হবিগঞ্জ ১২:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের দামী সেগুন গাছ চুরি Logo চুনারুঘাটে দোকানের কর্মচারীকে মারধর ও লুটপাট: মামলা Logo ইসলামী আন্দোলনের মিরাশী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড শাখার সম্মেলন ও ঈদ পুনর্মিলনী Logo যুবলীগ নেতা ভূমিখেকো নাসিরের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ Logo চুনারুঘাট উপজেলা ছাত্র জমিয়তের কর্মী সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন Logo ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ, ভিড় বাস-ট্রেন-লঞ্চে Logo শেকড় সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে ৩শ’ রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ বিতরণ Logo হবিগঞ্জে বিআরটিএ অভিযানে ৬ যানবাহন চালকে জরিমানা Logo ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মিরাশী ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে ঈদ পূণর্মিলনী Logo ঈদযাত্রায় মহাসড়কে পুলিশের টহল জোরদার, সিলেটবাসীর নির্বিঘ্ন ঘরে ফেরা

একটি ঘরের আকুতি বিধবা জবেদার

  • এরশাদ আলীঃ
  • আপডেট সময় ০৩:৫৬:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৯১ বার পড়া হয়েছে

বিশ বছর আগে বিধবা হয়ে যাওয়া জবেদা খাতুনের বয়স এখন ৫৮। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে নিভে যাচ্ছে তার চলাফেরার শক্তি।শরীরে বাসা বেঁধেছে নানা রোগ।বয়সের ভারে হাঁটাচলা তার পক্ষে কষ্টকর।বয়স্ক ভাতা কিংবা বিধবা ভাতা তার ভাগ্যে জুটেনি,জুটেনি আশ্রায়নেও ঠাঁই।

দুমুঠো অন্নের জন্য তাকিয়ে থাকতে হয় সমাজের মানবিক মানুষের দিকে। নেই মাথাগোঁজার ঠাঁইটুকুও।বৃদ্ধা জবেদা খাতুনের বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের হবিবপুর গ্রামে।

সেখানে তার ভিটেবাড়ি বলতে কিছুই নেই। বসবাস করছেন অন্যের জায়গায় তাও আবার, দুর্বিষহ অবস্থা। তবুও নিরুপায় হয়ে সেখাইনেই বাস করতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি।নিকটাত্মীয় বলতে একছেলে ও এক মেয়ে ছাড়া কেউই নেই তার।মেয়ে বিয়ে হয়ে স্বামীর ঘরে আর ছেলে করেন দিনমজুরের কাজ।এভাবেই কষ্টে দিন পার করছেন ভূমিহীন বৃদ্ধা জবেদা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হবিবপুর গ্রামে ১ সন্তান নিয়ে অন্যের আশ্রয়ে দেওয়া ছোট একটি মাটির ঘরে বাস করছেন তিনি। সেখানে এলোমেলো পুরনো কাপড়-চোপড়। এককোণে চুলা, আর চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাড়ি-পাতিল।

এসব নিয়েই তার সংসার। কষ্টের জীবনের কথা জানতে চাইলে অশ্রুভেজা চোখে জবেদা বলেন, ‘বাবারে খুব কষ্ট করি।অন্যের জায়গায় একট মাটির ঘরে থাকি, শীতের রাইত আইলে (রাতে) বাতাসে গাও (শরীর), আত (হাঁত) ও পাও ঠান্ডা ওইয়া যায়। থড়থড় কইর‌্যা কাঁপি।

অসুখ-বিসুখ লইয়া কষ্টে আছি। টেকার অভাবে ওষুধ (ঔষধ) ও কিনতে পারি না। হুনছি (শুনছি) সরকার নাকি আমার মত অসহায় মানুষ রে ঘর দেয়,একটা সরকারি ঘর যদি পাইতাম হেই ঘরে শান্তিতে থাকতে পারতাম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃদ্ধা জবেদা খাতুনের বিয়ে হয়েছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক গ্রামে।

২০ বছর আগে
স্বামী মারা যাওয়ার পর জাবেদা খাতুন চলে এসেছিলেন বাবার বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার হবিবপুর গ্রামে। সেখানে বোন জামাই এর আশ্রয়ে ছিলেন তিনি,বেশ কিছুদিন আগে সেই বোন জামাইটাও মারা যায়।

