হবিগঞ্জ ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চুনারুঘাটে ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী পর্যটকের মৃত্যু Logo অসুস্থ সাবেক কৃতি ফুটবলার আকছিরের পাশে চুনারুঘাট উপজেলা ফুটবল একাডেমি  Logo আহম্মদাবাদ ইউনিয়নে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন Logo শহীদ মিনারে আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের শ্রদ্ধা নিবেদন Logo সীমান্তের ত্রাস গণধর্ষণ মামলার আসামী আবুল গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে  স্ত্রীর যৌতুক মামলায় বিয়ে পাগল স্বামী গ্রেপ্তার Logo নবাগত ইউএনওর সাথে চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের পরিচিত সভা ও মতবিনিময় Logo মাধবপুরে বিএনপির কর্মী সভা Logo ইউএনও’র পরিচিতি সভা বর্জন করলেন চুনারুঘাটে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ Logo শায়েস্তাগঞ্জে অর্থনৈতিক শুমারির কাজে জনপ্রতিনিধি ও আ’লীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মী!

চুনারুঘাটে ৩৯ বছরের বর্ণাঢ্য শিক্ষকতা পেশার অরবিন্দ দত্তের সমাপ্তি

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরবিন্দ দত্ত ৩৯ বছরের কর্মজীবনের শেষে সকলের শ্রদ্ধায় ও অশ্রুসিক্ত বিদায় নিয়েছেন।

অরবিন্দ দত্ত ১৯৯৬ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বিভিন্ন স্কুলে দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ ৩৯ বছর বিভিন্ন স্কুলে দায়িত্ব পালন শেষে অবশেষে নোয়াগাঁও স্কুল থেকে বর্ণাঢ্য শিক্ষকতা পেশার ইতি টানছেন তিনি।

এর আগে ১৯৯৬ সালে শিক্ষকতা জীবন শুরু করে ভোলারজুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে । পরে গোলগাঁও ও পরবর্তীতে নোয়াগাঁও। আজ ১৬ জুলাই চাকরি জীবনের শেষ দিনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ সকল পেশার লোকজনের ভালোবাসায় বিদায় জানিয়েছেন।

বিদায় উপলক্ষ্যে নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয় । মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্কুলের শিক্ষক মিহির চন্দ্র নন্দীর পরিচালনায় নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুনারুঘাট উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ খোরশেদ আলম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মো: আব্দুস সামাদ, বিদায়ী বক্তব্য রাখেন অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অরবিন্দ দত্ত, তার সহধর্মিণী শিক্ষিকা শান্তি রানী চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহ আব্দুর রাজ্জাক, ক্লাস্টার প্রধান কাচুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, জালাল উদ্দিন, ক্লাস্টার প্রধান ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ কামাল উদ্দিন,শাকির মোহাম্মদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী,বাছিরগঞ্জ স্কুলের প্রধান শিক্ষক সপ্রাবি জৌতিময় বিশ্বাস, নোয়াগাঁও স্কুলের শিক্ষিকা লিপি রানী দেব , শাহিদা আক্তার, শিক্ষিকা ডেইজি আক্তার, তৌফিকা বিলকিস, সুনদৌসী আক্তার, মৌসুমি ধর তৃপ্তি, সমকাল প্রতিনিধি সাংবাদিক নুর উদ্দিন সুমন, বিদায়ী শিক্ষকের পুত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অম্লান দত্ত ও মেয়ে জগন্নাত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভিাগের ছাত্রী স্পর্শা দত্ত, ছাত্রলীগ নেতা নুরুল ইসলাম সহ আরো অনেকেই।

বক্তারা স্মৃতিচারণ করে বলেন, একজন জ্ঞানের আলো দানকারীর বিদায় জানাতে হচ্ছে। তিনি বিভিন্ন বিদ্যালয়ে প্রায় দীর্ঘ ৩৯ বছর শিক্ষকতা করেছেন। তিনি ভুলারজুম স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরে দীর্ঘ ৮বছর নোয়াগাও স্কুলে শিক্ষকতা করেন।

সেই বিদ্যালয়ে আজকে এ মহান শিক্ষকের শেষ কর্মদিবসে বিদায় জানাতে গিয়ে কলিজা বির্দীন হয়ে যাচ্ছে,নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কে খুবই আকর্ষণীয় ও রঙ্গীন স্কুলে রুপান্তরিত করেছেন।

আমরা এ মহান শিক্ষকের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। পরে অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অরবিন্দ দত্তকে সহকারী শিক্ষকবৃন্দ, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা ফুলেল শুভেচ্ছা বিভিন্ন উপহার প্রদান করেন।

