১১ জনের মধ্যে তিনজনই হবিগঞ্জের চুনারুঘাট ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির ছাত্র। ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন জানান ‘আমার ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি থেকে ৩জন নির্বাচিত হয়েছে ।তারা হল- শঙ্কর বাকতি, রনি আর অনিক দেববর্মা। তাদের ব্রাজিলে যাওয়ার সুযোগ পাওয়াতে আমাদের একাডেমির সবাই খুব খুশি হয়েছেন।’
বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় বাংলাদেশের আকাশ প্রায় দখল করে নেয় ব্রাজিলের পতাকা । ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের সময় সে দৃশ্য দেখে রোমাঞ্চিত হয়েছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলীয় রাষ্ট্রদূত জোয়াও তাবাজারা দি অলিভিয়েরা জুনিয়র।
ভালোবাসার প্রতিদান হিসেবে বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য কিছু করার তাগিদ অনুভব করেন তিনি সব সময়ই। তাঁর সহযোগিতা ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের চেষ্টায় দ্বিতীয়বারের মতো ব্রাজিলে অনুশীলন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের কিশোর ফুটবলাররা।
২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো ব্রাজিলের সোসিয়াদে স্পোরটিভা ডো গামা ক্লাবের অধীনে এক মাসের অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশের ৪ ফুটবলার। মাঝে করোনাকালীন ব্রাজিল যাওয়া ছিল বন্ধ।
এবার এক লাফে সংখ্যাটা বেড়ে ১১ জন ফুটবলার দুই মাসের অনুশীলনের জন্য যাচ্ছে ব্রাজিলে। একটা দল হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে সে ১১ জন খেলোয়াড়কে। দলে একজন গোলকিপার, ৪ ডিফেন্ডার ও ৩ জন করে মিডফিল্ডার ও ফরোয়ার্ড রাখা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্ট থেকে ৪০ জন খেলোয়াড় বাছাই করা হয়। তাঁদের নিয়ে বিকেএসপিতে হয়েছে দুই মাসের ক্যাম্প। সেখান থেকেই সেরা ১১ জন খেলোয়াড়কে দেওয়া হয়েছে ব্রাজিলে যাওয়ার টিকিট।
এদের মধ্য থেকে যদি কেউ অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে যেতে না পারে, তাহলে অতিরিক্ত তালিকায় থাকা চারজন থেকে কেউ যাবে। আগামী মে মাসে ব্রাজিলে যাওয়ার কথা রয়েছে তাদের। এবার কোন ক্লাবের অধীনে অনুশীলন হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। দলে সর্বোচ্চ ৩ জন ফুটবলার আছে হবিগঞ্জের।
তারা তিনজনই হবিগঞ্জের চুনারুঘাট ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির ছাত্র বলে জানিয়েছে সুযোগ পাওয়া রনি মিয়া, ‘আমরা তিনজন চুনারুঘাট ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি থেকে নির্বাচিত হয়েছি। আমি ছাড়া আর দুজন হলো শঙ্কর বাকতি আর অনিক দেববর্মা। আমরা ব্রাজিলে যাওয়ার সুযোগ পাওয়াতে আমাদের একাডেমির সবাই খুব খুশি হয়েছেন।’
ব্রাজিল যাবে যে ১১ কিশোর: মেহেদি হাসান (কুমিল্লা), রনি মিয়া (হবিগঞ্জ), ইয়াসিন আরাফাত (খুলনা), নয়ন হোসেন (যশোর), আবির হাসান (রাজশাহী), অনিক দেববর্মা (হবিগঞ্জ), পাভেল বাবু (গাইবান্ধা), শঙ্কর বাকতি (হবিগঞ্জ), লিয়ন প্রধান (রংপুর), সাব্বির হোসেন (খুলনা), ইমন হোসেন (নাটোর)।
অতিরিক্ত ৪ খেলোয়াড় জিসান শেখ (রাজশাহী), মোস্তাকিম আলী (কুড়িগ্রাম), রিপন হোসেন (খুলনা), নিবাস কুজুর (রাজশাহী)।
সূত্র; প্রথম আলো..