প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৩ এর হবিগঞ্জ জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাচিত হলেন চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিদ্ধার্থ ভৌমিক।
গত বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ ও সদস্য সচিব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: গোলাম মৌলা যৌথ স্বাক্ষরে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সিদ্ধার্থ ভৌমিক এর নাম ঘোষণা করা হয়।
সিদ্ধার্থ ভৌমিক প্রায় দুবছরে এ উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, শিশুদের খেলাধুলা, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নের জন্য শিশু ও অভিভাবকদের উদ্বুদ্ধকরণ, কাব স্কাউট গঠন, বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন, ঝরেপড়া শিশুদের বিদ্যালয়ে নেয়া, চা শ্রমিক জনগোষ্ঠীর শিশুদের স্কুলে ভর্তি বৃদ্ধি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পুষ্টিহীন মা ও শিশুদের সুস্বাস্থ্য রক্ষা, শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে অসামান্য অবদানের জন্য শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষা পদকে ভূষিত হন।
এবিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মানন্নোয়নে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ক্রীড়া ও আইসিটি সামগ্রী বিতরণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের প্রসার, শিক্ষার্থীদের সচেতনতামূলক সভা, শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে কর্মসূচি গ্রহণ করে দ্রুত বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গ, সিদ্ধার্থ ভৌমিক ২০২১ সালের চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।
এর আগে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে রাষ্ট্রিয় প্রতিষ্ঠান ও সমাজে সু-শাসন প্রতিষ্ঠার অভিলক্ষ্যে পেশাগত জ্ঞান, দক্ষতা এবং ই- ফাইলিং সহ শুদ্ধাচার চর্চা বিষয়ক বিভিন্ন সূচকে সন্তোষজনক অর্জনের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ‘শুদ্ধাচার ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের জন্য হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শুদ্ধাচার চর্চায় উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান নীতিমালা – মোতাবেক শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউএনও সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, জেলা প্রশাসক স্যার এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান ও নির্দেশনা মোতাবেক জনগণের মাঝে সেবা পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি ঝরেপড়া শিশুদের বিদ্যালয়ে নেয়া, চা শ্রমিক জনগোষ্ঠীর শিশুদের স্কুলে ভর্তি বৃদ্ধি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও শিশুদের মানসিক এবং শারীরিক বিকাশে কর্মক্ষেত্রে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা পরিষদের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, সুশীল সমাজসহ সকলের সহযোগিতা পেয়েছি বলেই এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।