হবিগঞ্জ ১২:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চুনারুঘাটে সাংবাদিক নোমান কে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি Logo চুনারুঘাটে প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি ও হত্যা মামলার আসামি আব্দুল হক কুটি র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার Logo ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার সময়ে প্রতিটি খুন-গুমের বিচার বাংলার মাটিতে হবে-মামুনুল হক Logo দেশকে অস্থির করার জন্য স্বৈরাচারের দোসরা নানামুখী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, সৈয়দ মোঃ শাহজাহান Logo চুনারুঘাটে টিসিবির পন্য বিক্রি না করে মজুদ: ২ ডিলারের মালিক আটক Logo মাধবপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত Logo চুনারুঘাটে পৃথক স্থান থেকে নারী সহ ৩ মরদেহ উদ্ধার Logo ফ্যাসিবাদ আজ পালিয়ে বেড়াচ্ছে! মোহাম্মদ সুমন Logo চুনারুঘাটে বেপরোয়া মোটরসাইকেলের চালকের ধাক্কায় অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট গুরুত : আহত ঢাকায় সিএমএইচে ভর্তি Logo চুনারুঘাটে ৭ বছর পর প্রশসানের সহযোগিতায় সরকারি রাস্তা দখলমুক্ত

চুনারুঘাটে শেষ হলো মণিপুরি নববর্ষ উৎসব চৈরাউবা

রাত যত বাড়ছিল, বাড়ছিল মণিপুরিদের বর্ণাঢ্য লোকনৃত্যের পরিবেশনা ‘থাবল চোংবা’য় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা। সেই সঙ্গে দর্শকও। মণিপুরি অধ্যুষিত গ্রামগুলো থেকে দলবেঁধে আসছিলেন বাসিন্দারা। ছিলেন অন্য সমাজের মানুষও। একটি নির্দিষ্ট সুর ও তালের গানের সঙ্গে মণিপুরি তরুণ-তরুণীরা গোলবৃত্তে হাতে হাত ধরে নাচছিলেন ‘থাবল চোংবা’ নাচ। নববর্ষ উৎসব চৈরাউবার শেষ আয়োজন। আজ (১৯ মার্চ)শনিবার উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নের আবাদগাঁও গ্রামে বিশগাঁও মনিপুরী ক্লাব এ উৎসবের আয়োজন করে। স্থানীয় গাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সহ অনেক লোকজন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সকাল থেকেই ছিল নানা আয়োজন।মঞ্চে নানা বয়সের মণিপুরী নারীরা উচ্ছ্বাস, চিৎকার, হাসি-হুল্লোড়ের মধ্য দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে আনন্দ ঊপভোগ করেন এর এক ফাঁকে সেরে নেওয়া হলো বন দেবতার পূজাও।

আয়োজকেরা জানান, পৃথিবীর নানা প্রান্তে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে নানা ধরনের বর্ষ গণনার রীতি আছে। মৈতৈ মণিপুরিদেরও ‘মলিয়াফম পালচা কুম’ বা সংক্ষেপে ‘মলিয়াকুম’ নামে পরিচিত একটি বর্ষগণনা রীতি আছে। মণিপুরি ভাষায় ‘কুম’ অর্থ বর্ষ বা সন। এটা প্রচলন করেন মণিপুরের রাজা কাংবার জ্যেষ্ঠ পুত্র ‘কোইকোই’। এই বর্ষ গণনারীতি চান্দ্র পদ্ধতি অনুসরণে। মণিপুরি সমাজেও পয়লা বৈশাখ নববর্ষ হিসেবে প্রচলিত। পাশাপাশি মলিয়াকুমের প্রথম দিনও নববর্ষ হিসেবে উদ্‌যাপিত হয়ে আসছে নীরবে। মণিপুরি ভাষায় নববর্ষকে বলা হয় ‘অনৌবাকুম’। তবে নববর্ষের উৎসবকে বলা হয় ‘শজিবু চৈরাউবা’ বা শুধুই ‘চৈরাউবা’।

চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বলেন, নানা জাতি-ধর্মের মানুষের বাস এই জনপদে। যুগ যুগ ধরে নিজের ঐতিহ্য-সংস্কৃতি লালন করে সবাই মিলে জীবন যাপন করছে। ধর্ম যার যার হলেও এখানে উৎসব সবার। সবাই মিলে এই বৈচিত্র্যের ভূমির মানুষ উৎসব–পার্বণে দিন যাপন করে। এই সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যই মানুষে মানুষে মেলবন্ধন ঘটিয়ে চলছে। এরপরই শুরু হয় নির্দিষ্ট স্থানে থাবল চোংবা। অনেক রাত পর্যন্ত এই নৃত্যগীত চলে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।

চুনারুঘাটে সাংবাদিক নোমান কে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি

চুনারুঘাটে শেষ হলো মণিপুরি নববর্ষ উৎসব চৈরাউবা

আপডেট সময় ১১:২৭:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ মার্চ ২০২২

রাত যত বাড়ছিল, বাড়ছিল মণিপুরিদের বর্ণাঢ্য লোকনৃত্যের পরিবেশনা ‘থাবল চোংবা’য় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা। সেই সঙ্গে দর্শকও। মণিপুরি অধ্যুষিত গ্রামগুলো থেকে দলবেঁধে আসছিলেন বাসিন্দারা। ছিলেন অন্য সমাজের মানুষও। একটি নির্দিষ্ট সুর ও তালের গানের সঙ্গে মণিপুরি তরুণ-তরুণীরা গোলবৃত্তে হাতে হাত ধরে নাচছিলেন ‘থাবল চোংবা’ নাচ। নববর্ষ উৎসব চৈরাউবার শেষ আয়োজন। আজ (১৯ মার্চ)শনিবার উপজেলার গাজিপুর ইউনিয়নের আবাদগাঁও গ্রামে বিশগাঁও মনিপুরী ক্লাব এ উৎসবের আয়োজন করে। স্থানীয় গাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সহ অনেক লোকজন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সকাল থেকেই ছিল নানা আয়োজন।মঞ্চে নানা বয়সের মণিপুরী নারীরা উচ্ছ্বাস, চিৎকার, হাসি-হুল্লোড়ের মধ্য দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে আনন্দ ঊপভোগ করেন এর এক ফাঁকে সেরে নেওয়া হলো বন দেবতার পূজাও।

আয়োজকেরা জানান, পৃথিবীর নানা প্রান্তে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে নানা ধরনের বর্ষ গণনার রীতি আছে। মৈতৈ মণিপুরিদেরও ‘মলিয়াফম পালচা কুম’ বা সংক্ষেপে ‘মলিয়াকুম’ নামে পরিচিত একটি বর্ষগণনা রীতি আছে। মণিপুরি ভাষায় ‘কুম’ অর্থ বর্ষ বা সন। এটা প্রচলন করেন মণিপুরের রাজা কাংবার জ্যেষ্ঠ পুত্র ‘কোইকোই’। এই বর্ষ গণনারীতি চান্দ্র পদ্ধতি অনুসরণে। মণিপুরি সমাজেও পয়লা বৈশাখ নববর্ষ হিসেবে প্রচলিত। পাশাপাশি মলিয়াকুমের প্রথম দিনও নববর্ষ হিসেবে উদ্‌যাপিত হয়ে আসছে নীরবে। মণিপুরি ভাষায় নববর্ষকে বলা হয় ‘অনৌবাকুম’। তবে নববর্ষের উৎসবকে বলা হয় ‘শজিবু চৈরাউবা’ বা শুধুই ‘চৈরাউবা’।

চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বলেন, নানা জাতি-ধর্মের মানুষের বাস এই জনপদে। যুগ যুগ ধরে নিজের ঐতিহ্য-সংস্কৃতি লালন করে সবাই মিলে জীবন যাপন করছে। ধর্ম যার যার হলেও এখানে উৎসব সবার। সবাই মিলে এই বৈচিত্র্যের ভূমির মানুষ উৎসব–পার্বণে দিন যাপন করে। এই সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যই মানুষে মানুষে মেলবন্ধন ঘটিয়ে চলছে। এরপরই শুরু হয় নির্দিষ্ট স্থানে থাবল চোংবা। অনেক রাত পর্যন্ত এই নৃত্যগীত চলে।