হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাটিয়াজুরী ইউনিয়নে টিসিবির পন্য বিতরণে অনিয়ম ও পন্য বিক্রি না করে মজুদ করায় দুই ডিলারের মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ১৪০ লিটার তেল, ১৪০ কেজি ডাল ও ৩৫০ কেজি চাল।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রচেষ্ঠায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার, দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী ও পুলিশ তাদের প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করে। এঘটনায় মামলা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো ডিলার হবিগঞ্জ পৌর শহরের উমেদনগরের ব্যবসায়ী কাজল চন্দ্র দাস ও বগলা বাজারের ব্যবসায়ী জুয়েল খান।
স্থানীয়রা জানায়, রবিবার উপজেলার সাটিয়াজুরী ইউনিয়নে ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পন্য বিক্রি করা হচ্ছিল। বিকেল ৩টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পায়, টিসিবির পন্য বিক্রি না করে ইউপি অফিসের একটি রুমে অন্যত্র বিক্রির জন্য মজুদ করে রাখা হয়েছে।
তাৎক্ষনিক ছাত্ররা সাটিয়াজুরী ইউনিয়ন অফিসে গিয়ে টিসিবির পন্য বিক্রি না করে মজুদ করায় তারা ৭০ জনের পন্য ১৪০ লিটার তেল, ১৪০ কেজি ডাল ও ৩৫০ কেজি চাল আটক করে।
ছাত্রদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন
মো: তোফাজ্জল মিয়া, ফয়সল আহমেদ, সুজন তরফদার, মিনহাজ, কামাল, তারেক,সুহেল,হাবিবুর, সৌরভ।
এ খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার,দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও চুনারুঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যান এবং এসব মালামাল জব্দ করেন।
এসময় টিসিবির পন্য বিক্রিতে অনিয়ন ও পন্য মজুদ; রাখার দায়ের ডিলার কাজল দাস ও জুয়েল খানকে আটক করেন।
পরে এ ব্যাপারে প্যানেল মেম্বার আব্দুস সালাম বাদি হয়ে মামলা করলে ডিলারদের গ্রেফতার দেখানো হয়। এ ব্যাপারে সাটিয়াজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দালুর রহমান আব্দাল জানান, আমি আজ ইউনিয়ন অফিসে ছিলাম না।
টিসিবির পন্য বিক্রির তদারকির দায়িত্বে ছিলেন ইউপি প্যানেল মেম্বার আব্দুস সালাম। আমি তাকে লিখিত ভাবে দায়িত্ব অর্পন করে পারিবারিক কাজে বাহিরে ছিলাম। আমি জানতে পেরেছি টিসিবির পন্য বিক্রিতে অনিয়ম ও পন্য মজুদে জড়িত ছিল ডিলার দুজন।
পরে ছাত্র জনতা ও আমি এসে ডিলারদের আটক করে পুলিশ থানায় নিয়েছে। খবর পেয়ে হাজার জনতা ইউনিয়ন অফিস জড়ো হয়।