক ডিজঅনার মামলায় চুনারুঘাট পৌর শহরের মধ্যবাজারস্থ নাদিয়া ফল ভান্ডারের সত্ত্বাধিকারী মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে ১ বছরের কারাদন্ড, ৫ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড ও বিনাশ্রমে আরো ৩ মাসের কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন হবিগঞ্জের বিজ্ঞ যুগ্ম দায়রা জজ ১ম আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ শহীদুল আমিন।

এছাড়াও মানিকের বিরুদ্ধে আরো ৩টি মামলায় ওয়ারেন্ট ও সাজা পরোয়ানা রয়েছে। মামলার বিবরণে জানা যায়, চুনারুঘাট মধ্য বাজারের নাদিয়া ফল ভান্ডারের মালিক ও আড়ৎদার চুনারুঘাট পৌরসভার আমকান্দি গ্রামের মৃত আঃ নুরের পুত্র এবং চুনারুঘাট মধ্য বাজারের ফল ব্যবসায়ী যুবদল নেতা আব্দুল্লা’র ছোট ভাই মানিক মিয়া (৩৬) ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর তার ব্যবসায়িক প্রয়োজনে উপজেলার রানীগাঁও গ্রামের ফারুক মাহমুদের নিকট হতে ৬ মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকারে ৫ লক্ষ টাকা কর্জ নেন এবং নিরাপত্তা জামানত হিসেবে তার নামীয় পূবালী ব্যাংক লিঃ চুনারুঘাট শাখার একটি চেক প্রদান করেন।

কিন্তু ৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও ফল ব্যবসায়ী মানিক মিয়া কর্জকৃত টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেন। ফল ব্যবসায়ী মানিক মিয়ার দেওয়া চেকখানা নগদায়নের জন্য ব্যাংকে দাখিল করলে অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে চেকটি ডিজঅনার হয়।

পরবর্তীতে ফারুক মাহমুদ বিজ্ঞ আইনজীবির মাধ্যমে বিগত ০৪/০২/২০১৯ ইং তারিখে তাহার পাওনা ৫ লক্ষ টাকা পরিশোধের জন্য প্রাপ্তি স্বীকার পত্র সহ রেজিঃ ডাকযোগে মানিক মিয়ার স্থায়ী ঠিকানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঠিকানায় দুইখানা লিগ্যাল নোটিশ প্রেরন করেন। কিন্তু বার বার চেষ্টা করার পরও প্রাপককে না পাওয়ায় প্রেরকের নিকট ফেরত উল্লেখ করে ১২/০২/২০১৯ ইং তারিখে উক্ত লিগ্যাল নোটিশ দুইখানা ফেরত আসে।

লিগ্যাল নোটিশ ফেরত আসার ৩০ দিন অতিবাহিত হওয়া স্বত্ত্বেও ফল ব্যবসায়ী মানিক মিয়া কর্জকৃত টাকা পরিশোধ না করায় ফারুক মাহমুদ বাদী হয়ে বিবাদী মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে ১৪/০৩/২০১৯ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালতে একটি চেক ডিজঅনার মামলা দায়ের করেন। যার নং- দায়রা ৮৯৪/১৯ (চুনাঃ)।

এদিকে ফল ব্যবসায়ী মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ সহ আরো ৩/৪টি মামলার ওয়ারেন্ট ও সাজা পরোয়ানা রয়েছে। প্রতারক মানিক মিয়ার ফাঁদে পড়ে এখন প্রতারণার শিকার হয়ে নিঃস্ব হতে যাচ্ছেন ফারুক সহ ভুক্তভোগীরা।

আসামী মানিক মিয়া তার ভাই আব্দুল্লার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে বর্তমানে হবিগঞ্জের রিচি গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপনে আছেন বলে একটি সূত্রে জানা যায়।

এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি রাশেদুল হক বলেন, চুনারুঘাট পৌরসভার বাসিন্দা আসামী মানিক মিয়ার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা সহ একাধিক ওয়ারেন্ট রয়েছে। সে পলাতক আছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য থানা পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।