গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ভেঙ্গে গেছে কৃষকের স্বপ্ন।হারিয়ে গেছে মুখের হাসি।
বিশেষ করে কোম্পানীগঞ্জের পাথর কোয়ারী বন্ধ থাকায় মানুষ তার কর্মক্ষেত্র হারিয়ে মনযোগ দিয়ে ছিল কৃষি ক্ষেতে। এই উপজেলার মানুষের কর্মক্ষেত্র হারিয়ে যাওয়ার কান্না থামাতেই বিকল্প স্বপ্ন দেখেন কৃষি ক্ষেত। আর তাদের এই স্বপ্ন তলিয়ে গেছে পানির নিচে। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতি বৃষ্টিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের উঠতি ফসল তলিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে যায় কৃষকের বোরো ধান। ধান কাটা মৌসুম শুরুর প্রাক্কালে ধূলিসাৎ হয়ে গেছে এসব এলাকার কৃষকের স্বপ্ন। আধাপাকা ধান ডুবে যাওয়ায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন এসব এলাকার কৃষক। অনেক এলাকার একমাত্র ফসল বোরো ধান ডুবে যাওয়ায় ভবিষ্যৎ অন্ধকার দেখছেন তারা।
বিশেষ করে উপজেলার ১নং ইসলামপুর পশ্চিম, ২নং ইসলামপুর পূর্ব, ৩নং তেলিখাল, ৪নং ইছাকলস, ৫নং উত্তর রণিখাই ও ৬নং দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়নের কয়েক হাজার একর জমির বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলা কৃষি অফিস ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান আলী জানান, ছোট বড় হাওর মিলিয়ে ১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়ে ছিল। বর্তমানে সাড়ে ৩শত হেক্টর জমি পানিতে নিমজ্জিত আছে।
উত্তর রণিখাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমান বলেন, পাহাড়ী ঢলের কারনে আগাম বন্যা দেখা দিয়েছে। অপ্রত্যাশিত বন্যায় নিম্নাঞ্চল ও হাওরাঞ্চলের মানুষের বোরো ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী আফিসার লুসিকান্ত হাজং উপজেলার বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেন। তিনি রিপোর্টারকে জানান উপজেলার বাধগুলো এখনো সুরক্ষিত আছে। আর যেহেতু পানি কমছে তাই আর ভয়ের কারণ নেই।