কিন্তু নানা কারণে এখন আর ঠাঁই হচ্ছে না সেখানে।বৃদ্ধা জবেদা খাতুনের ঘরের বিষয়ে জানতে চাইলে বহরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন জানান, ‘আসলে বিষয়টি আমার জানা নেই,আপনার কাছে গেছে নাকি।আমার কাছে কখনো কোনো আবেদনও করেননি।ভবিষ্যতে যদি কোনো সুযোগ আসে তখন তার জন্য কিছু করতে চেষ্টা করবো।

মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহ্সান জানান,’বিষয়টি আমার জানা নেই।।তিনি যদি আবেদন করেন তবে তার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবো এবং তাকে পূর্ণবাসনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগীতা করবো।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের দামী সেগুন গাছ চুরি

একটি ঘরের আকুতি বিধবা জবেদার

আপডেট সময় ০৩:৫৬:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩

বিশ বছর আগে বিধবা হয়ে যাওয়া জবেদা খাতুনের বয়স এখন ৫৮। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে নিভে যাচ্ছে তার চলাফেরার শক্তি।শরীরে বাসা বেঁধেছে নানা রোগ।বয়সের ভারে হাঁটাচলা তার পক্ষে কষ্টকর।বয়স্ক ভাতা কিংবা বিধবা ভাতা তার ভাগ্যে জুটেনি,জুটেনি আশ্রায়নেও ঠাঁই।

দুমুঠো অন্নের জন্য তাকিয়ে থাকতে হয় সমাজের মানবিক মানুষের দিকে। নেই মাথাগোঁজার ঠাঁইটুকুও।বৃদ্ধা জবেদা খাতুনের বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের হবিবপুর গ্রামে।

সেখানে তার ভিটেবাড়ি বলতে কিছুই নেই। বসবাস করছেন অন্যের জায়গায় তাও আবার, দুর্বিষহ অবস্থা। তবুও নিরুপায় হয়ে সেখাইনেই বাস করতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি।নিকটাত্মীয় বলতে একছেলে ও এক মেয়ে ছাড়া কেউই নেই তার।মেয়ে বিয়ে হয়ে স্বামীর ঘরে আর ছেলে করেন দিনমজুরের কাজ।এভাবেই কষ্টে দিন পার করছেন ভূমিহীন বৃদ্ধা জবেদা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হবিবপুর গ্রামে ১ সন্তান নিয়ে অন্যের আশ্রয়ে দেওয়া ছোট একটি মাটির ঘরে বাস করছেন তিনি। সেখানে এলোমেলো পুরনো কাপড়-চোপড়। এককোণে চুলা, আর চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাড়ি-পাতিল।

এসব নিয়েই তার সংসার। কষ্টের জীবনের কথা জানতে চাইলে অশ্রুভেজা চোখে জবেদা বলেন, ‘বাবারে খুব কষ্ট করি।অন্যের জায়গায় একট মাটির ঘরে থাকি, শীতের রাইত আইলে (রাতে) বাতাসে গাও (শরীর), আত (হাঁত) ও পাও ঠান্ডা ওইয়া যায়। থড়থড় কইর‌্যা কাঁপি।

অসুখ-বিসুখ লইয়া কষ্টে আছি। টেকার অভাবে ওষুধ (ঔষধ) ও কিনতে পারি না। হুনছি (শুনছি) সরকার নাকি আমার মত অসহায় মানুষ রে ঘর দেয়,একটা সরকারি ঘর যদি পাইতাম হেই ঘরে শান্তিতে থাকতে পারতাম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃদ্ধা জবেদা খাতুনের বিয়ে হয়েছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক গ্রামে।

২০ বছর আগে
স্বামী মারা যাওয়ার পর জাবেদা খাতুন চলে এসেছিলেন বাবার বাড়ি হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার হবিবপুর গ্রামে। সেখানে বোন জামাই এর আশ্রয়ে ছিলেন তিনি,বেশ কিছুদিন আগে সেই বোন জামাইটাও মারা যায়।

কিন্তু নানা কারণে এখন আর ঠাঁই হচ্ছে না সেখানে।বৃদ্ধা জবেদা খাতুনের ঘরের বিষয়ে জানতে চাইলে বহরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন জানান, ‘আসলে বিষয়টি আমার জানা নেই,আপনার কাছে গেছে নাকি।আমার কাছে কখনো কোনো আবেদনও করেননি।ভবিষ্যতে যদি কোনো সুযোগ আসে তখন তার জন্য কিছু করতে চেষ্টা করবো।

মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুর আহ্সান জানান,’বিষয়টি আমার জানা নেই।।তিনি যদি আবেদন করেন তবে তার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবো এবং তাকে পূর্ণবাসনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগীতা করবো।