হবিগঞ্জ ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০২৪, ৮ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সৎ প্রশাসকদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা কোথায়? Logo চুনারুঘাটে ৩৯ বছরের বর্ণাঢ্য শিক্ষকতা পেশার অরবিন্দ দত্তের সমাপ্তি Logo ব্যারিস্টার সুমন এমপিকে সংবর্ধনা দিল চুনারুঘাট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি Logo চুনারুঘাটে ১৭ কেজি গাঁজা সহ কারবারি গ্রেপ্তার Logo ৪র্থ বারের মতো জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন চুনারুঘাট থানার এসআই লিটন রায় Logo ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার পরিকল্পনাকারী সোহাগ গ্রেফতার Logo ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় হত্যা মামলার আসামি জালাল গ্রেপ্তার Logo ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যার পরিকল্পনার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন Logo চুনারুঘাটে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হলেন তৌফিক মিয়া তালুকদার Logo ব্যারিস্টার সুমনের হত্যার পরিকল্পনারকারীদের গ্রেফতারে দাবীতে চুনারুঘাটে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ 
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন, নতুন করে ঝামেলা

৩০ হাজার ড্রাইভিং আবেদনকারীর তথ্য নেই বিআরটি, ভোগান্তিতে চালকরা

  • ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট সময় ০১:০৫:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩
  • ১০৫ বার পড়া হয়েছে

৩০ হাজার ড্রাইভিং আবেদনকারীর তথ্য নেই বিআরটি।এতে গাড়িচালকদের নতুন লাইসেন্স পাওয়া এবং পুরনো লাইসেন্স নবায়ন করার ঝক্কি যেন শেষই হচ্ছে না।

আগের নির্ধারিত ফি দিয়ে করা ৩০ হাজার আবেদনকারীর প্রয়োজনীয় তথ্য তাদের কাছে নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

যাঁরা চালকের লাইসেন্স নবায়ন করতে দিয়েছেন তাঁরা বছর গড়িয়ে গেলেও লাইসেন্স পাচ্ছেন না। ৩০ হাজার আবেদনকারীর তথ্য নেই বিআরটিএতে বিআরটিএ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে লাইসেন্স দেওয়ার কাজ করে থাকে।

পুরনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জায়গায় নতুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দায়িত্ব নিয়েছে। কিন্তু আগের আবেদনগুলোর কোনো তথ্য তারা খুঁজে পাচ্ছে না। কারণ বিআরটিএর সংশ্লিষ্ট তথ্যভাণ্ডারে সেগুলো সংরক্ষণ করা হয়নি।

এখন এসব আবেদনকারীকে নতুন করে আবেদন করার জন্য বলছে বিআরটিএর সার্কেল অফিসগুলো। কিন্তু এরই মধ্যে লাইসেন্স ফি ৬০ শতাংশ বেড়েছে।

পুরনো আবেদনকারীরা নতুন হারে ফি দিতে রাজি হচ্ছেন না। বিআরটিএও আগের ফি নিতে পারছে না। ফলে তৈরি হয়েছে সংকট। গত ২৭ ডিসেম্বর সড়ক পরিবহন বিধিমালা-২০২২ জারি করার পর ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ বিআরটিএর বিভিন্ন সেবার খরচ বাড়ানো হয়েছে।

ফি বেড়েছে আগের চেয়ে প্রায় ৬০ শতাংশ। আবার সব ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স ফির সঙ্গে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। আগে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফি ছিল দুই হাজার ৫৪২ টাকা।

এখন করা হয়েছে চার হাজার ১৫২ টাকা। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফি আগে ছিল এক হাজার ৬৭৯ টাকা। এখন করা হয়েছে দুই হাজার ৪২৭ টাকা।

জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার কালের কণ্ঠকে বলেন, আগের ঠিকাদার ৩০ হাজার গ্রাহকের তথ্য সিস্টেমে সংরক্ষণ করেনি।

ফলে সমস্যা হয়েছে। এখন আবেদনকারীরা সার্কেল অফিসে এলেই সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নতুন আবেদনের মাধ্যমে হালনাগাদ করা তথ্য সিস্টেমে রাখা হচ্ছে।

