হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ৫নং শানখলা ইউনিয়নের চলিতারআব্দা গ্রামের মাদরাসা শিক্ষক আবুল কালাম মোঃ হারুনের একটি গাভী চুরির সাথে জড়িত ইসমাইল মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
একই ঘটনায় দ্বিতীয় আসামী কথিত সাংবাদিক মোঃ মাহফুজকে খোঁজছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২৯ জানুয়ারী) ভোর রাতে উপজেলার বরমপুর গ্রাম থেকে গরু চুরির সাথে জড়িত থাকায় ইসমাইল মিয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
পলাতক আসামী মোঃ মাহফুজ নতুন ব্রীজ নামসর্বস্ব আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক এবং নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বেড়ান। তিনি হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের গত নির্বাচনে ৬ নং ওয়ার্ড শায়েস্তাগঞ্জ থেকে সদস্য পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে কোনো ভোটই পাননি।
এর আগে ২৩ জানুয়ারী সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে উপজেলার চলিতারআব্দা তানহা ব্রিক ফিল্ডের পাশের জমি থেকে গাড়ীটি চুরি হয়।
গরুর মালিক মাদরাসা শিক্ষক বিষয়টি বুঝতে পেরে তাৎক্ষণিক গ্রামে গ্রামে ঘুরে গরুটি খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন।
বিকেলে বড়কোটা বাজারে গেলে বড়কোট গ্রামের কাউছার মিয়া, দুলাল মিয়া, ইদ্রিছ আলীর বরাত দিয়ে গরুর মালিক জানান, বরমপুর গ্রামের ইসমাইল মিয়া ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নিশাপট গ্রামের মোঃ মাহফুজসহ অজ্ঞাত আরো ২-৩ জন মিলে গরুটি বড়কোটা বাজার হয়ে বালিয়ারীগামী রাস্তা দিয়ে নিয়ে যেতে দেখেছেন।
এরই সূত্রধরে রাতে ইসমাইল মিয়াকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এক পর্যায়ে আটক ইসমাইল মিয়া তার সহযোগী মোঃ মাহফুজসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২-৩ জনের নাম স্বীকার করেন এবং গরুটি মোঃ মাহফুজের নিয়ন্ত্রনে আছে বলে জানায়। পরে গরুর মালিক চুনারুঘাট থানা পুলিশ নিয়ে নবীগঞ্জ থেকে গরুটি উদ্ধার করেন।
চুনারুঘাট থানা পুলিশ আসামী ইসমাইল মিয়াকে আদালতে হাজির করলে আটক আসামী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধিতে অপর আসামীরাও জড়িত আছে বলে সে জানায়। আদালত জবানবন্ধি শেষে আসামী ইসমাইলকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন এবং আসামী মাহফুজ পলাতক বলে জানায় পুলিশ।
চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) হিল্লুল রায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটক আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্ধিতে গরু চুরির বিষয়টি স্বীকার করেছে এবং পলাতক আসামী মোঃ মাহফুজ সহ অন্য আসামীদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।