চুনারুঘাট উপজেলার প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা একাধিক লেক আর নানা পর্যটন স্পট এখন একেবারেই পর্যটকশূন্য। তবে ঈদের টানা ছুটিতে উপজেলার বিভিন্ন স্পটে অর্ধলক্ষাধিক পর্যটক ঘুরতে আসবেন বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
চুনারুঘাট উপজেলায় দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে- সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, উদ্যানের পাশেই সাতছড়ি ত্রিপুরা পল্লি। রেমা-কালেঙ্গা অভায়রণ্য, কালেঙ্গা বধ্যভূমি, পদ্ম বিল, দমদমিয়া লেক, রানীগাঁও গ্রীন ল্যান্ড পার্ক, পানছড়ি ইকো রিসোর্ট, চণ্ডীছড়া বাংলো, ২৪টি চা-বাগান, উঁচু-নিচু পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে সবুজের গালিচায় মোড়ানো চা-গাছ।
উঁচু-নিচু পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে সবুজের গালিচায় মোড়ানো চা-গাছ। দেশে এ মুহূর্তে প্রধান পর্যটন উপজেলাগুলোর একটি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা। ছোট-বড় মিলিয়ে এ জেলায় প্রায় ১০টি পর্যটন স্পট রয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ২১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী তাদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে বসবাস করছেন এখানে।
বেড়াতে আসা পর্যটকদের প্রথম পছন্দই হচ্ছে রেমা-কালেঙ্গা ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান।
ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত চুনারুঘাটের পর্যটন স্পটগুলো।
উঁচু নিচু পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে সবুজের গালিচায় মোড়ানো চা-গাছ। একই সঙ্গে পাহাড়ি ঝরনার কলতান। হবিগঞ্জের চুনারুঘাটজুড়েই রয়েছে প্রাকৃতিক নানা নৈসর্গিক সৌন্দর্য।
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ঈদের পরের তিন দিন পর্যটকদের ভিড় থাকে। পর্যটকদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়। আমরা পর্যটকদের সার্বিক নিারাপত্তাসহ সব ব্যবস্থা করে রেখেছি।
চুনারুঘাট থানার অফিসার ইচার্জ হিল্লোল রায় বলেন, ঈদের বন্ধে ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদ সামনে রেখে আমাদের থানা পুলিশ নিরাপত্তাবেষ্টনী ভালোভাবে তৈরি করা হয়েছে।একজন সাব-ইন্সপেক্টর আর চারজন কনস্টেবল দিয়ে টিম গঠন করা হয়েছে। এমনকি বিভিন্ন স্পটে গোয়েন্দা তথ্য বা অগ্রিম তথ্য জানার জন্য সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যও থাকবে।
চুনারুঘাট উজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়েশা আক্তার বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র মতে, ঈদের সময় প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই লক্ষ্যে চুনারুঘাটের পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা বিধান এবং তাদের ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করতে উপজেলা প্রশাসন পদক্ষেপ নিয়েছে।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, নির্বাচনের চার দিন পর চুনারুঘাটের ৪০ বছরের একটি পুরাতন খোয়াই নদীর কাজ শুরু করেছিলাম। এখন সেটির পূর্ণ রূপে ফিরেছে। প্রতিদিনই এখানে শত শত মানুষ ভিড় জমায়। আমি চুনারুঘাট-মাধবপুরকে পর্যটন নগরীতে গড়ে তুলতে চাই। সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। আমি আগামী পাঁচ বছরে চুনারুঘাটে পর্যটনের বিপ্লব ঘটাব।