কিন্তু এই প্রক্রিয়ার মধ্যে যেহেতু লাইসেন্সের ফি বেড়েছে, তাই বর্ধিত টাকা নিয়ে আবেদন ফি সমন্বয় করতে হচ্ছে। কিন্তু বর্ধিত ফি নিয়ে পুরনো আবেদনকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি আছে।

তাঁদের দাবি, তাঁরা যখন আবেদন করেছেন তখন তো নতুন ফি নির্ধারণ করা হয়নি। তাহলে সেটা কেন তাঁদের ওপর বর্তাবে।

বিআরটিএ নতুন করে তাঁদের কাছ থেকে তথ্য নিতে পারে, কিন্তু ফি নয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিআরটিএর উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা  বলেন, নৈতিকভাবে এই আবেদনকারীদের কাছ থেকে বর্ধিত ফি আদায়ের সুযোগ আসলে নেই।

কারণ ফি বাড়ার আগেই তাঁরা আবেদন করেছিলেন। তিনি স্বীকার করেন, এখন পুরনো আবেদনকারীদের মধ্যে যাঁদের কাছ থেকে নতুন ফি নেওয়া যাচ্ছে তাঁদের টাকাটা নেওয়া হচ্ছে।

যাঁদের কাছ থেকে নতুন ফি আদায় করা যাচ্ছে না, তাঁদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে। ২০১৮ সালের আগস্টে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে ছিলেন মো. ফারুখ হোসেন।

পাঁচ বছরেও তিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পাননি। ব্যাবহারিক পরীক্ষার ফলও তাঁকে জানানো হয়নি। ফারুখ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পরীক্ষা দেওয়ার পর আমার কী করতে হবে আমি সেটাই জানি না।

বিআরটিএ থেকে আমায় কোনো মেসেজ দেওয়া হয়নি। আমি পরীক্ষায় পাস করলাম কি না, সেটাও জানা নেই।’ আবার লাইসেন্স নবায়ন করতে গিয়ে ভুগছেন পিয়াস মাহমুদ। গত বছরের ৩ জুলাই নবায়নের ফি জমা দেন তিনি।

আর ১০ ডিসেম্বর লাইসেন্স নবায়নের জন্য আঙুলের ছাপ দেন। চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল লাইসেন্স হাতে পাওয়ার কথা ছিল। ওয়েবসাইটে অবস্থান জানতে গেলে তিনি দেখেন, সেখানে প্রক্রিয়াধীন লেখা। পিয়াস মাহমুদ কালের কণ্ঠকে জানান, এক বছর এক মাসে লাইসেন্স বুঝে পাওয়া যাচ্ছে না।

ওয়েবসাইটে গেলেও ই-লাইসেন্স পুরোপুরি দেখা যাচ্ছে না। সেটা ডাউনলোডেরও সুযোগ নেই। যাঁদের সাইসেন্স তৈরি হয়ে গেছে কিন্তু ছাপানো হয়নি, তাঁরা ই-লাইসেন্স ব্যবহার করতে পারবেন উল্লেখ করে বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, লাইসেন্স ছাপাতে কার্ডের কোনো সংকট নেই।

তবুও আবেদনকারীর কার্ডের অবস্থান বোঝার জন্য বিআরটিএর ওয়েবসাইটে একটি লিংক তৈরি করা হয়েছে। সেখানে পূর্ণাঙ্গ তথ্য না থাকলে আবেদন করা সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সময় সমন্বয়হীনতা, কার্ড সংকট ও নতুন আবেদনকারীদের প্রাধান্য দিতে গিয়ে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ লাইসেন্স আটকা পড়ে ছিল।

পরে জট নিরসনে নিয়মিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বাইরে সেনাবাহিনী পরিচালিত রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

তাতে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কিন্তু তথ্য পুরণের জটিলতায় আটকে পড়া লাইসেন্সের গতি হচ্ছে না। বর্তমানে বিআরটিএর লাইসেন্স তৈরির দায়িত্বে আছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স।

প্রতিষ্ঠানটি নিজেরাই কার্ড ছাপানোর কাজ করে। ২০২১ সালের মে থেকে মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স লাইসেন্স ছাপানোর কাজ শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ২০২০ সালের ২৯ জুলাই চুক্তি করে বিআরটিএ।

চুক্তি অনুযায়ী, পাঁচ বছরে ৪০ লাখ লাইসেন্স কার্ড দেওয়ার কথা। জানতে চাইলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, পুরাতন আবেদনকারীদের কাছ থেকে বর্ধিত ফি নেওয়া অনৈতিক।

তাঁরা আগের ফিতেই আবেদন করেছেন। তাঁদের তথ্য না থাকা বা হারিয়ে ফেলা, সময়মতো লাইসেন্স দিতে না পারা তো বিআরটিএর ব্যর্থতা।এই দায় আবেদনকারী কেন নেবেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সৎ প্রশাসকদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা কোথায়?

