হবিগঞ্জ ১২:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo লাইফ সাপোর্টে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন তালুকদার, দোয়া প্রার্থনা Logo চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের নতুন ১৬ সদস্যদের বরণ Logo কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউছের বিরুদ্ধে অপ্রচারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল Logo চুনারুঘাটে কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে যুবকের অর্থদণ্ড Logo চুনারুঘাটে ন্যাশনাল ট্রাভেলস্ ও আশরাফ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরসের উদ্যোগে পবিত্র হজ্ব সেমিনার Logo চুনারুঘাটে ৮ম শ্রেণির ছাত্রকে মারপিট করে বাইসাইকেল ছিনতাই করে একদল কিশোর গ্যাংক Logo সৃষ্টি নাকি ধ্বংস : শিক্ষাঙ্গন যাচ্ছে কোন পথে?  Logo হবিগঞ্জে ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি সারাদেশ ও হবিগঞ্জে খেলার মাঠ দখলমুক্ত-সুরক্ষার দাবি ক্রিকেটারদের Logo মাধবপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাশকতা মামলায় আসামী হলেন ৬ সাংবাদিক! Logo দৈনিক আমাদের দেশ পাঠক ফোরামের পক্ষে নির্বাসিত সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমান কে সংবর্ধনা
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বানিয়াচংয়ের ঐতিহাসিক রাজবাড়ী

বিশ্বের বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচং। এই গ্রামে দেখার কিছুর অভাব নেই। জমিতে কৃষকের লাঙ্গল নিয়ে খেলা, ধানের ক্ষেতের সবুজ রঙের ঘাস নিড়িয়ে দেয়া। এখানে রয়েছে বন জঙ্গল, খাল-বিল, পুকুর-জলাশয় আর প্রবাহমান নদী।

বইয়ের পাতায় কবিতা আর গল্পের মধ্যে ও মিশে যায় গভীর মুগ্ধতায়। শরতের মেঘমুক্ত আকাশে ভ্রমনপিপাসুদের ইচ্ছে করে দূরের সাদা পেজা তুলোর মতো মেঘদের সাথে উড়ে উড়ে চলে যাওয়া দিগন্ত ছাড়িয়ে। বাংলার মাঠ ঘাট যেন শুধু ডাক দিয়ে যায় ওদের সাথে সাথে দূর অজানায় চলে যাওয়ার।ইতিহাস ও ঐতিহ্যে বিদ্যমান বিশ্বের বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচং। তবে আসুন তাহলে সংক্ষেপে জেনে নেওয়া যাক বানিয়াচংয়ের ঐতিহাসিক রাজবাড়ি সম্পর্কে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বানিয়াচং রাজবাড়ি। আর এই সৌন্দর্য উপলব্ধি করার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঘুরতে চলে আসেন দর্শনার্থীরা।

রাজবাড়ীর মাঠের সবুজ ঘাসে হৃদয় ছুঁয়ে যায় ঘুরতে আসা ভ্রমণপিপাসুদের।বানিয়াচং রাজবাড়ি হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার বানিয়াচং গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক রাজবাড়ি।বানিয়াচং সদরের ১নং উত্তর-পূর্ব ইউনিয়নের বড়বাজার সংলগ্ন এই রাজবাড়ির অবস্হান।বানিয়াচং রাজবাড়ির স্বত্বাধিকারী হাবিব খা(গোবিন্দ সিংহ)। প্রাচীন এই রাজবাড়িটি জমিদার ঈসা খাঁর বাড়ির আদলে নির্মিত করা হয়েছিলো। তখনকার সময়ে বাড়ির চারদিকে ফুলের বাগান ও তিনটি প্রবেশদ্বার ছিলো।মহান মুক্তিযুদ্বের সময় ঐতিহাসিক এই রাজবাড়িটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিলো। বর্তমানে এই রাজবাড়িতে স্নানাগার দুটি মসজিদ ও একটি পুরাতন ভবনের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। গাড়ি পার্কিং করার জন্য রয়েছে সুবিশাল মাঠ।ছুটির দিনে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে সকল প্রকার পেশাজীবিরা ছুটে চলেন রাজবাড়ির এই সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে।ভ্রমণ স্মৃতি হিসেবে রেখে দিতে সুন্দর ভাবে করেন ফটোসেশান। প্রাচীন এই রাজবাড়িতে ঘুরতে আসা স্হানীয় তরুণী খাদিজা আক্তার জোনাকি জানান,প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ইতিহাসে সমৃদ্ধ আমাদের এই প্রিয় বানিয়াচং।

বানিয়াচংয়ের ঐতিহাসিক স্হাপনা ও নিদর্শনগুলো ভ্রমণ করলে জ্ঞান বিকশিত হয় এবং প্রিয় গ্রাম সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।আমি সুযোগ পেলেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে ঐতিহাসিক রাজবাড়িতে চলে আসি।বর্তমানে উক্ত ঐতিহাসিক রাজবাড়ির উত্তরসূরি হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন আহমদ জুলকার নাঈন।