হবিগঞ্জ ০৭:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চুনারুঘাটে ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী পর্যটকের মৃত্যু Logo অসুস্থ সাবেক কৃতি ফুটবলার আকছিরের পাশে চুনারুঘাট উপজেলা ফুটবল একাডেমি  Logo আহম্মদাবাদ ইউনিয়নে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন Logo শহীদ মিনারে আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের শ্রদ্ধা নিবেদন Logo সীমান্তের ত্রাস গণধর্ষণ মামলার আসামী আবুল গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে  স্ত্রীর যৌতুক মামলায় বিয়ে পাগল স্বামী গ্রেপ্তার Logo নবাগত ইউএনওর সাথে চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের পরিচিত সভা ও মতবিনিময় Logo মাধবপুরে বিএনপির কর্মী সভা Logo ইউএনও’র পরিচিতি সভা বর্জন করলেন চুনারুঘাটে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ Logo শায়েস্তাগঞ্জে অর্থনৈতিক শুমারির কাজে জনপ্রতিনিধি ও আ’লীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মী!

নাপা সিরাপ নয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মায়ের পরকীয়ার মায়ের হাতে দুই শিশু খুন

সম্প্রতি নাপা সিরাপ খেয়ে দুই শিশু মারা যাওয়ার ঘটনায় সারা দেশে নাপা বিক্রি বন্ধ করে দেয় ঔষধ অধিদপ্তর। এ নিয় দেশে তুল কালাম সৃষ্টি হয়। তবে জানা গেছে নাপা সিরাপ নয়, মায়ের পরকীয়ার বলি ওই দুই শিশু নাপা সিরাপ খেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই সহোদর শিশুর মৃত্যুর অভিযোগটি মিথ্যা বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মায়ের ‘পরকীয়ার বলি’ হয়েছে শিশু দুটি। এরিমধ্যে অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করে একাত্তরকে বলেন, অভিযুক্ত নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বিষ খাইয়ে তার দুই শিশুকে হত্যা করেছেন বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।

এ ঘটনায় নিহত দুই শিশুর বাবা ইসমাঈল হোসেন বাদী হয়ে গতকাল বুধবার (১৬ মার্চ) মাঝরাতে লিমা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক সফিউল্লার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। পরে মামলায় আটক লিমাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, লিমা আশুগঞ্জের একটি চালকলে কাজ করেন। আর তার স্বামী কাজ করেন ইটভাটায়। চালকলে কাজ করার সুবাদে আরেক শ্রমিক সফিউল্লার সঙ্গে লিমার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তারা বিয়ে করারও সিদ্ধান্ত নেন।

তিনি জানান, পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে মিষ্টির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে দুই শিশু ইয়াছিন ও মোরসালিনকে খাইয়ে হত্যা করেন মা লিমা বেগম। মৃত্যুর ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য নাপা সিরাপের রিঅ্যাকশন হয়েছে বলে প্রচার করা হয়। কিন্তু লিমার আচরণে প্রথমেই পুলিশের সন্দেহ হয়। অধিকতর জিজ্ঞাসার পর তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় লিমার প্রেমিক সফিউল্লাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এর আগে নাপা সিরাপ খেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই সহোদর শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠার পর সারা দেশে একটি নির্দিষ্ট ব্যাচে প্রস্তুত ঔষধটির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় গবেষণাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

এছাড়া দুই ভাইয়ের মৃত্যুর খবর প্রকাশের পর জেলার সকল ঔষধের দোকানকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নাপা সিরাপ ও নাপা ড্রপ বিক্রি বন্ধ রাখার জন্য এক বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি।

বাংলাদেশের বড় ঔষধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি প্যারাসিটামলের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড নাপা। এই ব্র্যান্ডের সাসপেনশন বা সিরাপ শিশুদের জ্বর বা ব্যথায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জে নাপা সিরাপ খাওয়ার পর বমি হওয়া এবং পরে জেলা উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে মো. ইয়াছিন মিয়া (০৭) ও মো. মোরসালিন মিয়া (০৪) নামে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনার পর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটি।

সূত্রমতে, গত ১০ মার্চ বিকেলে আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ইটভাটা শ্রমিক মো. ইসমাইল হোসেন সুজন ও চাতাল শ্রমিক রীমা বেগমের দুই শিশু সন্তানের জ্বর হওয়ায় দুর্গাপুর বাজারের জনৈক মাইন উদ্দিনের ফার্মেসী থেকে নাপা সিরাপ কিনে খাওয়ানোর কিছুক্ষণের মধ্যে বমি করতে শুরু করে তারা। এরপর আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার এক ঘণ্টার ব্যবধানের দুই শিশুর মৃত্যু হয়।

নিহত দুই শিশুর মা ও স্বজনরা সে সময় অভিযোগ করেন, তারা গরিব ও দরিদ্র। তাই সিরাপ খেয়ে অসুস্থ হওয়া দুই শিশু নিয়ে হাসপাতালে গেলে যথাযথ চিকিৎসা করা হয়নি। সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও যথাযথ চিকিৎসা না দিয়ে এবং হাসপাতালে ভর্তি না করিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সঠিক চিকিৎসা পেলে শিশু দুটি মারা যেত না বলে দাবি করেন তারা।

এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার সার্বিক ও সুষ্ট তদন্তে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মহিউদ্দিনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করে চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসেন ও ফেনীর সিভিল সার্জন রফিক-উস সালেহীন।

তদন্ত কমিটি সরেজমিনে নিহত দুই শিশুর বাড়িতে এসে তাদের পিতা-মাতাসহ নিকটাত্মীয়দের মতামত নেন এবং আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করে বিভিন্ন বিষয় যাচাই-বাছাই ও সংশ্লিষ্টদের মতামত সংগ্রহ করেন। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয় দাখিল করেন।