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন, নতুন করে ঝামেলা

৩০ হাজার ড্রাইভিং আবেদনকারীর তথ্য নেই বিআরটি, ভোগান্তিতে চালকরা

আপডেট সময় ০১:০৫:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অগাস্ট ২০২৩

৩০ হাজার ড্রাইভিং আবেদনকারীর তথ্য নেই বিআরটি।এতে গাড়িচালকদের নতুন লাইসেন্স পাওয়া এবং পুরনো লাইসেন্স নবায়ন করার ঝক্কি যেন শেষই হচ্ছে না।

আগের নির্ধারিত ফি দিয়ে করা ৩০ হাজার আবেদনকারীর প্রয়োজনীয় তথ্য তাদের কাছে নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

যাঁরা চালকের লাইসেন্স নবায়ন করতে দিয়েছেন তাঁরা বছর গড়িয়ে গেলেও লাইসেন্স পাচ্ছেন না। ৩০ হাজার আবেদনকারীর তথ্য নেই বিআরটিএতে বিআরটিএ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে লাইসেন্স দেওয়ার কাজ করে থাকে।

পুরনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জায়গায় নতুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দায়িত্ব নিয়েছে। কিন্তু আগের আবেদনগুলোর কোনো তথ্য তারা খুঁজে পাচ্ছে না। কারণ বিআরটিএর সংশ্লিষ্ট তথ্যভাণ্ডারে সেগুলো সংরক্ষণ করা হয়নি।

এখন এসব আবেদনকারীকে নতুন করে আবেদন করার জন্য বলছে বিআরটিএর সার্কেল অফিসগুলো। কিন্তু এরই মধ্যে লাইসেন্স ফি ৬০ শতাংশ বেড়েছে।

পুরনো আবেদনকারীরা নতুন হারে ফি দিতে রাজি হচ্ছেন না। বিআরটিএও আগের ফি নিতে পারছে না। ফলে তৈরি হয়েছে সংকট। গত ২৭ ডিসেম্বর সড়ক পরিবহন বিধিমালা-২০২২ জারি করার পর ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ বিআরটিএর বিভিন্ন সেবার খরচ বাড়ানো হয়েছে।

ফি বেড়েছে আগের চেয়ে প্রায় ৬০ শতাংশ। আবার সব ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স ফির সঙ্গে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। আগে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফি ছিল দুই হাজার ৫৪২ টাকা।

এখন করা হয়েছে চার হাজার ১৫২ টাকা। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফি আগে ছিল এক হাজার ৬৭৯ টাকা। এখন করা হয়েছে দুই হাজার ৪২৭ টাকা।

জানতে চাইলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার কালের কণ্ঠকে বলেন, আগের ঠিকাদার ৩০ হাজার গ্রাহকের তথ্য সিস্টেমে সংরক্ষণ করেনি।

ফলে সমস্যা হয়েছে। এখন আবেদনকারীরা সার্কেল অফিসে এলেই সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। নতুন আবেদনের মাধ্যমে হালনাগাদ করা তথ্য সিস্টেমে রাখা হচ্ছে।

কিন্তু এই প্রক্রিয়ার মধ্যে যেহেতু লাইসেন্সের ফি বেড়েছে, তাই বর্ধিত টাকা নিয়ে আবেদন ফি সমন্বয় করতে হচ্ছে। কিন্তু বর্ধিত ফি নিয়ে পুরনো আবেদনকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি আছে।

তাঁদের দাবি, তাঁরা যখন আবেদন করেছেন তখন তো নতুন ফি নির্ধারণ করা হয়নি। তাহলে সেটা কেন তাঁদের ওপর বর্তাবে।

