হবিগঞ্জ ১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মাধবপুরে মাজার ওরসের জেরে সংঘর্ষ, আহত ৪ Logo চুনারুঘাটে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা নব অভিযাত্রা উপলক্ষে পাঠক ফোরামের আলোচনা সভা Logo চুনারুঘাটে ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী পর্যটকের মৃত্যু Logo অসুস্থ সাবেক কৃতি ফুটবলার আকছিরের পাশে চুনারুঘাট উপজেলা ফুটবল একাডেমি  Logo আহম্মদাবাদ ইউনিয়নে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন Logo শহীদ মিনারে আহম্মদাবাদ ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের শ্রদ্ধা নিবেদন Logo সীমান্তের ত্রাস গণধর্ষণ মামলার আসামী আবুল গ্রেপ্তার Logo চুনারুঘাটে  স্ত্রীর যৌতুক মামলায় বিয়ে পাগল স্বামী গ্রেপ্তার Logo নবাগত ইউএনওর সাথে চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের পরিচিত সভা ও মতবিনিময় Logo মাধবপুরে বিএনপির কর্মী সভা
এলাকায় চরম উত্তেজনা

নবীগঞ্জে সরকারী খাল বিক্রি করায় গ্রামবাসী চরম বিপাকে !

নবীগঞ্জের সরকারের মরা কুশিয়ারা খাল পাশ্ববর্তী দত্তগ্রামের কতিপয় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে বিক্রি করায় ওই এলাকার লোকজনের দৈন্যদিন কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন অসহায় দারিদ্র এই জনগোষ্টি। এ নিয়ে এলাকায় গ্রামবাসী ও খাল ইজারাদারদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংখ্যা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, কমলাপুর গ্রামের মাঝ খানে অবস্থিত সরকারী মরা কুশিয়ারা খাল। ওই খালে জমাট পানিতে দারিদ্র জনগোষ্টি কমলাপুর গ্রামের নারী-পুরুষসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ গোসল, কাপড় ধুয়াসহ দৈন্যদিন কাজকর্ম চালিয়ে আসছেন যুগযুগ ধরে। সম্প্রতি ৮নং সদর ইউনিয়নের দত্তগ্রামের প্রভাবশালী রুহুল আমীনগংরা সরকারের কাছ থেকে কোন প্রকার ইজারা না নিয়েই অবৈধ ভাবে গায়ের জোরে একই গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে আলী হোসেন, জয়চান নমসুত্রের ছেলে শ্রীকৃষ্ণ সরকার, এশাদ উল্লার ছেলে হেকিম মিয়া, ছিন্ন মনি সরকারের ছেলে সতিষ সরকার, রূপাই সরকার ও সুনীল সরকারগংরা জোর পুর্বক উক্ত খালে দলকাটা লাগিয়ে মাছ আহরণের অপচেষ্টা করছে এবং কমলাপুর গ্রামবাসীকে খালে দৈন্যদিনের কাজকর্ম করতে বাধা নিষেধ প্রদান করেন। এ নিয়ে গ্রামবাসী ও অবৈধ ইজারাদারদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে শনিবার (২৬ নভেম্বর) কমলাপুর গ্রামবাসী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নিকট বিচার দেয়ার অপরাধে প্রভাবশালী রুহুল আমীন শহরের থানা পয়েন্টে গ্রামবাসীকে আটক করে অকথ্য ভাষা গালমন্দ করে। এছাড়া উক্ত খাল নিয়ে কোথায়ও অভিযোগ করলে গ্রামবাসীকে প্রাণে হত্যার হুমকী দেয়। এ ব্যাপারে সৈয়দ জাহির আলী গ্রামবাসীর পক্ষে নবীগঞ্জ থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন। এ ব্যাপারে সরজমিনে গেলে গ্রামের মহিলা ছুটে এসে তাদের দৈন্যদিনের কষ্টের কথা গুলো বলে হতাশা প্রকাশ করেন।
ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চারিপাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

মাধবপুরে মাজার ওরসের জেরে সংঘর্ষ, আহত ৪

এলাকায় চরম উত্তেজনা

নবীগঞ্জে সরকারী খাল বিক্রি করায় গ্রামবাসী চরম বিপাকে !

আপডেট সময় ১১:৪০:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২২
নবীগঞ্জের সরকারের মরা কুশিয়ারা খাল পাশ্ববর্তী দত্তগ্রামের কতিপয় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে বিক্রি করায় ওই এলাকার লোকজনের দৈন্যদিন কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন অসহায় দারিদ্র এই জনগোষ্টি। এ নিয়ে এলাকায় গ্রামবাসী ও খাল ইজারাদারদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংখ্যা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, কমলাপুর গ্রামের মাঝ খানে অবস্থিত সরকারী মরা কুশিয়ারা খাল। ওই খালে জমাট পানিতে দারিদ্র জনগোষ্টি কমলাপুর গ্রামের নারী-পুরুষসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ গোসল, কাপড় ধুয়াসহ দৈন্যদিন কাজকর্ম চালিয়ে আসছেন যুগযুগ ধরে। সম্প্রতি ৮নং সদর ইউনিয়নের দত্তগ্রামের প্রভাবশালী রুহুল আমীনগংরা সরকারের কাছ থেকে কোন প্রকার ইজারা না নিয়েই অবৈধ ভাবে গায়ের জোরে একই গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে আলী হোসেন, জয়চান নমসুত্রের ছেলে শ্রীকৃষ্ণ সরকার, এশাদ উল্লার ছেলে হেকিম মিয়া, ছিন্ন মনি সরকারের ছেলে সতিষ সরকার, রূপাই সরকার ও সুনীল সরকারগংরা জোর পুর্বক উক্ত খালে দলকাটা লাগিয়ে মাছ আহরণের অপচেষ্টা করছে এবং কমলাপুর গ্রামবাসীকে খালে দৈন্যদিনের কাজকর্ম করতে বাধা নিষেধ প্রদান করেন। এ নিয়ে গ্রামবাসী ও অবৈধ ইজারাদারদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে শনিবার (২৬ নভেম্বর) কমলাপুর গ্রামবাসী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নিকট বিচার দেয়ার অপরাধে প্রভাবশালী রুহুল আমীন শহরের থানা পয়েন্টে গ্রামবাসীকে আটক করে অকথ্য ভাষা গালমন্দ করে। এছাড়া উক্ত খাল নিয়ে কোথায়ও অভিযোগ করলে গ্রামবাসীকে প্রাণে হত্যার হুমকী দেয়। এ ব্যাপারে সৈয়দ জাহির আলী গ্রামবাসীর পক্ষে নবীগঞ্জ থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন। এ ব্যাপারে সরজমিনে গেলে গ্রামের মহিলা ছুটে এসে তাদের দৈন্যদিনের কষ্টের কথা গুলো বলে হতাশা প্রকাশ করেন।