এসময় স্থানীয় এলাকাবাসী, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীসহ অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন উপহার তুলে দেন।

নুর উদ্দিন সুমন নামে সাবেক এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা যখন স্কুলে ছিলাম স্যার ছিলেন আমাদের নয়ন মনি। স্যারকে ভয় পেলেও আমাদের সবার প্রিয় ছিল। বিদায়ের কথা শুনে খারাপ লাগছে। স্যারের অবসর জীবন ভালো কাটুক।

বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক- কামাল উদ্দিন বলেন, অরবিন্দু স্যার শিক্ষকতা পেশায় ছিলেন অনন্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী। দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে তিনি কখনও অনিয়মের সঙ্গে আপস করেননি।

তিনি যেমন শিক্ষার্থীদের প্রিয় শিক্ষক ছিলেন, তেমনি শিক্ষকদের কাছেও ছিলেন প্রিয় সহকর্মী। তাই তার শিক্ষকতা জীবনের শেষ দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে আমাদের শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় বিদায় জানানো হয়।

এমন আয়োজনে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে শিক্ষক অরবিন্দ দত্ত বলেন, দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে যা করতে চেয়েছি তার সবটাই করেছি। কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকলেও সকলের সহযোগিতায় তা অতিক্রম করেছি।

বিদায়বেলায় এতো আয়োজন থাকবে ভাবিনি। যে সম্মান দেখিয়ে বিদায় দিয়েছে তা আজীবন মনে থাকবে। আমার জন্য এটি স্মরণীয় একটি দিন। সুস্থ জীবনযাপনে সকলের দোয়া কামনা করি।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, অরবিন্দ দত্ত কোন দিন স্কুল বন্দ দেননি , নিয়মিত স্কুলে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তার মতো শিক্ষককে সম্মানের সহিত বিদায় দিতে পেরে নিজেরও ভালো লাগছে।

তিনি একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার অবসর জীবনের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করি। বিদায়ী শিক্ষকের মেয়ে জগন্নাত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভিাগের ছাত্রী স্পর্শা দত্ত বলেন, বিদায় অনুষ্ঠানে বাবার প্রতি মানুষের ভালবাসা দেখে আমার বেশ আন্দ লাগছে।

বাবা আমারও শিক্ষক, সত্যি আমি গর্ব করে বলতে পারি আমি একজন আদর্শ শিক্ষকের সন্তান। পরে তিনি তার পিতার জন্য দোয়া চেয়েছেন। অরবিন্দ দত্তের স্ত্রীও একজন শিক্ষিকা। তাদের এক ছেলে এক মেয়ে। মেয়ে জগন্নাত বিশ্ব বিদ্যালয়ে আইন পেশায় পড়ছেন আর ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত। আগামী ১৭জুলাই উচ্চ শিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কথা রয়েছে।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

চুনারুঘাটে ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী পর্যটকের মৃত্যু

চুনারুঘাটে ৩৯ বছরের বর্ণাঢ্য শিক্ষকতা পেশার অরবিন্দ দত্তের সমাপ্তি

আপডেট সময় ১১:২৩:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরবিন্দ দত্ত ৩৯ বছরের কর্মজীবনের শেষে সকলের শ্রদ্ধায় ও অশ্রুসিক্ত বিদায় নিয়েছেন।

অরবিন্দ দত্ত ১৯৯৬ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বিভিন্ন স্কুলে দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ ৩৯ বছর বিভিন্ন স্কুলে দায়িত্ব পালন শেষে অবশেষে নোয়াগাঁও স্কুল থেকে বর্ণাঢ্য শিক্ষকতা পেশার ইতি টানছেন তিনি।

এর আগে ১৯৯৬ সালে শিক্ষকতা জীবন শুরু করে ভোলারজুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে । পরে গোলগাঁও ও পরবর্তীতে নোয়াগাঁও। আজ ১৬ জুলাই চাকরি জীবনের শেষ দিনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী সহ সকল পেশার লোকজনের ভালোবাসায় বিদায় জানিয়েছেন।