বিআরটিএ নতুন করে তাঁদের কাছ থেকে তথ্য নিতে পারে, কিন্তু ফি নয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিআরটিএর উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা  বলেন, নৈতিকভাবে এই আবেদনকারীদের কাছ থেকে বর্ধিত ফি আদায়ের সুযোগ আসলে নেই।

কারণ ফি বাড়ার আগেই তাঁরা আবেদন করেছিলেন। তিনি স্বীকার করেন, এখন পুরনো আবেদনকারীদের মধ্যে যাঁদের কাছ থেকে নতুন ফি নেওয়া যাচ্ছে তাঁদের টাকাটা নেওয়া হচ্ছে।

যাঁদের কাছ থেকে নতুন ফি আদায় করা যাচ্ছে না, তাঁদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে। ২০১৮ সালের আগস্টে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে ছিলেন মো. ফারুখ হোসেন।

পাঁচ বছরেও তিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পাননি। ব্যাবহারিক পরীক্ষার ফলও তাঁকে জানানো হয়নি। ফারুখ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পরীক্ষা দেওয়ার পর আমার কী করতে হবে আমি সেটাই জানি না।

বিআরটিএ থেকে আমায় কোনো মেসেজ দেওয়া হয়নি। আমি পরীক্ষায় পাস করলাম কি না, সেটাও জানা নেই।’ আবার লাইসেন্স নবায়ন করতে গিয়ে ভুগছেন পিয়াস মাহমুদ। গত বছরের ৩ জুলাই নবায়নের ফি জমা দেন তিনি।

আর ১০ ডিসেম্বর লাইসেন্স নবায়নের জন্য আঙুলের ছাপ দেন। চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল লাইসেন্স হাতে পাওয়ার কথা ছিল। ওয়েবসাইটে অবস্থান জানতে গেলে তিনি দেখেন, সেখানে প্রক্রিয়াধীন লেখা। পিয়াস মাহমুদ কালের কণ্ঠকে জানান, এক বছর এক মাসে লাইসেন্স বুঝে পাওয়া যাচ্ছে না।

ওয়েবসাইটে গেলেও ই-লাইসেন্স পুরোপুরি দেখা যাচ্ছে না। সেটা ডাউনলোডেরও সুযোগ নেই। যাঁদের সাইসেন্স তৈরি হয়ে গেছে কিন্তু ছাপানো হয়নি, তাঁরা ই-লাইসেন্স ব্যবহার করতে পারবেন উল্লেখ করে বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, লাইসেন্স ছাপাতে কার্ডের কোনো সংকট নেই।

তবুও আবেদনকারীর কার্ডের অবস্থান বোঝার জন্য বিআরটিএর ওয়েবসাইটে একটি লিংক তৈরি করা হয়েছে। সেখানে পূর্ণাঙ্গ তথ্য না থাকলে আবেদন করা সংশ্লিষ্ট সার্কেল অফিসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সময় সমন্বয়হীনতা, কার্ড সংকট ও নতুন আবেদনকারীদের প্রাধান্য দিতে গিয়ে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ লাইসেন্স আটকা পড়ে ছিল।

পরে জট নিরসনে নিয়মিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বাইরে সেনাবাহিনী পরিচালিত রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

তাতে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কিন্তু তথ্য পুরণের জটিলতায় আটকে পড়া লাইসেন্সের গতি হচ্ছে না। বর্তমানে বিআরটিএর লাইসেন্স তৈরির দায়িত্বে আছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স।

প্রতিষ্ঠানটি নিজেরাই কার্ড ছাপানোর কাজ করে। ২০২১ সালের মে থেকে মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স লাইসেন্স ছাপানোর কাজ শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ২০২০ সালের ২৯ জুলাই চুক্তি করে বিআরটিএ।

চুক্তি অনুযায়ী, পাঁচ বছরে ৪০ লাখ লাইসেন্স কার্ড দেওয়ার কথা। জানতে চাইলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, পুরাতন আবেদনকারীদের কাছ থেকে বর্ধিত ফি নেওয়া অনৈতিক।

তাঁরা আগের ফিতেই আবেদন করেছেন। তাঁদের তথ্য না থাকা বা হারিয়ে ফেলা, সময়মতো লাইসেন্স দিতে না পারা তো বিআরটিএর ব্যর্থতা।এই দায় আবেদনকারী কেন নেবেন।