নবীগঞ্জের সরকারের মরা কুশিয়ারা খাল পাশ্ববর্তী দত্তগ্রামের কতিপয় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে বিক্রি করায় ওই এলাকার লোকজনের দৈন্যদিন কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন অসহায় দারিদ্র এই জনগোষ্টি। এ নিয়ে এলাকায় গ্রামবাসী ও খাল ইজারাদারদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংখ্যা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, কমলাপুর গ্রামের মাঝ খানে অবস্থিত সরকারী মরা কুশিয়ারা খাল। ওই খালে জমাট পানিতে দারিদ্র জনগোষ্টি কমলাপুর গ্রামের নারী-পুরুষসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ গোসল, কাপড় ধুয়াসহ দৈন্যদিন কাজকর্ম চালিয়ে আসছেন যুগযুগ ধরে। সম্প্রতি ৮নং সদর ইউনিয়নের দত্তগ্রামের প্রভাবশালী রুহুল আমীনগংরা সরকারের কাছ থেকে কোন প্রকার ইজারা না নিয়েই অবৈধ ভাবে গায়ের জোরে একই গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে আলী হোসেন, জয়চান নমসুত্রের ছেলে শ্রীকৃষ্ণ সরকার, এশাদ উল্লার ছেলে হেকিম মিয়া, ছিন্ন মনি সরকারের ছেলে সতিষ সরকার, রূপাই সরকার ও সুনীল সরকারগংরা জোর পুর্বক উক্ত খালে দলকাটা লাগিয়ে মাছ আহরণের অপচেষ্টা করছে এবং কমলাপুর গ্রামবাসীকে খালে দৈন্যদিনের কাজকর্ম করতে বাধা নিষেধ প্রদান করেন। এ নিয়ে গ্রামবাসী ও অবৈধ ইজারাদারদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে শনিবার (২৬ নভেম্বর) কমলাপুর গ্রামবাসী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নিকট বিচার দেয়ার অপরাধে প্রভাবশালী রুহুল আমীন শহরের থানা পয়েন্টে গ্রামবাসীকে আটক করে অকথ্য ভাষা গালমন্দ করে। এছাড়া উক্ত খাল নিয়ে কোথায়ও অভিযোগ করলে গ্রামবাসীকে প্রাণে হত্যার হুমকী দেয়। এ ব্যাপারে সৈয়দ জাহির আলী গ্রামবাসীর পক্ষে নবীগঞ্জ থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন। এ ব্যাপারে সরজমিনে গেলে গ্রামের মহিলা ছুটে এসে তাদের দৈন্যদিনের কষ্টের কথা গুলো বলে হতাশা প্রকাশ করেন।