বুধবার সিলগালা অবস্থায় তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিচালক ডা. হাছান শাহরিয়ার কবির। তবে এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে অপরাগতা জানিয়ে তিনি বলেন, এটি (তদন্ত প্রতিবেদন) সিলগালা অবস্থায়ই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হবে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

চুনারুঘাটে ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী পর্যটকের মৃত্যু

নাপা সিরাপ নয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মায়ের পরকীয়ার মায়ের হাতে দুই শিশু খুন

আপডেট সময় ০২:৪৯:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ ২০২২

সম্প্রতি নাপা সিরাপ খেয়ে দুই শিশু মারা যাওয়ার ঘটনায় সারা দেশে নাপা বিক্রি বন্ধ করে দেয় ঔষধ অধিদপ্তর। এ নিয় দেশে তুল কালাম সৃষ্টি হয়। তবে জানা গেছে নাপা সিরাপ নয়, মায়ের পরকীয়ার বলি ওই দুই শিশু নাপা সিরাপ খেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই সহোদর শিশুর মৃত্যুর অভিযোগটি মিথ্যা বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মায়ের ‘পরকীয়ার বলি’ হয়েছে শিশু দুটি। এরিমধ্যে অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করে একাত্তরকে বলেন, অভিযুক্ত নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বিষ খাইয়ে তার দুই শিশুকে হত্যা করেছেন বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।

এ ঘটনায় নিহত দুই শিশুর বাবা ইসমাঈল হোসেন বাদী হয়ে গতকাল বুধবার (১৬ মার্চ) মাঝরাতে লিমা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক সফিউল্লার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। পরে মামলায় আটক লিমাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, লিমা আশুগঞ্জের একটি চালকলে কাজ করেন। আর তার স্বামী কাজ করেন ইটভাটায়। চালকলে কাজ করার সুবাদে আরেক শ্রমিক সফিউল্লার সঙ্গে লিমার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তারা বিয়ে করারও সিদ্ধান্ত নেন।

তিনি জানান, পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে মিষ্টির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে দুই শিশু ইয়াছিন ও মোরসালিনকে খাইয়ে হত্যা করেন মা লিমা বেগম। মৃত্যুর ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য নাপা সিরাপের রিঅ্যাকশন হয়েছে বলে প্রচার করা হয়। কিন্তু লিমার আচরণে প্রথমেই পুলিশের সন্দেহ হয়। অধিকতর জিজ্ঞাসার পর তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় লিমার প্রেমিক সফিউল্লাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এর আগে নাপা সিরাপ খেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই সহোদর শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠার পর সারা দেশে একটি নির্দিষ্ট ব্যাচে প্রস্তুত ঔষধটির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় গবেষণাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

এছাড়া দুই ভাইয়ের মৃত্যুর খবর প্রকাশের পর জেলার সকল ঔষধের দোকানকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নাপা সিরাপ ও নাপা ড্রপ বিক্রি বন্ধ রাখার জন্য এক বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি।

বাংলাদেশের বড় ঔষধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি প্যারাসিটামলের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড নাপা। এই ব্র্যান্ডের সাসপেনশন বা সিরাপ শিশুদের জ্বর বা ব্যথায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জে নাপা সিরাপ খাওয়ার পর বমি হওয়া এবং পরে জেলা উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে মো. ইয়াছিন মিয়া (০৭) ও মো. মোরসালিন মিয়া (০৪) নামে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনার পর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটি।

সূত্রমতে, গত ১০ মার্চ বিকেলে আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ইটভাটা শ্রমিক মো. ইসমাইল হোসেন সুজন ও চাতাল শ্রমিক রীমা বেগমের দুই শিশু সন্তানের জ্বর হওয়ায় দুর্গাপুর বাজারের জনৈক মাইন উদ্দিনের ফার্মেসী থেকে নাপা সিরাপ কিনে খাওয়ানোর কিছুক্ষণের মধ্যে বমি করতে শুরু করে তারা। এরপর আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার এক ঘণ্টার ব্যবধানের দুই শিশুর মৃত্যু হয়।

নিহত দুই শিশুর মা ও স্বজনরা সে সময় অভিযোগ করেন, তারা গরিব ও দরিদ্র। তাই সিরাপ খেয়ে অসুস্থ হওয়া দুই শিশু নিয়ে হাসপাতালে গেলে যথাযথ চিকিৎসা করা হয়নি। সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও যথাযথ চিকিৎসা না দিয়ে এবং হাসপাতালে ভর্তি না করিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সঠিক চিকিৎসা পেলে শিশু দুটি মারা যেত না বলে দাবি করেন তারা।

এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার সার্বিক ও সুষ্ট তদন্তে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মহিউদ্দিনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করে চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসেন ও ফেনীর সিভিল সার্জন রফিক-উস সালেহীন।

তদন্ত কমিটি সরেজমিনে নিহত দুই শিশুর বাড়িতে এসে তাদের পিতা-মাতাসহ নিকটাত্মীয়দের মতামত নেন এবং আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করে বিভিন্ন বিষয় যাচাই-বাছাই ও সংশ্লিষ্টদের মতামত সংগ্রহ করেন। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয় দাখিল করেন।

বুধবার সিলগালা অবস্থায় তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কার্যালয়ের পরিচালক ডা. হাছান শাহরিয়ার কবির। তবে এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে অপরাগতা জানিয়ে তিনি বলেন, এটি (তদন্ত প্রতিবেদন) সিলগালা অবস্থায়ই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হবে।