আজ হবিগঞ্জের কৃতি সন্তান বিচারপতি সৈয়দ আবুল বশর মাহমুদ হোসেন এর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান বিচারপতি ছিলেন।
বিচারপতি সৈয়দ এ বি মাহমুদ হোসেন তদানিন্তন তরফ রাজ্য (বর্তমানে হবিগঞ্জ জেলার অধিকাংশ অঞ্চল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল কিশোরগঞ্জ জেলার জোয়ানশাহী এবং মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের বালিশিরা পরগণা ) এর রাজধানী বর্তমানে লস্করপুর পশ্চিম হাবিলী, হবিগঞ্জ এর এক সম্ভ্রান্ত ও ঐতিহ্যবাহী সৈয়দ পরিবারে ১লা ফেব্রুয়ারি ১৯১৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
তার পিতার নাম সৈয়দ আব্দুল মোতাকাব্বির আবুল হোসেন, যিনি তরফ রাজ্যের ছয় আনার জমিদার ও বহুভাষাবিদ এবং সনেট কবিতা লেখক ছিলেন। মাতা সালমা খাতুন চৌধুরী।
উনার পিতার পূর্ব পুরূষ সুদুর ইয়েমেন হতে আগত হযরত শাহজালাল (রহ.) এর সফরসঙ্গী এবং উনার সিপাহসালার, সৈয়দ নাসিরউদ্দিন (রহ.) এর বংশধর।
সৈয়দ এ বি মাহমুদ হোসেন লস্করপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন পরবর্তীতে ১৯৩১ সালে শায়েস্তাগঞ্জ হাইস্কুল থেকে প্রবেশিকা, সিলেট এমসি কলেজ থেকে বি এ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনের ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি ১৯৩৭ থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত নারিন্দা, ঢাকা এর দারুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসার অবৈতনিক সুপারিনটেনডেন্ট ছিলেন।
১৯৫২ হইতে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের সহকারী গভ: প্লিডার এবং ১৯৭২ সালে তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন।
১৯৭৫ সালে তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। বৃহত্তর সিলেটের তিনিই প্রথম বিচারপতি। তিনি ঢাকায় অবস্থিত সেন্ট্রাল ল কলেজের প্রতিষ্টাতা ছিলেন।
বিচারপতি সৈয়দ এ বি মাহমুদ হোসেন এর আপন ভাতিজা বাংলাদেশের ১৪ তম প্রধান বিচারপতি, বিচারপতি সৈয়দ জে আর মোদাচ্ছির হোসেন এবং বিচারপতি সৈয়দ এ বি মাহমুদ হোসেন এর সুযোগ্য সন্তান বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ছিলেন।
বিচারপতি সৈয়দ এ বি মাহমুদ হোসেন নারিন্দা শাহ সাহেব বাড়ীর হযরত শাহ আহসান উল্লাহ (র.) এর জ্যেষ্ট পুত্র শাহ আবদুল আজিজ (র.) এর কন্যা সুফিয়া বেগম এর সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
উনার সহধর্মিনী অত্যন্ত ধার্মিক এবং আধ্যাত্বিক মহিলা ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি চার ছেলে ও পাঁচ কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন।
তিনি ১৯৮২ সালে ২রা আগস্ট পরলোকগমন করেন। আল্লাহ্ সুবহানুতায়ালা উনাকে যেন জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করেন। আমিন