হবিগঞ্জ ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চুনারুঘাট উপজেলা ছাত্র জমিয়তের কর্মী সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন Logo ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ, ভিড় বাস-ট্রেন-লঞ্চে Logo শেকড় সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে ৩শ’ রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ঔষধ বিতরণ Logo হবিগঞ্জে বিআরটিএ অভিযানে ৬ যানবাহন চালকে জরিমানা Logo ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ মিরাশী ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে ঈদ পূণর্মিলনী Logo ঈদযাত্রায় মহাসড়কে পুলিশের টহল জোরদার, সিলেটবাসীর নির্বিঘ্ন ঘরে ফেরা Logo ঈদে অর্ধশতাধিক এতিমদের মুখে হাসি ফোটালেন ছাত্রদল নেতা আল সাইমুম আহাদ Logo চুনারুঘাটে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালন Logo মাধবপুরে ‎হাত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে Logo মাধবপুরে বেড়েছে, মাদক ও ছিনতাইয়ের সন্ত্রাসে জনজীবন অতিষ্ঠ
নবীগঞ্জে জুয়া খেলার টাকার জন্য

ঘুমন্ত স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করল স্বামী, আদালতে স্বীকারোক্তি

নবীগঞ্জে তহুরা বেগম নামে এক নারীকে গলা কেটে হত্যা করেছে তারই স্বামী। এ হত্যার ঘটনায় দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন স্বামী জারু মিয়া। জুয়া খেলার জন্য টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে হত্যা করেন তিনি জানান। আজ শনিবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাকির হোসেনের আদালতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন জারু মিয়া। সে নবীগঞ্জ পৌর এলাকার চরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকালে পৌর এলাকার চরগাঁও গ্রামে স্বামীর বসতঘর থেকে তহুরা বেগমের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় স্বামীকে। পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী হত্যার দায় স্বীকার করেন। এ ঘটনায় জারু মিয়াকে আসামি করে তহুরা বেগমের আগের স্বামী জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে আল-আমিন বাদী মামলা করেন।

আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, তহুরা প্রায় তিন যুগ আগে প্রথমে জাহাঙ্গীর মিয়ার সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। কয়েক বছর পর বিচ্ছেদ হয়। পরে জারু মিয়াকে বিয়ে করেন। এরপর তাদের পরিবারে মঞ্জিল মিয়া ও রমজান আলী নামে দুই সন্তান জন্মগ্রহণ করে। জারু মিয়াও এর আগে দুই বিয়ে করেছেন বলে জানা যায়।

তিনি নিয়মিত জুয়া খেলতেন। প্রায় সময় জুয়ার টাকার জন্য তহুরাকে মারধর করতেন। এই ঘটনায় পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। জুয়ার টাকা জোগাড় করতে না পেরে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতের কোনও একসময় হাঁটু দিয়া স্ত্রীর মুখ চেপে ধরে ঘরে থাকা বাঁশ কাটার ধারালো দা দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় গলা কেটে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করে।

এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ বলেন, স্বামী জারু মিয়া প্রথমে ঘটনাটি ভিন্নখাতে নিতে কে বা কারা তার স্ত্রীকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেন। ভিন্ন ভিন্ন সময় তার কথার পরিবর্তন হলে সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় পুলিশ । ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেন জারু মিয়া। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

খন্দকার আলাউদ্দিন

হ্যালো, আমি খন্দকার আলাউদ্দিন, আপনাদের চার পাশের সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করুন।
জনপ্রিয় সংবাদ

চুনারুঘাট উপজেলা ছাত্র জমিয়তের কর্মী সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন

নবীগঞ্জে জুয়া খেলার টাকার জন্য

ঘুমন্ত স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করল স্বামী, আদালতে স্বীকারোক্তি

আপডেট সময় ০১:৩০:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২

নবীগঞ্জে তহুরা বেগম নামে এক নারীকে গলা কেটে হত্যা করেছে তারই স্বামী। এ হত্যার ঘটনায় দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন স্বামী জারু মিয়া। জুয়া খেলার জন্য টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে হত্যা করেন তিনি জানান। আজ শনিবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাকির হোসেনের আদালতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন জারু মিয়া। সে নবীগঞ্জ পৌর এলাকার চরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকালে পৌর এলাকার চরগাঁও গ্রামে স্বামীর বসতঘর থেকে তহুরা বেগমের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় স্বামীকে। পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী হত্যার দায় স্বীকার করেন। এ ঘটনায় জারু মিয়াকে আসামি করে তহুরা বেগমের আগের স্বামী জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে আল-আমিন বাদী মামলা করেন।

আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, তহুরা প্রায় তিন যুগ আগে প্রথমে জাহাঙ্গীর মিয়ার সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। কয়েক বছর পর বিচ্ছেদ হয়। পরে জারু মিয়াকে বিয়ে করেন। এরপর তাদের পরিবারে মঞ্জিল মিয়া ও রমজান আলী নামে দুই সন্তান জন্মগ্রহণ করে। জারু মিয়াও এর আগে দুই বিয়ে করেছেন বলে জানা যায়।

তিনি নিয়মিত জুয়া খেলতেন। প্রায় সময় জুয়ার টাকার জন্য তহুরাকে মারধর করতেন। এই ঘটনায় পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। জুয়ার টাকা জোগাড় করতে না পেরে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতের কোনও একসময় হাঁটু দিয়া স্ত্রীর মুখ চেপে ধরে ঘরে থাকা বাঁশ কাটার ধারালো দা দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় গলা কেটে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করে।

এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ ডালিম আহমেদ বলেন, স্বামী জারু মিয়া প্রথমে ঘটনাটি ভিন্নখাতে নিতে কে বা কারা তার স্ত্রীকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেন। ভিন্ন ভিন্ন সময় তার কথার পরিবর্তন হলে সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় পুলিশ । ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেন জারু মিয়া। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।