মাধবপুর উপজেলার ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া রেলস্টেশনটি চালু হওয়ার ১১৭ বছর পরও যাত্রীদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত হয়নি। ফলে শত শত যাত্রীদের চরম দূর্ভোগের মধ্যে দিয়ে এ স্টেশন থেকে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে মাস্টার না থাকায় স্টেশন ঘরটি তালা বদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। স্টেশনে নেই কোন বিশ্রামাগার ও শৌচাগারের ব্যব্স্হা। এই স্টেশন দিয়ে ২৭ টি গ্রাম ও তেলিয়াপাড়া চা বাগান ও সুরমা চা বাগানের যাত্রীরা যাতায়াত করে।এমন কি এই স্টেশনে একজন বুকিং মাস্টার নেই। যাত্রীরা বলছে তেলিয়াপাড়া রেলস্টেশন শুধু নামেই যেনো কাজে নেই। তেলিয়াপাড়া স্টেশনের বাজার ব্যবসায়ী কায়সার খান জানায়,২০১১ সালে ১৩ সেপ্টেম্বর সাবেক সমাজকল্যান মন্ত্রী মরহুম এনামুল হক মোস্তফা শহীদ তেলিয়াপাড়া বাজারে এক জনসভায় জনতার উদ্দেশ্য বলেছেন,অচিরেই তেলিয়াপাড়া রেলস্টেশনটি বি,ক্লাসে রুপান্তরিত করা হবে। কিন্তুু আজই রেলস্টেশনটি বি,ক্লাসে উন্নতি করা হয়নি।১৯৭১ সালে তেলিয়াপাড়া গুরুত্ব ছিল অপরিসীম,এখান থেকে মুক্তি বাহিনীর যুদ্ধের রণকৌশল ও ১১ সেক্টরে ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল।মুক্তিযুদ্ধে স্মৃতি বিজরিত তেলিয়াপাড়া চা বাগান ম্যানেজার বাংলো,ও পাহাড় লেক,টিলা,ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান সহ পর্যটকের কাছে আর্কষনী ও করে তুলতে এই রেল স্টেশনটি বি,ক্লাসে রুপান্তরিত করার জন্য মাননীয় রেলপথ মন্ত্রী মহোদয় ও মাধবপুর -চুনারুঘাট আসনের মাননীয় সাংসদ বেসামরিক বিমান ও পর্যটন ওপ্রতিমন্ত্রী এ্যাডঃ মাহবুব আলী মহোদয় সুদৃষ্টি কামনা করছে তেলিয়াপাড়াবাসী।