বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব অধ্যক্ষ স,উ,ম আব্দুস সামাদ বলেন- দেশের সংকট নিরসনে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শক্তিশালী ক্ষমতাবান স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন পরিচালনার দাবী জানান।
অন্যতায় দেশে স্বাধীনতা বিরোধীসহ দেশ-দ্রোহীরা মাথা ছাড়া দিয়ে উঠবে। বর্তমানে দেশের সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।
একদিকে সরকার দলীয়রা ক্ষমতার মসনদ দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য মরিয়া অপরদিকে বিএনপিসহ বিরোধী দল চাচ্ছে ক্ষমতার মসনদ তাদের দখলে নিতে। এমতাবস্থায় সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছে।
বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকার তাদের নির্বাচনী ওয়াদা অনেকটাই বঙ্গ করেছে। যেমন দ্রব্য-মূল্য ও বিদ্যুত এর মূল্য উর্ধ্বগতিরোধে সম্পূর্ণ ব্যার্থ।
তাই আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবহেলিত মানুষের মুক্তি ও শান্তিময় সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মুফতি মোস্তাক আহমদ ক্বাদেরী আল-ওয়াইসীকে মোমবাতি মার্কায় হবিগঞ্জ-৪ সংসদীয় আসন চুনারুঘাট-মাধবপুরবাসীকে ভোট দেওয়ার আহবান জানান।
তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনি মুসলমানদের উপর ইসরাইলী সন্ত্রাসী বর-বর হামলা রোধ করে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাস্ট্র কার্যকর করার জন্য জাতিসংঘসহ মুসলিম বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি গতকাল শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে পৌর শহরের উত্তর বাজারস্থ মুসলিম হলে অনুষ্ঠিত চুনারুঘাট উপজেলা ইসলামী ফ্রন্টের প্রতিনিধি সম্মেলন ও কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
উপজেলা ইসলামী ফ্রন্টের সভাপতি মাও. মোঃ ইয়াকুত মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম সুলতান খাঁনের পরিচালনায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সৈয়দ জুবায়ের কামাল পীর সাহেব খান্দোরা। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মুফতি মোস্তাক আহমদ ক্বাদেরী আল-ওয়াইসী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ইসলামী ফ্রন্টের যুগ্ন-মহসচিব মাওলানা আলী মোহাম্মদ চৌধুরী, যুগ্ন সাংগঠনিক সচিব অধ্যাপক মাওলানা শহিদুল ইসলাম, হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ সারোয়ার আলম, সহ-সভাপতি কাজ্বী মাওলানা আবুল খায়ের সানু, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি তাহের উদ্দিন সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় মজলিশে সুরার সদস্য মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম তরফদার, মুফতি মুসলিম খাঁন, আব্দুল ওয়াহেদ বাচ্চু, মাওলানা ফজলুল হক, কুতুব উদ্দীন আখনজী, মাওলানা ইরফান আলী, মাওলানা মোশাহীদুল ইসলাম, কাজী আব্দুল হাই, শফিকুল ইসলাম তালুকদার দুলাল, মাওলানা আজিজুর রহমান সোহাগ, মাওলানা ডা. বশির আনসারী, মাওলানা জিল্লুর রহমান, কাওসার আহমেদ রুবেল, মোঃ মোক্তার হোসেন, মাওলানা ফখরুদ্দীন, মাওলানা উমর ফারুক, হাজ্বী আব্দুল খালেক, ডা. আব্দুর রউফ, মাওলান আল-আমিন, হাফেজ জাহেদুল ইসলাম, আব্দুল জলিল উস্তার, মাওলানা আকছির মিয়া, এনাম চৌধুরী, ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ আলী, জেলা সভাপতি মোঃ আব্দুল কাদির, উপজেলা সভাপতি হাফেজ নোমান আহমেদ প্রমূখ।
পরে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের উপর ইসরাইলী সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এবং বর্তমান বাজারের দ্রব্য-মূল্য ও বিদ্যুত এর মূল্য উর্ধ্বগতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবীতে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।