বিদায় উপলক্ষ্যে নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয় । মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্কুলের শিক্ষক মিহির চন্দ্র নন্দীর পরিচালনায় নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুনারুঘাট উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ খোরশেদ আলম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মো: আব্দুস সামাদ, বিদায়ী বক্তব্য রাখেন অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অরবিন্দ দত্ত, তার সহধর্মিণী শিক্ষিকা শান্তি রানী চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহ আব্দুর রাজ্জাক, ক্লাস্টার প্রধান কাচুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, জালাল উদ্দিন, ক্লাস্টার প্রধান ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ কামাল উদ্দিন,শাকির মোহাম্মদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী,বাছিরগঞ্জ স্কুলের প্রধান শিক্ষক সপ্রাবি জৌতিময় বিশ্বাস, নোয়াগাঁও স্কুলের শিক্ষিকা লিপি রানী দেব , শাহিদা আক্তার, শিক্ষিকা ডেইজি আক্তার, তৌফিকা বিলকিস, সুনদৌসী আক্তার, মৌসুমি ধর তৃপ্তি, সমকাল প্রতিনিধি সাংবাদিক নুর উদ্দিন সুমন, বিদায়ী শিক্ষকের পুত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অম্লান দত্ত ও মেয়ে জগন্নাত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভিাগের ছাত্রী স্পর্শা দত্ত, ছাত্রলীগ নেতা নুরুল ইসলাম সহ আরো অনেকেই।

বক্তারা স্মৃতিচারণ করে বলেন, একজন জ্ঞানের আলো দানকারীর বিদায় জানাতে হচ্ছে। তিনি বিভিন্ন বিদ্যালয়ে প্রায় দীর্ঘ ৩৯ বছর শিক্ষকতা করেছেন। তিনি ভুলারজুম স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরে দীর্ঘ ৮বছর নোয়াগাও স্কুলে শিক্ষকতা করেন।

সেই বিদ্যালয়ে আজকে এ মহান শিক্ষকের শেষ কর্মদিবসে বিদায় জানাতে গিয়ে কলিজা বির্দীন হয়ে যাচ্ছে,নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কে খুবই আকর্ষণীয় ও রঙ্গীন স্কুলে রুপান্তরিত করেছেন।

আমরা এ মহান শিক্ষকের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। পরে অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অরবিন্দ দত্তকে সহকারী শিক্ষকবৃন্দ, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা ফুলেল শুভেচ্ছা বিভিন্ন উপহার প্রদান করেন।

এসময় স্থানীয় এলাকাবাসী, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীসহ অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন উপহার তুলে দেন।

নুর উদ্দিন সুমন নামে সাবেক এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা যখন স্কুলে ছিলাম স্যার ছিলেন আমাদের নয়ন মনি। স্যারকে ভয় পেলেও আমাদের সবার প্রিয় ছিল। বিদায়ের কথা শুনে খারাপ লাগছে। স্যারের অবসর জীবন ভালো কাটুক।

বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক- কামাল উদ্দিন বলেন, অরবিন্দু স্যার শিক্ষকতা পেশায় ছিলেন অনন্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী। দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে তিনি কখনও অনিয়মের সঙ্গে আপস করেননি।

তিনি যেমন শিক্ষার্থীদের প্রিয় শিক্ষক ছিলেন, তেমনি শিক্ষকদের কাছেও ছিলেন প্রিয় সহকর্মী। তাই তার শিক্ষকতা জীবনের শেষ দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে আমাদের শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় বিদায় জানানো হয়।

এমন আয়োজনে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে শিক্ষক অরবিন্দ দত্ত বলেন, দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে যা করতে চেয়েছি তার সবটাই করেছি। কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকলেও সকলের সহযোগিতায় তা অতিক্রম করেছি।

বিদায়বেলায় এতো আয়োজন থাকবে ভাবিনি। যে সম্মান দেখিয়ে বিদায় দিয়েছে তা আজীবন মনে থাকবে। আমার জন্য এটি স্মরণীয় একটি দিন। সুস্থ জীবনযাপনে সকলের দোয়া কামনা করি।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, অরবিন্দ দত্ত কোন দিন স্কুল বন্দ দেননি , নিয়মিত স্কুলে দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তার মতো শিক্ষককে সম্মানের সহিত বিদায় দিতে পেরে নিজেরও ভালো লাগছে।

তিনি একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার অবসর জীবনের সুখ ও সমৃদ্ধি কামনা করি। বিদায়ী শিক্ষকের মেয়ে জগন্নাত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভিাগের ছাত্রী স্পর্শা দত্ত বলেন, বিদায় অনুষ্ঠানে বাবার প্রতি মানুষের ভালবাসা দেখে আমার বেশ আন্দ লাগছে।

বাবা আমারও শিক্ষক, সত্যি আমি গর্ব করে বলতে পারি আমি একজন আদর্শ শিক্ষকের সন্তান। পরে তিনি তার পিতার জন্য দোয়া চেয়েছেন। অরবিন্দ দত্তের স্ত্রীও একজন শিক্ষিকা। তাদের এক ছেলে এক মেয়ে। মেয়ে জগন্নাত বিশ্ব বিদ্যালয়ে আইন পেশায় পড়ছেন আর ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত। আগামী ১৭জুলাই উচ্চ শিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার কথা রয়েছে।